জোহানেস কেপলারের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ওপর আলোকপাত করো

ভূমিকা
জ্যোতির্বিজ্ঞানী টাইকো ব্রাহের শিষ্য হলেন জোহানেস কেপলার। তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গঠন সম্পর্কে নিখুঁত ধারণা ব্যক্ত করেন। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
(1) আবিষ্কার : (i) কেপলার সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ও মঙ্গল গ্রহের সঠিক কক্ষপথ আবিষ্কার করেন। (ii) গ্রহগুলির কক্ষপথ উপবৃত্তাকার-এটিই কেপলার প্রমাণ করেন। (iii) তিনি বলেন, সূর্যকে ফোকাসে বা উপকেন্দ্রে রেখে সমস্ত গ্রহগুলি নিজস্ব উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে। (iv) গ্রহগুলির গতির মধ্যে একটি গাণিতিক নিয়ম রয়েছে সেগুলি সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে। (v) সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহগুলির ঘূর্ণন গতিবেগ অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী গ্রহগুলির ঘূর্ণন গতিবেগের তুলনায় বেশি।
(2) কেপলারীয় দূরবিন: কেপলার প্রতিসরণ দূরবিনের উন্নত সংস্করণ তৈরি করেন যা বর্তমানে ‘কেপলারীয় দূরবিন’ নামে পরিচিত।
(3) গ্রন্থরচনা: কেপলার জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে একাধিক গ্রন্থরচনা করেন যার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল-‘এপিটোম অফ কোপারনিকান অ্যাস্ট্রোনমি’। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ হল ‘Myterium Coemographicum’, ‘Vistronomia Nova’, ‘Dioptrice’ ইত্যাদি।
মূল্যায়ন
কেপলারের উন্নত গবেষণা পূর্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাজকে আরও যথার্থ করে তোলে। তাই তাঁর জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত মতবাদকে ‘জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার মাইলস্টোন’ হিসেবে গণ্য করা যায়।
আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর