“আর শুয়ে থাকলি ওদিকি আবার সব গোলমাল হয়ে যাবেনে”-নাট্যাংশে উক্ত এই কথাটি কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী

“আর শুয়ে থাকলি ওদিকি আবার সব গোলমাল হয়ে যাবেনে”-নাট্যাংশে উক্ত এই কথাটি কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী?

"আর শুয়ে থাকলি ওদিকি আবার সব গোলমাল হয়ে যাবেনে"-নাট্যাংশে উক্ত এই কথাটি কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী
“আর শুয়ে থাকলি ওদিকি আবার সব গোলমাল হয়ে যাবেনে”-নাট্যাংশে উক্ত এই কথাটি কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী

বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি

আধুনিক বাংলার বাস্তববাদী নাটকের প্রবক্তা বিজন ভট্টাচার্য বিরচিত ‘আগুন’ নাটকের প্রথম দৃশ্যে সবজি বিক্রেতা পরিবারের প্রতিনিধি জনৈক পুরুষ তার স্ত্রী ও পুত্র নেত্যকে এ কথা বলেছে।

প্রসঙ্গ

দুর্ভিক্ষের অপরিসীম ভয়াবহতার মাঝে, সবজি বিক্রি করে; চাল সংগ্রহের লাইনে দাঁড়াতে হবে-নেত্য ও নেত্যর মাকে। এজন্য নেত্যর বাবা খুব ভোরবেলাতে স্ত্রী ও পুত্রকে বারেবারে তাগাদা দিতে থাকে। এই প্রসঙ্গে উক্ত উক্তির অবতারণা।

উক্তিটির কারণ

দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষুধার ভয়ংকরতা শোচনীয়ভাবে অভিব্যক্ত। রাত থাকতে উঠে সবজির পসরা সাজিয়ে বাজারে যেতে হবে বিকিকিনি করতে তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে চাল সংগ্রহ করতে হবে।

“তাতেও আবার কথা আছে, চাল পাবা কি পাবা না। হয় তো পালেই না।” -একইসাথে এই উক্তিটিও লক্ষণীয়। লাইনে দাঁড়ালেই যে নিশ্চিতভাবে চাল মিলবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে প্রত্যহ সব কাজ ফেলে খুব দ্রুত লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে হয়, আগে এলে আগে পাবে-এই আত্মপ্রত্যয় নিয়ে। ঘুম থেকে উঠতে বেলা হলে সমস্ত কাজ (সবজি বিক্রি ও চালের লাইনে দাঁড়ানো) পণ্ড হয়ে যাবে। সেজন্য নেত্যর বাবা এই গোলমালের কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment