Dhupguri High School (HS)
বিভাগ-ক
1 (i) অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসি রাজতন্ত্রকে ‘রাজনৈতিক কারাগার’ হিসেবে চিহ্নিত করেন – (c) ভলতেয়ার।
(ii) ‘পাদুয়ার ঘোষণা’ জারি করেছিলেন – (a) লিওপোল্ড ।
(iii) ষোড়শ লুই-এর প্রাণদণ্ড হয় – (a) ১৭৯৩ খ্রি।
(iv) টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল – (b) ১৮০৭ খ্রি।
(v) নেপোলিয়ন সিজালপাইন প্রজাতন্ত্র গঠন করেন (b) ইটালিতে।
(vi) ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিলেন (b) নেলসন।
(vii) ম্যাৎসিনি প্রতিষ্ঠিত গুপ্ত সমিতির নাম ছিল (b) ইয়ং ইটালি।
viii) ফ্রাঙ্কফোর্ট পার্লামেন্টে মোট সদস্য ছিলেন – (c) ৫৮৬ জন।
(ix) আঁতাত করডিয়াল (১৯০৪ খ্রি) স্বাক্ষরিত হয়েছিল যাদের মধ্যে (b) ইঙ্গ-ফরাসি।
(x) হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা হলেন (c) লুই কসুথ।
(xi) শিল্পবিপ্লব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন (d) লুই অগাস্তে ব্ল্যাঙ্কি
(xii) তিয়েনসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় – (d) ১৮৫৮ খ্রি।
(xiii) সোভিয়েত পার্লামেন্টের নাম – (b) ডুমা।
(xiv) ‘নারদ’ কথার অর্থ – (a) জনগণ ।
(xv) স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় স্পেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন – (a) ম্যানুয়েল আজানা।
(xvi) হিটলারের ‘অপারেশন বারবারোসা হল (c) রাশিয়া – আক্রমণ নীতি।
(xvii) D Day নামে পরিচিত ছিল ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের – (b) ৬ জুন।
(xviii) তোষণনীতির উদ্ভাবক ছিলেন – (a) চেম্বারলেন।
(xix) জাতিসংঘের সদর দপ্তর স্থাপিত হয় -(d) জেনেভায়।
(xx) জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হল (a) ৫টি।
বিভাগ-খ
2 উপবিভাগ : A
(i) ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষোড়শ লুই।
(ii) ফ্রান্সে জাতীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে।
(iii) ভিয়েনা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার না প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স ক্লেমেন্স ভন মেটারনিখ।
(iv) একজন কাল্পনিক সমাজতন্ত্রী হলেন রবার্ট আওয়েন।
উপবিভাগ : B
(i) ঐতিহাসিক ফিশারের মতে – নেপোলিয়ন হলেন ‘বিপ্লবের সন্তান’। – সত্য।
(ii) ক্রিমিয়ার যুদ্ধ হয়েছিল তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে। সত্য।
(iii) সেফটি ল্যাম্প উদ্ভাবন করেন জন কে। — মিথ্যা।
(iv) আভান্তি পত্রিকায় মুসোলিনি তাঁর মতবাদ তুলে ধরেন। সত্য।
উপবিভাগ : C
নামস্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভের মিলকরণ :
(i) রুগ্ণ মানুষ (b) তুরস্ক
(ii) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো (c) ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ
(iii) জন হে (d) উন্মুক্ত দ্বার নীতি
(iv) দ্বিতীয় আলেকজান্ডার (a) ভূমিদাসদের মুক্তি
উপবিভাগ : E
(i) ব্যাখ্যা (b) ১৮৪৮-এর বিপ্লব ফ্রান্স, ইটালি সহ ইউরোপের ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। 1
(ii) ব্যাখ্যা – (a) তাঁর নেতৃত্বে আধুনিক রাশিয়া গঠনের সূচনা হয়।
(iii) ব্যাখ্যা (b) বসনিয়ার শ্লাভ জাতির সঙ্গে সার্বিয়ার সুসম্পর্ক ছিল।
(iv) ব্যাখ্যা (c) নেপোলিয়ন পোপের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসা করতে চেয়েছিলেন।
বিভাগ-গ
3 (i) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রে -এর 3. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) প্রাশিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফ্রেডরিক উইলিয়ম ষোড়শ লুইকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ফ্রান্স যখন অগ্নিগর্ভ তখন রাজার নির্দেশে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার যৌথ সেনাধ্যক্ষ ডিউক-অফ ব্রান্সউইক এক ঘোষণাপত্রে জানান, ফরাসি রাজপরিবারের নিরাপত্তা কোনোভাবে বিঘ্নিত হলে তিনি প্যারিস ধ্বংস করে দেবেন। ফরাসি জাতির প্রতি চরম অপমানজনক এই ঘোষণাই ‘ব্রান্সউইক ঘোষণা’ নামে পরিচিত।
(iii) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র -এর 3. (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) Balurghat High School-এর 6. (xiii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(v) মেটারনিখ ব্যবস্থা : ১৮১৫-৪৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী বা চ্যান্সেলার মেটারনিখ বিপ্লবপ্রসূত আধুনিক ভাবধারাগুলি ধ্বংস করে ইউরোপে প্রাক্-বিপ্লবী যুগের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ইউরোপের রাজনীতিতে অস্ট্রিয়ার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তীব্র দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেন। এই নীতি মেটারনিখ ব্যবস্থা বা মেটারনিখতন্ত্র নামে পরিচিত।
(vi) Bankura Zilla School -এর 3. (v) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vii) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লবের পর অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয় রাশিয়া। শিল্প, কারখানা, জমি, } বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বা জাতীয়করণ তথা রাষ্ট্রীয়করণ শুরু হয়। এর প্রতিবাদস্বরূপ লেনিন ঘোষণা করেন যে, ‘উগ্র সাম্যবাদ’ বা ‘পুথিগত সাম্যবাদ’ (copy book communism) বাস্তবে প্রয়োগ করা অসম্ভব। বিশুদ্ধ সাম্যবাদের পথ থেকে সরে এসে বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সংগতি সাধনের জন্য মার্কসবাদ প্রয়োগ একান্তভাবে জরুরি। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে দশম কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে তিনি যে নিয়া অর্থনীতি’ ঘোষণা করেন তা ‘নয়া অর্থনৈতিক নীতি’ (New Economic Policy) বা NEP নামে পরিচিত।
(viii) Burdwan Raj Collegiate School-এর 3. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ix) কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল যেখানে সামাজিক, অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিছু মানুষ বসবাস করে, তাকেই ঘেটো বলে। প্রথম ভেনিস শহরে ইহুদিদের বসবাসের এলাকা নির্দিষ্ট করতে ঘেটো শব্দটি ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীকালে বহিরাগত মানুষদের বসতি ‘ঘেটো’ নামে পরিচিত হয়।
(x) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র -এর 3. (xi)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(xi) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রে -এর 3. (xii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(xii) জার্মানিতে দেরিতে শিল্পবিপ্লব শুরু হওয়ার কারণগুলি ছিল- (ক) তৎকালীন জার্মানির রাজনৈতিক অস্থিরতা। (খ) জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যে শুল্ক আদায়ের নীতির পার্থক্য। (গ) সামন্তপ্রভুদের শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগে অনীহা। (ঘ) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পূর্বে সেখানে শিল্প স্থাপনের কোনো অনুকূল পরিবেশ ছিল না।
(xiii) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠার সময় পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের অধিবাসী স্বাধীনতালাভের উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি। তাদের স্বায়ত্তশাসন লাভের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের কয়েকটি বৃহৎ শক্তির শাসনাধীনে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহৎ বিদেশি শক্তির শাসনাধীনে থেকে যাতে তারা শোষণ ও অত্যাচারমুক্ত হয়ে স্বাধীনতালাভের যোগ্য হয়ে উঠতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় যে, স্বাধীনতালাভের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলে তবেই ওইসব অঞ্চল স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে। এই ব্যবস্থা ‘অছি ব্যবস্থা’ Toustachin System) নামে পরিচিত। এই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্যই গঠন করা হয়েছিল অছি পরিষদ।
(xiv) মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লিগ অফ নেশনস স্থাপিত হলেও বেশ কিছু কারণে তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। যথা— মিত্রশক্তির কর্তৃত্ব : জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে মূলত একটি ইউরোপীয় সংস্থা রূপে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো মিত্রশক্তিভুক্ত দেশগুলি জাতিসংঘে কর্তৃত্ব করায় এর ব্যর্থতা ছিল অনিবার্য।
আমেরিকার অনুপস্থিতি : মার্কিন সেনেট অনুমোদন না করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিগ অফ নেশনস-এ যোগ দিতে পারেনি, যা এর ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
বিভাগ-ঘ
4 উপবিভাগ : A
(i) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র -এর 4. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) Chakdaha Bapuji Balika Vidyamandir -এর 4. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
উপবিভাগ : B
(iii) Balurghat High School-এর 7. (ii) অথনা-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) Balurghat High School-এর 7. (iv) অথনা-এর উত্তরটি দ্যাখো।
উপবিভাগ : C
(v) Balurghat High School-এর 7. (v) অথনা-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vi) জুলাই বিপ্লব : ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই বিপ্লব একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দশম চার্লসের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে যে বিপ্লব ঘটে, তা ইতিহাসে ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত।
জুলাই বিপ্লবের কারণ : জুলাই বিপ্লবের পিছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান ছিল- বুরবোঁ রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা: ভিয়েনা সম্মেলনের ন্যায্য অধিকার নীতি অনুযায়ী ফ্রান্সে বুরবোঁ বংশীয় অষ্টাদশ লুই সিংহাসনে বসেন। তার সঙ্গে সঙ্গে দেশত্যাগী অভিজাতরাও ফ্রান্সে ফিরে এসে তাদের হারানো সম্পত্তি ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সচেষ্ট হলে ফরাসি জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অষ্টাদশ লুই-এর স্বৈরাচারিতা : অষ্টাদশ লুই সিংহাসনে আরোহণ করে প্রথমদিকে কিছুটা উদারনীতি গ্রহণ করলেও অচিরেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন। ও দশম চার্লসের প্রতিক্রিয়াশীল নীতি : ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে অষ্টাদশ লুই-এর মৃত্যুর পর ডিউক অফ আর্টয়েস দশম চার্লস উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন উগ্র রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। বিপ্লবের সময় যে সমস্ত অভিজাতরা দেশত্যাগ করেছিল তাদের পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতি তিনি ফ্রান্সের রাজকোশ থেকে মেটান। ফলে ফরাসিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষ কারণ : ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই সনদের ১৪নং ধারায় বর্ণিত রাজার বিশেষ ক্ষমতা অনুসারে দশম চার্লসের নির্দেশে পলিগন্যাক (প্রধানমন্ত্রী) এক স্বৈরাচারী অর্ডিন্যান্স (July Ordinance) জারি করেন।
এই অর্ডিন্যান্স অনুসারে– (ক) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। (খ) আইনসভা ভেঙে দেওয়া হয়। (গ) বুর্জোয়া শ্রেণিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, কেবল সম্পত্তিবান অভিজাতরাই ভোটদানের অধিকার পায়।
বিপ্লবের সূচনা : এই অর্ডিন্যান্স জারির সঙ্গে সঙ্গে উদারপন্থী নেতা অ্যাডলফ থিয়ার্সের নেতৃত্বে প্যারিসের জনসাধারণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২৮ জুলাই বিদ্রোহী জনতা প্যারিসের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। ৩০ জুলাই বিদ্রোহী জনসাধারণ দশম চার্লসকে সিংহাসনচ্যুত করে অলিয়েন্স বংশীয় লুই ফিলিপকে রাজা ঘোষণা করে। এইভাবে মাত্র তিনটি দিনের (২৭-২৯ জুলাই) মধ্যে জুলাই বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছিল।
জুলাই বিপ্লবের গুরুত্ব : জুলাই বিপ্লবের ফলে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের অধিকার বিলুপ্ত হয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা স্বীকৃতি লাভ করে। এই বিপ্লবের প্রভাবে গ্রিস, ইংল্যান্ড, স্পেন, সুইটজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে আন্দোলন হয়। জুলাই বিপ্লব ইউরোপের পুরাতনতন্ত্রকে ভেঙে ফেলতে না পারলেও এর ভিত্তি যে দুর্বল করেছিল তা বলাবাহুল্য।
(vii) Baita MN High School (HS)-এর 4. (vii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(viii) Bantra MSPC High School-এর 4. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
উপবিভাগ : E
(ix) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র -এর 4. (ix) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(x) Balurghat High School -এর 7. (iii) অথনা-এর উত্তরটি দ্যাখো।
উপবিভাগ : F
(xi) জার্মানি, ইটালি ও জাপান নিজেদেরকে ‘পরিতৃপ্ত রাষ্ট্র’ বলে মনে করত না। এই অপরিতৃপ্ততার কারণে তারা উগ্র সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে। উগ্র জাতীয়তাবাদকে আশ্রয় করে উগ্র সাম্রাজ্যবাদী নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগমনকে সুনিশ্চিত করে।
জার্মানির উগ্র জাতীয়তাবাদ : হিটলার ‘হেরেনভক তত্ত্ব’-এ বিশ্বাসী ছিলেন। এই তত্ত্বের মূল কথা ছিল – জার্মানরা হল আদিও বিশুদ্ধ আর্য জাতি। তাই অন্যান্য সংকর জাতির ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করার মৌলিক অধিকার তাদের আছে। উগ্র জাতীয়তাবাদের এই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জার্মানি যুদ্ধ ও দেশ দখলের নেশায় মেতে ওঠে। জার্মানির উগ্র জাতীয়তাবাদের শিকার হয় অস্ট্রিয়া, চেকোশ্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড। জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
ইটালির উগ্র জাতীয়তাবাদ : মুসোলিনির উগ্র জাতীয়তাবাদের লক্ষ্য ছিল ইটালিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে তুলে ধরা। মুসোলিনির উগ্র জাতীয়তাবাদের শিকার হয় আলবেনিয়া ও আবিসিনিয়া। মুসোলিনি সদর্পে ঘোষণা করেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি কাপুরুষের স্বপ্ন’।
জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদ : দূরপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন দেশকে বিচলিত করে। জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রথম শিকার হয় মাঞ্চুরিয়া। ‘রোম- বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি’ স্বাক্ষর, দ্বিতীয়বার চিন আক্রমণ এবং সর্বোপরি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল হারবার আক্রমণ উগ্র জাতীয়তাবাদেরই বহিঃপ্রকাশ ছিল।
এইভাবে জার্মানি, ইটালি ও জাপানের উগ্র জাতীয়তাবাদ বিশ্ববাসীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়ংকর যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করতে বাধ্য করেছিল।
(xii) Barrackpore Govt High School-এর 4. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ-ঙ
5 (i) Burdwan Raj Collegiate School-এর 5. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) Baita MN High School (HS)-এর 5. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) রুশ বিপ্লবের পটভূমি : ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বলশেভিক বিপ্লব মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই বিপ্লবের মূলে ছিল রুশ জনসাধারণের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অসন্তোষ ও বিক্ষোভ। ঐতিহাসিক লিপসন বলেন যে, ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের কারণ রুশ ইতিহাসের মধ্যে নিহিত ছিল। রুশ বিপ্লবের পটভূমি রচনা করেছিল নিম্নলিখিত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণগুলি
অর্থনৈতিক : রুশ বিপ্লবের প্রাক্কালে রাশিয়াতে বহু একচেটিয়া মালিকানাধীন শিল্প গড়ে উঠেছিল। পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারখানাগুলি একচেটিয়াভাবে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে বহু মুনাফা লুঠত।
এর ফলে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫,৪০০ মিলিয়ন রুবেল। অপরদিকে গ্রামীণ অর্থনীতি ছিল ‘কুলাক’ শ্রেণিভুক্ত মুষ্টিমেয় সমৃদ্ধিশালী মানুষের হাতে। এর ফলে রুশ অর্থনীতি একেবারে দুর্বল ও অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়ে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান ও যুদ্ধের ব্যয়ভারের চাপের দরুন জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক বৈপ্লবিক জাগরণ ঘটে।
রাজনৈতিক : বিশ শতকের সূচনায় সমগ্র ইউরোপ যখন জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক ভাবধারায় আলোড়িত তখন রাশিয়ায় চলছিল রোমানভ বংশের জারগণের নিরঙ্কুশ স্বৈরাচারী শাসন। জাররা গুপ্ত পুলিশবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাহায্যে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রেখেছিল। জারের শাসনে রাশিয়ার সাধারণ মানুষদের কোনো ব্যক্তিস্বাধীনতা ছিল না। জাররা ইচ্ছামতো ‘ডুমা’ও ‘জেমস্টভো’ ভেঙে দিতেন। ১৯০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ-জাপান যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় রুশ মর্যাদায় প্রবল আঘাত হানে এবং জারতন্ত্রের অপদার্থতা প্রকট হয়ে পড়ে। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবের প্রাক্কালে দুর্বলচিত্ত জার দ্বিতীয় নিকোলাস পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অপারগ হওয়ায় জারতন্ত্রের স্বৈরাচার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রুশরা বিপ্লবের ডাক দেয়।
জার শাসনাধীন রাশিয়া ছিল ‘বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কারাগার’। রাশিয়ার জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ ছিল পোল, ফিন, ইউক্রেনীয়, তুর্কি, জর্জীয়, আর্মেনীয় সহ নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবের পর জার সরকার ‘রুশীকরণ নীতি’ গ্রহণ করলে অরুশ জাতিগুলি নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়।
সামাজিক : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে রাশিয়ায় শিল্পবিপ্লব শুরু হলেও রুশ অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। জারতন্ত্রের শাসনে কৃষক ও শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ভূমিদাস প্রথার বিলোপ ঘটলেও কৃষকদের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
রাশিয়ায় শ্রমিকদের অবস্থাও ভালো ছিল না। শিল্পবিপ্লবের সুবাদে রাশিয়ায় কলকারখানা গড়ে উঠলেও মালিক ছিল অভিজাত শ্রেণি ও বিদেশি পুঁজিপতিরা। এদের শোষণে শ্রমিকদের মনে, অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। স্বল্প মজুরি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রুশ শ্রমিকদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলা বা আন্দোলন করার অধিকার তাদের ছিল না। তাই তারা জারতন্ত্রের উচ্ছেদ ঘটাতে চেয়েছিল।
সাংস্কৃতিক : নানা কারণে রাশিয়ার জনসাধারণের মনে স্বৈরাচারী জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভ দানা বাঁধছিল তখন একদল রুশ সাহিত্যিক ও দার্শনিক উদারনৈতিক ভাবধারা ও মানবতাবাদ প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা নেন। গোর্কি, টলস্টয়, পুশকিন, গোগল, তুর্গেনিভ, প্লেখানভ প্রমুখ রুশ সাহিত্যিক ও দার্শনিকরা তাঁদের রচনায় জারতন্ত্রের স্বরূপ উদ্ঘাটনের মাধ্যমে বিপ্লবের মানসিক ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে দেন।
এরূপ বিপ্লবাত্মক পরিস্থিতিতে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে প্রথম সাম্যবাদী রাষ্ট্র গড়ে ওঠে।