Sanskrit Collegiate School
১.১ চন্দ্রনাথ তার চিঠির সম্বোধনে যে শব্দটি কেটে দিয়েছিল – (গ) প্রিয়বরেষু।
১.২ “এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।”—সাধটি হল – (ঘ) পর্বত দর্শন
১.৩ “আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম।” – বক্তা হলেন (ক) রুক্মিণীকুমার।
১.৪ ইলিয়াসের ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল – (গ) কিরবিজরা।
১.৫ “আসিয়াছে শান্ত অনুগত” – (খ) নীল সন্ধ্যা।
১.৬ ‘খেয়া’ কবিতাটির উৎস – (ঘ) চৈতালি’ কাব্যগ্রন্থ।
১.৭ ‘নেভে না’ তার যা নেভে না, তা হল (খ) যন্ত্রণা।
১.৮ “ওরে ও তরুণ ঈশান!”—‘ঈশান’ শব্দটির অর্থ হল –
১.৯ একটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হল (গ) সংস্কৃত।
১.১০ ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে যে মহাকাব্যের উল্লেখ আছে – (খ) মহাভারত।
১.১১ বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি হল – (ক) পদাবলি কীর্তন
১.১২ ‘কারিনহল’ প্রাসাদে বিজ্ঞানী শঙ্কু উপস্থিত হন – (গ) আটটায়।
১.১৩ কলকাতার যে কলেজে শঙ্কু অধ্যাপকের কাজ পান (গ) স্কটিশচার্চ কলেজ।
১.১৪ স্বর্ণপর্ণীর কথা শঙ্কুর বাবা যে গ্রন্থে পেয়েছিলেন (ক) চরকসংহিতা।
১.১৫ স্বরভক্তির একটি উদাহরণ হল – (খ) ত্রিশ > তিরিশ।
১.১৬ ‘অপিনিহিতি’ শব্দের অর্থ হল – (গ) পূর্বে স্থাপন।
১.১৭ পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম (খ) সন্ধি।
১.১৮ ‘স্বল্প’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হবে (ক) সু + অল্প।
১.১৯ উপসর্গ ধাতুর – (ক) পূর্বে বসে।
১.২০ বিশেষ্য পদ নির্দেশ করে (খ) নামকে।
২.১ ভুটিয়ানিরা নিজেদেরকে ‘পাহাড়নি’ বলে পরিচয় দেয়।
২.২ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চন্দ্রনাথ’ গল্পে কথক নরু
ওরফে নরেশ, চন্দ্রনাথকে অন্ধকারে খুঁজছে।
২.৩ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ উপন্যাসে আলোচ্য উক্তিটি রাধারাণীর মায়ের।
২.৪ ‘ইলিয়াস’ গল্পে মহম্মদ শা-র আত্মীয়রা যখন ইলিয়াসের মুখে শুনল যে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী এতদিন ধনী থাকা সত্ত্বেও সুখ পায়নি অথচ এখন সুখে আছে তখন তারা এই কথা শুনে হেসে উঠেছিল।
২.৫ ‘নোঙর’ কবিতাটি কবি অজিত দত্তের লেখা।
২.৬ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় চাঁদা ও সরপুঁটি মাছের উল্লেখ আছে।
২.৭ কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভাঙার গান’ কবিতায় ‘পাগলা ভোলা’ বলে কবি বিদ্রোহী বিপ্লবীদের সম্বোধন করেছেন।
২.৮ ‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন বাংলাদেশের পল্লিপ্রকৃতিকে ঘিরে বঙ্গজনের বেঁচে থাকার স্বাদ ও সাধ ফুরোয় না। তাই তাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, যন্ত্রণা-উন্মাদনা পুরোনো বা বাসি হয় না কখনও। জননী এবং জন্মভূমির সৌন্দর্য আজীবন অমলিন থাকে মানুষের মনে।
২.৯ স্কুল কলেজ থেকে আমরা সংস্কৃত চর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না। কারণ, বাংলাতে এখনও আমাদের বহু সংস্কৃত শব্দের প্রয়োজন। স্কুল কলেজ থেকে সংস্কৃত চর্চা উঠিয়ে দিলে আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হব।
২.১০ ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী উর্দু কবি ইকবাল-এর উল্লেখ করেছেন।
২.১১ বাউল হল ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও সংস্কার থেকে মুক্ত এক বিশিষ্ট সাধক সম্প্রদায়। বিশেষ সুরে গেয় আধ্যাত্মিক সংগীত তাদের মধ্যে প্রচলিত।
২.১২ টিড়ীবাবা হলেন একজন সন্ন্যাসী। তিনি উশ্রী নদীর ওপারে একটা গ্রামে গাছতলায় বসে ধ্যান করেন। সেখানে বহুলোক তাঁর দর্শন করতে যায়।
২.১৩ সাড়ে ছ-হাজার ফুট উঁচুতে পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত কসৌলি শহরে দুর্গম শ্বাপদসংকুল জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ঝরনার পাশ থেকে স্বর্ণপর্ণীর গাছড়া খুঁজে পেয়েছিলেন শঙ্কু।
২.১৪ ইংল্যান্ডে গিয়ে শঙ্কু দেখেছিলেন ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ন্যাশনাল গ্যালারি, মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম, মারমেড থিয়েটারে বার্নড শ-র ‘পিগম্যালিয়ন’ নাটক ও কবি কিসের বাড়ি।
২.১৫ একটি তাড়িত ধ্বনি হল ‘ড়’। ২.১৬ পটললতা > পলতা এটি সমাক্ষর লোপ
২.১৭ অনু + তাপ = অনুতাপ করছে। · রাম তার কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ
২.১৮ ‘কাগজ’ একটি ফারসি শব্দ।
২.১৯ ওকে দেখার জন্য মনটা আঁকু পাঁকু করছে। নিম্নরেখ অংশটি— অনুকার শব্দ ।
৩.১ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ উপন্যাসে আগন্তুক ব্যক্তি রুক্মিণীকুমার রাধারাণীকে টাকা দিয়েছিল।
মাহেশের রথের মেলায় রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে বিক্রি করতে গিয়েছিল তার মায়ের জন্য পথ্য কিনবে বলে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি নামায় তার মালা বিক্রি না হওয়ায় সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরছিল। রাধারাণীর মুখে সমস্ত কথা শুনে রুক্মিণীকুমার দয়ার বশবর্তী হয়ে তার ঘরের ঠাকুরের জন্য মালাগুলি কিনে নেয় ও তার দামস্বরূপ রাধারাণীকে টাকা দেয়।
৩.২ লিও তলস্তয়ের লেখা ‘ইলিয়াস’ গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে তিনি বলতে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগি-এর কথা বলা হয়েছে।
শাম-শেমাগি ইলিয়াসের সহধর্মিণী। জীবনের সুখ থেকে দুঃখ–এই সমস্ত পর্যায়েই সে তার স্বামীর যথার্থ সঙ্গিনী। একসময়ের বিত্তবান ইলিয়াস দরিদ্র হবার পর তার জীবনে পর্বান্তর ঘটে। এই পর্বান্তরের নীরব সাক্ষী শাম-শেমাগি। এছাড়া সে ভালো কথা সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলতে পারত। তাই ইলিয়াসের জীবনের উত্থানপতনের যথার্থ সাক্ষী হিসেবে সে-ই সেসব কথা সুন্দরভাবে বলতে পারবে। তাই শাম-শেমাগিকেই দুঃখসুখের কথা অতিথিদের সামনে বলতে হয়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ৪.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৪.২ ‘খেয়া’কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইতিহাসের পাতায় লক্ষ করেছেন দ্বন্দ্ব-সর্বনাশের ঘটনাধারা। তিনি দেখেছেন লোভ-ঈর্ষা-ক্রোধে মত্ত হয়ে মানুষ বারবার ধ্বংসলীলায় মেতেছে। বিজয়ীর তলোয়ার ঝলসে উঠেছে আর রাজশক্তির মস্তকে শোভা পেয়েছে সোনার মুকুট। লোভে মত্ত হয়ে অসংযমী বিকারগ্রস্ত মানুষ পাশবিক উল্লাসে মেতে উঠেছে বারবার সভ্যতাকে রক্তাক্ত করেছে, রক্তে আর্দ্র হয়েছে ইতিহাসের পাতা।
জৈবিক প্রবৃত্তির কদর্যরূপের প্রকাশ ঘটিয়ে রাজশক্তি যুগে যুগে লোভ-ঈর্ষা-ক্রোধে মেতে ওঠে। সেই রক্তপ্রবাহ ফেনিয়ে ওঠার মধ্যে সৃষ্টির-ধ্বংসের কালো ছায়া কবি লক্ষ করেছেন।
৫.১ লেখিকা বেগম রোকেয়া হিমালয় দর্শন করে অত্যন্ত সুখ অনুভব করেছেন। ঈশ্বরের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। যতই তিনি ভ্রমণ করেছেন, ততই তাঁর ভ্রমণপিপাসা আরও বেড়ে গেছে; বেড়েছে দর্শনপিপাসাও। তাই তাঁর মনে হয়েছে বিধাতা দুটি চোখ দিয়েছেন কিন্তু তা দিয়ে যতটা দেখা যায়, আরও অনেক চোখ দিলে তার থেকে আরও বেশি দেখা যেত। উঁচু শৃঙ্গ কিংবা ঝরনা প্রত্যেকেই যেন বলছে তাদের না দেখে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে। মহাশিল্পীর শিল্পকে উপাসনা করতে, শ্রদ্ধার্পণ করতে। তবেই ধন্য হয়ে উঠবে সৃষ্টি ও স্রষ্টা।
হিমালয় দর্শনকালে পার্বত্য প্রকৃতির শোভা দেখে লেখিকার মনে হয়েছিল যে বিধাতা যেন চিত্রকর। এই বিশ্ব-প্রকৃতি তাঁর ক্যানভাস। রং-তুলির টানে পার্বত্যভূমির চিত্র অঙ্কন করে রেখেছেন তিনি। বনভূমি, ঝরনা, নদী, উপত্যকা, মেঘ, হরিৎক্ষেত্র, শ্যামল চায়ের ক্ষেত্র সমস্তই তাঁর চিত্রিত নিপুণ ছবি। মহান শিল্পীর আঁকা সেই বিস্তৃত ক্ষেত্রের মাঝে হিমালয় বালুকণার চেয়েও ছোটো।
৬.৩ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত ‘আবহমান’ কবিতা থেকে সংকলিত প্রশ্নোদ্ধৃত চরণে, মাটি ও হাওয়া বলতে বাংলাদেশের মাটি তথা বাংলার প্রকৃতিলগ্ন গ্রামগুলিকে বোঝানো হয়েছে। এই বাংলার মাটি, হাওয়া এমন এক ভালোবাসার বাতাবরণে বঙ্গজনকে লালন করে যে প্রকৃতির সঙ্গে মানবমনের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রামজীবনের সঙ্গে তথা প্রকৃতির সঙ্গে লগ্ন হয়ে মানুষের বেঁচে থাকার স্বাদ ও সাধ ফুরোয় না। “ ‘আবহমান’ কবিতায় জন্মভূমি বাংলার প্রতি প্রবাসী মানুষের অমোঘ টান ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন কবি। জন্মভূমি মায়ের সমতুল্য। তার প্রতি প্রত্যেক মানুষের আকর্ষণ থাকে। তার জল, হাওয়া তথা সমগ্র সৌন্দর্য মানুষের কাছে ভালোবাসার, শ্রদ্ধার। তাই কবি বলেছেন প্রবাসী মানুষ জন্মভূমি ছেড়ে গেলেও তার কাছে ফিরে আসতে চায়, তাকে ‘আবার’ ভালোবাসে।
৭.১ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ১০.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৭.২ শৈলশহর আলমোড়া থেকে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই মিস মার্গারেট নোব্ল্ বা ভগিনী নিবেদিতাকে স্বামী বিবেকানন্দ যখন এই চিঠি লেখেন তখন ভারতবর্ষ ইংরেজ শাসিত। পাশাপাশি ভারতের সমাজ, কুসংস্কার, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অস্পৃশ্যতা, অজ্ঞতায় অন্ধকারাচ্ছন্ন। নারীরা সেদিন নিদারুণ নিপীড়িত। নারীসমাজের কল্যাণে ও স্ত্রীশিক্ষার প্রসারে প্রয়োজন ছিল প্রকৃত নেতৃত্ব দেওয়ার মানুষের। ইংরেজের দাসত্ব করতে করতে ভারতবাসী এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিল যে বিদেশি শাসকের ‘পাদুকাতলে’ লুটিয়ে পড়ে ‘ঘৃণায় মাখা অন্ন’ খুঁটে বাড়ি যেতে তাদের কুণ্ঠা ছিল না।
স্বামীজি বুঝেছিলেন ভারতীয়রা বহু বছরের প্রাচীন কুসংস্কার ও বিধি-নিষেধের বশবর্তী হয়ে চেতনার চারপাশে গড়ে তুলেছিল দুর্ভেদ্য প্রাচীর। জাতপাত, ছোঁয়াছুঁয়ি, সংস্কার মানুষকে ক্রমশ মানসিক অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে বীর সন্ন্যাসী চেয়েছিলেন ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে অতলস্পর্শী আর্থ-সামাজিক জড়ত্বের শিকড় ছিন্ন করে এক উন্নত ভারতবর্ষ গড়ে তুলতে।
‘চিঠি’ রচনায় স্বামীজি তাই সামাজিক তথা আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরে মিস নোকে ভারতবর্ষে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তামসিকতা ও জড়তায় আচ্ছন্ন, সীমাহীন দারিদ্র্য, জীর্ণ লোকাচার, জাতিভেদ, মনুষ্যত্বের অপমৃত্যু, স্ত্রীজাতির প্রতি অবমাননা, অশিক্ষা সর্বোপরি দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকে আত্মবিশ্বাস হারানো সামাজিক ছবিটি ফুটে উঠেছে এই চিঠিতে। যার জন্য লেখক খুঁজেছেন একজন ‘প্রকৃত সিংহী’কে, যে ভারতবর্ষের সমাজকে তামসিক জড়তা থেকে মুক্তি দেবে। ভারতীয় নারীজাতির মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাবে। মুক্তি দেবে নারীজাতিকে কুসংস্কারের তীব্র যন্ত্রণা থেকে।
তাই স্বামীজি মিস নোকে লিখেছিলেন—’এদেশে এলে তুমি নিজেকে অর্ধ-উলঙ্গ অসংখ্য-নরনারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবে।’ এখানে সামাজিক ছবিটি স্পষ্ট।