“কলেকষ্টে এই চৈতেলির ফসলগুলো মাচায় তুলতি পারলি হয়, কিছুদিনের মত নিশ্চিন্দি,”-উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কে, কাকে উক্ত উক্তিটি করেছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উৎস
নট-নাট্যকার নির্দেশক বিজন ভট্টাচার্য বিরচিত ‘আগুন’ নাট্যাংশ থেকে উক্ত উক্তিটি উৎকলিত হয়েছে।
বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি
‘আগুন’ নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে কৃষক পরিবারের প্রতিনিধি কৃষাণ, কৃষাণিকে এই কথাগুলি বলেছে।
মন্তব্যের কারণ
নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য বাস্তব জীবনে চাক্ষুষ করেছেন-বাংলার বুকে লুকিয়ে থাকা আর এক বাংলাকে। যেখানে মেহনতি, কায়িক পরিশ্রমী মানুষেরা ফসল ফলান-কিন্তু বেশিরভাগ দিন, অনাহারে, অর্ধাহারে, অভুক্ত অবস্থায় তাদের দিন গুজরান করতে হয়। – প্রতিনিয়ত দারিদ্র্য, শোষণ, নিষ্পেষণের কষাঘাতে তারা জর্জরিত।
জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত, এই উপেক্ষিত, অবজ্ঞাত সংখ্যাগরিষ্ঠ জনজীবনের – আশা-নিরাশা, ব্যর্থতা-সফলতা, আনন্দ-উচ্ছলতাকে যথার্থ নাট্যরূপ দিয়েছেন, মাটির মানুষের নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য। তিনি প্রবলভাবেই সমাজসচেতন, তাই মন্বন্তরপীড়িত বাংলার এক আকাশ বেদনা ও জীবনসংগ্রামকে মূর্ত করে তুলেছেন। তার সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি কৃষাণের বক্তব্যে-
“মাঠের থে ফিরে এসে ধড়ে যেন প্রাণ আর তিষ্ঠুতি চায় না।… কেষ্টর মার সঙ্গে সকাল সকাল গে নাইনির একেবারে পেরথমে দাঁড়াতি পারিস নে!”
আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো