কৃষি বনসৃজন (Agroforestry)

কৃষি বনসৃজন (Agroforestry)
কৃষি বনসৃজন (Agroforestry)

সংজ্ঞা: 

কৃষকেরা যখন নিজের জমিতে কৃষিফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ, ফলমূল, ঔষধ, সবুজসার ইত্যাদি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে গাছপালা লাগান, তখন তাকে কৃষি বনসৃজন বলে।

সুবিধা: 

  • কৃষকদের অব্যবহৃত বা উৎপাদনশীল হয়ে ওঠে। 
  • মৃত্তিকাক্ষয় রোধ হয়। 
  • পতিত জমিও কৃষকের আয় বৃদ্ধি পায়। 
  • জমিতে জৈব সারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 
  • গৃহস্থালির দৈনন্দিন জ্বালানির চাহিদা মেটে। 
  • ছদ্মবেকারত্ব কমে। 
  • ভেষজ গাছপালা চাষের মাধ্যমে ঔষধ শিল্পে কাঁচামালের জোগান বৃদ্ধি পায়। 
  • দূষণ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। 
  • পশুখাদ্যের জোগান বাড়ে। 
  • প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষিত হয় ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত হয়।

অসুবিধা: 

  • সঠিক গাছ নির্বাচন না করা হলে সম্পূর্ণ জমি ছায়াবৃত হয়ে পড়ে। ফলে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। 
  • কৃষি বনসৃজনে গাছ বৃদ্ধিতে সময় লাগে। তাই কৃষকের তাৎক্ষণিক লাভের সুযোগ কম। 
  • ইউক্যালিপ্টাস জাতীয় গাছ মাটির আর্দ্রতা হ্রাস করে, মাটিকে ক্ষারধর্মী করে।

কৃষি বনসৃজনের উপযুক্ত জমি ও গাছ : 

কৃষকের চাষযোগ্য জমির আল, কোনো পতিত জমি বা বাড়ির আশেপাশের ফাঁকা জমি, বাগান প্রভৃতি কৃষি বনসৃজনে ব্যবহার করা যায়। কৃষি বনসৃজনের উপযুক্ত গাছগুলি হল নিম, সুপারি, নারিকেল, কলা, আম, কাঁঠাল, জাম, লেবু, কুল, কদম, সোনাঝুরি, বাসক, সিংকোনা, নয়নতারা, কালমেঘ প্রভৃতি।

Leave a Comment