জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় জিওরদানো ব্রুনোর অবদান কী

জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় জিওরদানো ব্রুনোর অবদান কী

জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় জিওরদানো ব্রুনোর অবদান কী
জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় জিওরদানো ব্রুনোর অবদান কী

ভূমিকা

ইউরোপে রেনেসাঁ কালপর্বে একজন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ হলেন জিওরদানো ব্রুনো। কোপারনিকাসের মৃত্যুর দেড়শো বছর পর তাঁর মহাবিশ্ব সংক্রান্ত মতবাদকে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয় করে তোলেন।

(1) ব্রুনোর মতবাদ: বুনো আরও একটি ভিন্নধর্মী মতামত প্রকাশ করে বলেন যে, মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ সুষম ও অসীম নয়। তিনি বলেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত নয়, সূর্যই হল এর কেন্দ্র। তিনি বিশ্বব্রহ্মান্ডে অসংখ্য তারকার কথা বলেন যেগুলি সূর্যের মতো পৃথক পৃথক সৌরজগতের সৃষ্টি করেছে। তিনিই প্রথম বলেন যে, যেসব মহাজাগতিক তারকার নিজস্ব আলো ও তাপ আছে সেগুলি সূর্য এবং যাদের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই সেগুলি হল গ্রহ।

(2) গ্রন্থরচনা: ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রুনো অনন্ত মহাবিশ্ব ও বহুবিশ্ব নিয়ে ‘De L’infinito Universo et Mondi’ নামক গ্রন্থরচনা করেন। এই গ্রন্থে তিনি বলেন, মহাবিশ্বের সংখ্যা একটি মাত্র নয়, অনন্ত সংখ্যক মহাবিশ্ব থাকার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত নয়। তাঁর অপর গ্রন্থ ‘লা সেনা ডিলে সেনেরি’ (La cena de le ceneri)-তে তিনি কোপারনিকান মডেলকে আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। এতে তিনি আপেক্ষিকবাদের আভাস দেন, যা পরবর্তীকালে গ্যালিলিও ব্যাখ্যা করেছেন।

(3) চার্চের বিরুদ্ধ মতপোষণ ও মৃত্যু: ব্রুনোর মতবাদ ও প্রচার চার্চের পৃথিবীকেন্দ্রিক মতবাদকে তীব্রভাবে আঘাত করায় চার্চ তাঁকে ধর্মদ্রোহী আখ্যা দেয় এবং চার্চের নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার করায় ব্রুনোকে নৃশংসভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ফ্যাসটি তার

মূল্যায়ন

রেনেসাঁ যুগে যে কয়েকজন জ্যোতির্বিদ জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিওরদানো ব্রুনো। তাঁর বিজ্ঞান, দর্শন ও যুক্তিবাদ বিংশ শতকে সার্বিকভাবে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়।

আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment