‘আগুন’ নাটকে সবজি বিক্রেতা পরিবারের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
প্রখ্যাত নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য ‘আগুন’ নাটকে মন্বন্তরপীড়িত মানুষের জীবনে দুর্দশার, মর্মান্তিক, করুণ নিষ্ঠুরতার ছবি এঁকেছেন, তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে। পাঁচটি দৃশ্য সম্বলিত এই একাঙ্কিকার-প্রথম দৃশ্যে সবজি বিক্রেতা পরিবারের শোচনীয় দুর্বিষহ অবস্থার ছবি এঁকেছেন। একালের কবি জয় গোস্বামীর ‘মাসিপিসি’ কবিতায় দেখি শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষেরা রাত থাকতে উঠে কাজ শুরু করে, তারপর বুজিরোজগারের টানে ভোরবেলাতেই বেরিয়ে পড়ে। এই ছবি তো ‘আগুন’ নাটকেও নেত্যর মা আর নেত্যর রোজনামচা-
“কলমি শাক, দাঁতন কাঠি আর কলাটলা ঝা কিছু রাখিছিস খপ করে গোছায়ে নে। ঐগুলো বিক্রি করে্য শেষ পরে তো নাইনি গে চাল কিনবি। ঝত সকালে যাবি ততই ভালো।”
দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে রেশন ব্যবস্থায় চালের লাইনে দাঁড়াতে হবে। লাইনে দাঁড়ালেই যে চাল পাওয়া যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। “আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই। কী এক নাইনির তাল হইছে।”
‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষগুলি আকাল আর মুনাফাবাজ মজুতদারদের জাঁতাকলে পড়ে নিষ্পেষিত। তাদের সাংসারিক জীবনের এক টুকরো ছবি ধরা পড়ে নীচের উক্তিতে-
“অপরিছন্ন পরিবেশের মাঝখানে দেখা যায় একটা মেটে জালা। তারই গা ঘেঁসে একটা বাঁশের আলনার ওপর দেখা যায় ঝুলন্ত দু-একখানা নোংরা কাপড়…।”
আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো