Taki Govt High School
১.২ ‘এ তো আমারই ফটো।’ – বক্তা – (ঘ) শোভন ।
১.৩ বঙ্গভূমির কপালে শোভা পায় – (খ) কাঞ্চন-শৃঙ্গ-মুকুট।
১.৪ ‘করি-কর সমান বরিষে (গ) জলধারা।’
১.৫ “মোগলাই রেস্তোঁরার বর্ণনাতে ভাষা অনেকখানি (ঘ) হুতোম-ঘ্যাষা”।
১.৬ ‘The Master as I saw him’-গ্রন্থটির রচয়িতা— (খ) মিস নোবল।
১.৭ ‘তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।’ — উক্তিটির বক্তা হলেন (গ) রাজ শ্যালক।
১.৮ প্রোফেসর শঙ্কুর প্রকৃত নাম – (ঘ) ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু ।
১.৯ আর্গাস ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেছিলেন যে বয়স থেকে (খ) উনিশ।
১.১০ ‘রিমেমব্রেন’-এর কাজ হল (ঘ) লুপ্ত স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ।
১.১১ ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ এককের নাম (গ) শব্দ।
১.১২ মান্য চলিত বাংলায় ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা – (খ) ৩০টি।
১.১৩ ‘গরমিল’ শব্দে গর একটি – (গ) বিদেশি উপসর্গ।
১.১৪ ‘Loan Word’-এর বাংলা আভিধানিক অর্থ – (খ) কৃতঋণ শব্দ।
১.১৫ টকটকে লাল। —এই বাক্যে টকটকে শব্দটি (গ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ।
১.১৬ নির্দেশক সর্বনাম পদটি হল – (ক) উনি ।
১.১৭ খাঁটি বাংলা অব্যয়টি হল (খ) তবু।
১.১৮ ক্রিয়ার মূলকে বলা হয় (গ) ধাতু।
২.১ মাহেশের রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে গিয়ে হঠাৎ বৃষ্টি নামায় মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিল।
২.১ Jenkins School, Cooch Behar-এর -এর উত্তরটি দেখুন।
২.৩ ‘খেয়া’ কবিতায় নদীর দুই তীরে বহুকালের চেনাজানা দুটি গ্রাম-এর উল্লেখ আছে।
২.৪ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ‘আবহমান’ কবিতায় কর্মসূত্রে প্রবাসী মানুষের দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষাকে যন্ত্রণা বলেছেন, যে যন্ত্রণার কোনোদিন অবসান হয় না ।
২.৫ Bankura Zilla School-এর ২.৬-এর উত্তরটি দেখুন।
২.৬ ‘ইনকিলাব’ শব্দটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন নজরুল ইসলাম।
২.৭ মহর্ষি কণ্ব হলেন সংসারবিবিক্ত, চিরকুমার ঋষি, চিরদিন যিনি অধ্যাত্মচিন্তায় মগ্ন থেকেছেন। ইনিই শকুন্তলার পালক পিতা।
২.৮ জুম্ভণাস্ত্র যার ওপর প্রয়োগ করা হয়, সে হাই তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়ে এবং অসম্ভব ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে ।
২.৯. সানতিয়াগোতে বিশ্ব পক্ষিবিজ্ঞানী সম্মেলন হয়েছিল।
২.১০ প্রোফেসর শঙ্কু আবিষ্কৃত এই যন্ত্রটি অচেনা ভাষাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেয়।
২.১১ অল্পপ্রাণ বর্ণ : বাংলা ব্যাঞ্জনবর্ণের প্রতি বর্গের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি উচ্চারণকালে প্রাণ বা শ্বাসবায়ু কম প্রয়োজন হয়। এদের অল্পপ্রাণ বর্ণ বলে।
যেমন—ক্, গ্, চ্, জ্, টু, ড্, ত্, দ, প্, ব্
২.১২ পিশাচ > পিচাশ এক্ষেত্রে ধ্বনিবিপর্যয় হয়েছে।
২.১৩ ‘সন্ধি’ শব্দটির অর্থ হল মিলন।
২.১৪ ‘পরা’ উপসর্গ দিয়ে তৈরি একটি শব্দ হল পরাজয়। 1
২.১৫ প্রত্যয় প্রধানত দু-রকমের প্রত্যয়। (ক) কৃৎ প্রত্যয়, (খ) তদ্ধিত
২.১৬ মিশ্র শব্দ : এক ভাষার শব্দ, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদির সঙ্গে অন্য ভাষার শব্দ, উপসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করলে তাকে সংকর বা মিশ্র শব্দ বলে। যেমন- -মাস্টার (বিদেশি শব্দ) + ই (বাংলা প্রত্যয়) = মাস্টারি ।
২.১৭ যখন এক বা একাধিক শব্দাংশ জুড়ে একটি নতুন শব্দ গঠিত হয় তাকে বলে জোড়কলম শব্দ। একটি জোড়কলম শব্দের উদাহরণ হল – ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা।
২.১৮ সকলে মিলে আমরা কাজটি সমাধান করলাম। – – রেখাঙ্কিত শব্দটি হল সমষ্টিবাচক শব্দ।
৩.১ Contai Model Institution-এর ৯.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৩.২ লিও তলস্তয়-এর লেখা ‘ইলিয়াস’ গল্পে মহম্মদ শা-র অতিথিরা ইলিয়াসকে প্রশ্ন করে যে ইলিয়াসের অতীত জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে এবং এখনকার দুরাবস্থার কথা ভেবে দুঃখ হয় কি না। এখানে এই বিষয়ের কথাই বলা হয়েছে।
৫.১ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ৫.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৫.২ ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া যখন হিমালয় দর্শনের উদ্দেশে রেলপথে যাত্রা করেছিলেন তখন জলপ্রপাত বা নির্ঝর লেখিকার দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। এই জলপ্রপাত-এর সৌন্দর্য ছিল অবর্ণনীয়। তা যেন ধরণীর কোনো এক প্রান্ত থেকে উৎপত্তি লাভ করে প্রচণ্ডবেগে ধাবিত হয়ে, প্রস্তর বিদ্ধ করে অনন্তের দিকে ছুটে চলেছে। এই গতির শেষ বা বিরাম বলে কিছুই নেই। লেখিকার রেলগাড়ি জল পরিবর্তনের জন্য সেখানে কিছু সময় থেমেছিল। তিনি প্রাণভরে তখন জলপ্রপাতের সেই সৌন্দর্যরূপ দর্শন করেন। লেখিকার মনোরথ পূর্ণ হয়।
৬.১ Bankura Zilla School-এর ৫.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৬.২ Balurghat High School-এর ৭.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৭.১ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে সংকলিত প্রশ্নোদৃত অংশে ‘লোকটি’ হল জার্মানির নাৎসি পার্টির অন্যতম প্রধান, হিটলারের মুখ্য সহচর, জার্মানির সামরিক শক্তির অধিকর্তা হের্ গোয়ারিং।
জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি পার্টি সুদীর্ঘকাল যাবৎ ইহুদিদের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে—এ খবর ভারতে থাকতেই অবগত হয়েছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু। জার্মানিতে ভারততত্ত্ববিদ হাইনরিখ স্টাইনারের বাড়ি থেকে শঙ্কুকে অপহরণ করা হয় হিটলারের পার্শ্বচর হের্ গোয়রিং-এর নির্দেশেই। কারিনহলে গোয়রিং-এর সঙ্গে সাক্ষাতে তার জাত্যভিমান, ইহুদিবিদ্বেষ, প্রোফেসর স্টাইনারের প্রতি, সর্বোপরি ইহুদিদের প্রতি হীন মন্তব্যে প্রোফেসর শঙ্কু অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন এবং তার প্রতি তাঁর অশ্রদ্ধা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৭.২ সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ গল্পে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা প্রোফেসর শঙ্কু। শঙ্কু তার বাড়ির সাতাশ বছরের পরিচারক প্রহ্লাদকে রকেটে করে মঙ্গলাভিযানে নিয়ে যেতে যান।
Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর ৪.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৮.২ আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত। পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে সহায়-সম্বলহীনা রাধারাণী ও তার মা সম্পত্তিসংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পাড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে রাধারাণী যখন অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়, তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এক আগন্তুকের।
অচেনা সেই আগন্তুক রাধারাণীর সঙ্গে কথোপকথনকালে তার অসহায়তার কথা জেনে মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাধারাণী দ্বিধাগ্রস্ত হয় উপকারী সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দাম গ্রহণে। শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়ে মালার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন। রাধারাণীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠান, এমনকি একটা নোটও ফেলে যান তাদের বাড়িতে। এই সমস্তই তিনি সচেতনভাবে করেন যাতে রাধারাণীর উপকার হয়। তাঁর দেওয়া দানে যথার্থই রাধারাণীর উপকার হয়। রাধারাণী অসুস্থ মায়ের জন্য পথ্য জোগাড় করতে পারে, প্রদীপ জ্বালার জন্য তেলও কিনতে পারে। কিন্তু তাঁর দেওয়া নোটটি তারা ভাঙায় না। পরবর্তীকালে রাধারাণী ও তার মা শ্রীরামপুর ও তার নিকটবর্তী স্থানে রুক্মিণীকুমার রায়ের বহু সন্ধান করে, কিন্তু এই নামের কারোর সন্ধানই পায় না। তারা তখন নোটটি যত্ন করে তুলে রাখে। অর্থের প্রয়োজন তাদের ছিল ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় বলেই রুক্মিণীকুমারের দান গ্রহণ করেছে আর সেই দানে তাদের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোনো লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁর সন্ধান করেছিল তারা।
৯.১ Bankura Zilla School-এর ৬.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৯.২ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ সান্ধ্যকালীন বঙ্গপ্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এবং বিচিত্র গন্ধের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রাণের হদিস। সন্ধ্যার সূচনালগ্নে ‘আকাশে সাতটি তারা’ ফুটে উঠলে কবি বসে থাকেন ঘাসের উপর। সান্ধ্যসৌন্দর্যে মোহিত কবি প্রত্যক্ষ করেন নানা অচাতিতাই অনুষঙ্গে বাংলাদেশের প্রাণের উপস্থিতি। গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে অস্তমিত সূর্যের আলোয় ভাসমান কামরাঙা-লাল মেঘ। কবি তার সঙ্গে মিল খুঁজে পান মৃত মুনিয়া পাখির। কবি প্রত্যক্ষ করেন শান্ত অনুগতভাবে বাংলাদেশে নেমে আসছে নীল সন্ধ্যা আর তার মায়াবী আলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে বাংলার নিসর্গপ্রকৃতি। কবির তাই মনে হয় এই সন্ধ্যা যেন রূপকথার কেশবতী কন্যার মতোই মোহময়ী। কবি অনুভব করেন বঙ্গপ্রকৃতির এই বিরল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত সমগ্র বিশ্ব। সন্ধ্যার স্নিগ্ধ গন্ধ কবি উপলব্ধি করেছেন প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে। কখনও নরম ধান ও কলমির ঘ্রাণে; আবার কখনও হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণে কবি প্রকাশিত হতে দেখেছেন বাংলার প্রাণ। কখনও বা কিশোরীর চালধোয়া ভিজে হাতের স্পর্শে, কিশোরের পায়ে দলা মুথাঘাস এবং পাকা বটফলের নীরব ক্লান্তির মধ্যে কবি প্রকাশিত হতে দেখেছেন বাংলার হৃদয়কে।
১০.১ মহান চিন্তানায়ক স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর ‘চিঠি’ রচনায় একান্ত অনুগত শিষ্যা মিস নোকে সাবধান করেছেন।
আলোচ্য পত্রের প্রথমাংশে বিবেকানন্দ ভারতের নারীসমাজের জন্য মিস নোব্ল্-এর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বেশ কিছু প্রতিকূলতার কথাও বলেছেন। মিস নো-এর পরাধীন ভারতবর্ষের কাজের ক্ষেত্রে ভারতবাসীর কুসংস্কার যেমন বাধা দান করবে, তেমনি বাধা দান করবে ভারতের জলবায়ু। শহরের বাইরে কোথাও ইউরোপীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়ার উপায় নেই, তবু বিবেকানন্দ তাঁকে সাহস জোগানোর জন্য বলেছেন – “এসব সত্ত্বেও যদি তুমি কর্মে প্রবৃত্ত হতে সাহস কর, তবে অবশ্য তোমাকে শতবার স্বাগত জানাচ্ছি।” তিনি আমরণ মিস নোল্-এর পাশে থাকবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেও মিস নোকে সাবধান করে দিয়েছেন।
স্বামীজির লক্ষ্য মিস নো-কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, মিস মুলার বা অন্য কারোর আশ্রয় নিলে চলবে না। কারণ মিস মুলার স্বভাবে আজন্ম নেত্রী হলেও ছেলেবেলা থেকে একটি ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে পড়েছেন যে, দুনিয়ার সবকিছুকে ওলট-পালট করতে শুধু টাকার প্রয়োজন। স্বামীজি মিস নোকে জানিয়েছেন—“দিন কয়েকের মধ্যেই তুমি বুঝতে পারবে যে, তাঁর সঙ্গে বনিয়ে চলা অসম্ভব।’ তবে মুলার সংকল্প করেছেন কলকাতায় একটি বাড়ি ভাড়া নেবেন তাঁর নিজের জন্য এবং মিস নোব্ল্ ও ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত অন্যান্য বন্ধুদের জন্য। কিন্তু তাঁর এই সংকল্প সফল হবে না দুটি কারণে— তাঁর রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ততা। কারো কারো সঙ্গে তাই দূর থেকে বন্ধুত্ব করা ভালো। স্বামীজি মনে করেন— “যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, তার সবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।”