ক্রুসেডের ধর্মীয় ফলাফল ব্যাখ্যা করো

ক্রুসেডের ধর্মীয় ফলাফল ব্যাখ্যা করো

ক্রুসেডের ধর্মীয় ফলাফল ব্যাখ্যা করো
ক্রুসেডের ধর্মীয় ফলাফল ব্যাখ্যা করো

ভূমিকা

মধ্যযুগের ইউরোপ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক রক্তাক্ত অধ্যায় হল ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ। খ্রিস্টান ও ইসলামের মধ্যে সংঘটিত ক্রুসেডগুলি মধ্যযুগের ইউরোপের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মীয় জীবনেও নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধন করে।

(1) চার্চের সম্পদ বৃদ্ধি: ক্রুসেডের ফলে চার্চের সম্পদ আগের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কারণ ক্রুসেডে যোগদানের পূর্বে একদল ধর্মযোদ্ধা খুব সামান্য টাকার বিনিময়ে চার্চকে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এমনকি একদল সামন্তপ্রভু বা ধনী অভিজাতরা চার্চ তথা ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের আশায় তাঁদের বহু সম্পত্তি চার্চকে দান করে দিয়েছিলেন। এইভাবে ইউরোপের চার্চগুলি ধর্মযুদ্ধের ফলে বিশাল সম্পদশালী হয়ে উঠেছিল।

(2) পোপের ক্ষমতা ও মর্যাদাবৃদ্ধি : ক্রুসেডের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রোমান পোপ। পোপ দ্বিতীয় আরবান থেকে তৃতীয় ইনোসেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি পোপের আহ্বানেই সামন্তপ্রভু, নাইট ও সাধারণ খ্রিস্টান ধর্মযোদ্ধারা ধর্মযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এমনকি পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজা বা শাসকরাও পোপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ কোনো রাজা বা শাসক নন, বেশ কিছুকাল পোপই হয়ে উঠেছিলেন সমগ্র খ্রিস্টান জগতের প্রধান নেতা। ধর্মযুদ্ধের সূত্রে খ্রিস্টান জগতে তাঁর ক্ষমতা ও মর্যাদা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছিল।

মূল্যায়ন

পরিশেষে বলা যায় যে, ধর্মযুদ্ধের সূত্রে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে পোপই হয়ে উঠেছিলেন খ্রিস্টান জগতের অবিসংবাদী নেতা। তবে পোপের এই কর্তৃত্ব খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ধর্মযুদ্ধে মুসলমানদের কাছে খ্রিস্টানদের পরাজয়ের ফলে পোপের খ্যাতি বা প্রভাব দিন দিন হ্রাস পেতে লাগল।

আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment