“চাল দেবে না দিও না, কিন্তু তাই বলে যা তা বোলো না বলছি”-উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে? উক্ত উক্তির মাধ্যমে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও

“চাল দেবে না দিও না, কিন্তু তাই বলে যা তা বোলো না বলছি”-উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে? উক্ত উক্তির মাধ্যমে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও।

"চাল দেবে না দিও না, কিন্তু তাই বলে যা তা বোলো না বলছি"-উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে? উক্ত উক্তির মাধ্যমে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও
“চাল দেবে না দিও না, কিন্তু তাই বলে যা তা বোলো না বলছি”-উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলা হয়েছে? উক্ত উক্তির মাধ্যমে বক্তার মানসিকতার পরিচয় দাও

বক্তা

নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য বিরচিত ‘আগুন’ নাটকে, লাইনে দাঁড়ানো চতুর্থ পুরুষটি উক্ত উক্তিটি করেছেন।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি

খাদ্যসংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো চতুর্থ পুরুষটিকে, লাইন ভাঙার অপরাধে, মহাজনের লোকেরা নৃশংসভাবে প্রহার করে, সেই ‘মারনেওয়ালা’ সিভিক গার্ডকে উদ্দেশ্য করে উক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।

বক্তারমানসিকতা

পাঠ্য ‘আগুন’ নাটকে আমরা দেখতে পাই-মন্বন্তরের পটভূমিতে চাল সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে বুভুক্ষু, অনাহারী মানুষ, ঠেলাঠেলি করতে বাধ্য হয়। তখন সেই ঠেলাঠেলি, গোলমাল থামাতে সিভিক গার্ড চতুর্থ পুরুষটিকে লাঞ্ছিত করে, চূড়ান্তভাবে অপদস্থ করে।

‘মারখানেওয়ালা’ চতুর্থ পুরুষটি এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। প্রতিবাদেপ্রতিরোধে মুখরিত হয়ে ওঠে। এইসব মানুষের কাছে আত্মসম্মান শুধু অহংকার নয়, জীবনযাপনের অবলম্বন। তাই সে আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আসলে জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত আর্ত-অসহায় মানুষগুলির লাঞ্ছিত ও অপমানিত হতে হতে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই তারা ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়। তারই উদ্দীপ্ত প্রতিফলন শুভ চৈতন্যের উদয় হওয়া চতুর্থ পুরুষের উক্তিতে।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment