“এখন সকালবেলাই তোমার পিন্ডি জোগাই কোত্থেকে”-উক্ত উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে উক্ত উক্তিটি করেছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী

“এখন সকালবেলাই তোমার পিন্ডি জোগাই কোত্থেকে”-উক্ত উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে উক্ত উক্তিটি করেছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?

"এখন সকালবেলাই তোমার পিন্ডি জোগাই কোত্থেকে”-উক্ত উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে উক্ত উক্তিটি করেছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী
“এখন সকালবেলাই তোমার পিন্ডি জোগাই কোত্থেকে”-উক্ত উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে উক্ত উক্তিটি করেছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী

উৎস

সমাজসচেতন প্রগতিশীল নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের লেখা- ‘আগুন’ নাট্যাংশ থেকে উক্ত উক্তিটি উৎকলিত হয়েছে।

বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি

‘আগুন’ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে কারখানার শ্রমিক পরিবারের প্রতিনিধি ক্ষিরি, নিত্য অভাব-অনটনে ব্যথিত ও রাগান্বিত হয়ে স্বামী সতীশকে উক্ত উক্তিটি করেছেন।

মন্তব্যের কারণ

ভয়াল ভয়ংকর পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিতে- প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দুর্বিপাকে-চারিদিকে শুধুই অন্নের জন্য হাহাকার। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল প্রবল ঝড়ের রাতে হাল ভাঙা, পাল ছেঁড়া নৌকার মতো দিশাহীন।

একদিকে দুর্ভিক্ষ আর মন্বন্তরের ভয়ংকর আগ্রাসন অন্যদিকে কালোবাজারি, মুনাফাবাজ, মজুতদারের গগনস্পর্শী অর্থলিপ্সা- সংকটকে আরও বর্বরোচিত ও নারকীয় করে তুলেছিল। এরই মধ্যে জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত ফুলকি, ক্ষিরিরা প্রাণান্তকর লড়াই জারি রেখেছিল। কখনও রেশন ব্যবস্থায় চাল নেওয়ার লাইনে সারাটাদিন দাঁড়িয়ে, খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। কখনও আবার পাশের বাড়ি থেকে ‘প’ দেড়েক চাল কর্জ’ করে এনে-আধপেটা খেয়ে সারাটা দিন ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে।

একদিকে শূন্য ভাঁড়ার, অন্যদিকে সকালবেলা কারখানার কাজে যেতে উৎসুক সতীশের পেটে খিদের জ্বালায় অস্থিরতা- ক্ষিরিকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। তাই প্রবল বিরক্তিতে, ক্রোধে ক্ষিরির বিস্ফোরিত হৃদয়ের বিচ্ছুরণ উক্ত উক্তিতে প্রতিভাত হয়েছে।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment