‘আগুন’ নাটকে কৃষক পরিবারের যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো

‘আগুন’ নাটকে কৃষক পরিবারের যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

'আগুন' নাটকে কৃষক পরিবারের যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো
‘আগুন’ নাটকে কৃষক পরিবারের যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো

গণনাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে কৃষক পরিবারের জীবনসংগ্রাম বিবৃত হয়েছে। কৃষাণ-কৃষাণি চরিত্রের মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের দুর্দশার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ‘আগুন’ ছাড়াও ‘জবানবন্দী’, ‘জননেতা’ প্রভৃতি একাঙ্ক নাটকে বাংলার কৃষকের জীবনযন্ত্রণা প্রতিফলিত হয়েছে। মাঠকে যারা ভরণ-পোষণ করছে, সেই কৃষক শ্রেণি কীভাবে ভূমিহীন কৃষকে রূপান্তরিত হয়েছে-নাট্যকার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

প্রান্তিক ও মেহনতি মানুষের আটপৌরে আর অনাড়ম্বর জীবন নাট্যকার এভাবে তুলে ধরেছেন

‘একখানা চালাঘর। সামনে একফালি উঠোন। ঘরের চৌকাঠের কাছে দাঁড়িয়ে একজন কৃষাণি। আর বাইরের খোলা জায়গাটায় দাঁড়িয়ে জনৈক কৃষাণ।’

বাংলার মানুষের বাস্তবজীবন সম্পর্কে তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ ছিল। সেজন্য মানুষের দুঃখদুর্দশা তাঁর হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুলেছিল।

সমসাময়িক সময় সম্পর্কেও নাট্যকার সচেতন। পঞ্চাশের মন্বন্তরের কিছু আগেই খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম খাদ্যাভাব সৃষ্টির বিষয়টি, এই চরম সংকটময় রূপটি নাট্যকার বাস্তবসম্মতভাবে তুলে ধরেছেন।

“কেষ্টর মার সঙ্গে সকাল সকাল গে নাইনির একেবারে পেরথমে দাঁড়াতি পারিস নে!”

দুর্ভিক্ষের করাল বিভীষিকা ভয়াল-ভয়ংকর। শ্রমজীবী কৃষকেরা সকলের অন্নের সংস্থান করেন, অথচ তাদেরকেই বাধ্য হয়ে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। খাদ্যের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে হয়।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment