‘আগুন’ নাটকে শ্রমিক পরিবারের যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো

‘আগুন’ নাটকে শ্রমিক পরিবারের যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

'আগুন' নাটকে শ্রমিক পরিবারের যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো
‘আগুন’ নাটকে শ্রমিক পরিবারের যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো

গণনাট্য আন্দোলনের পুরোধা বিজন ভট্টাচার্যের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি “আগুন’ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে কারখানার শ্রমিক পরিবারের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষে, পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিতে, নিরন্ন মানুষের অসহায়তাকে নাট্যকার সুনিপুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি ছিল তাঁর দরদি মন আর বুকভরা ভালোবাসা। তীক্ষ্ণ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সতীশ, সতীশের স্ত্রী-ক্ষিরি, কন্যা-ফুলকি এবং জুড়োন-নীচের তলার এইসব উপেক্ষিত, অবজ্ঞাত জনজীবনকে নাট্যরূপ দিয়েছেন বিজন ভট্টাচার্য।

“আরে সে কী বলব মুশকিলের কথা।”-সতীশ, দুর্ভিক্ষ আর মুনাফাবাজ মজুতদারের জাঁতাকলে পড়ে কারখানার জনৈক শ্রমিক সতীশ ও তার পরিবার সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। কোম্পানি কিংবা রেশন ব্যবস্থায়, ক্ষিরি ও ফুলকি একমুঠো অন্নসংস্থান করতেও অপারগ। তাদের সেই অক্ষমতা- অসহায়তা ধরা পড়ে সতীশের উক্তিতে-

“কাল সারাটা দিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফুলকি আর ওর মা তো শুধু হাতে ফিরে এসেছে।”

শেষ পর্যন্ত মিস্ত্রির কাছ থেকে প’দেড়েক চাল কর্জ করে এনে আধপেটা খেয়েছে তারা। নিত্য অভাব আর দরিদ্রতায় সতীশ-ক্ষিরির দাম্পত্য অশান্তি খুবই সাবলীল ও প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে।

ক্ষিরি। “(উত্তেজিত হয়ে)। কী বা কী রেখেচ। পরনে নেই কাপড়, পেটে নেই ভাত।”

সতীশ। “দেখ, মুখ সামলে কথা বলিস ক্ষিরি….।”

এই অনটন, অশান্তি, কলহ শুধুমাত্র সতীশ-ক্ষিরির নয়; দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলার প্রতিটি পরিবারের।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment