নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় বাংলা সেট ১২

Rampurhat High School

নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় বাংলা সেট ১২

১.১ দুই তীরে দুই গ্রাম আছে (খ) জানাশোনা।
১.২ ধ্বংস-নিশান উড়বে – (ক) প্রাচীর ভেদ করে। 
১.৩ “… বিবেকের বাণী ছুটেছে জগৎময়,” – ‘বিবেকের বাণী’ বলতে বোঝানো হয়েছে (ঘ) বিবেকানন্দের কথা।
১.৪ “একটু যেন কম্পিত তবু ধীর ও শান্ত” – এই শান্ত স্বরে বাবা অনুরোধ করেছিলেন (খ) শোভন ফিরে এসো।
১.৫ “আলোকিত যে দিবসটি অবসান হইয়া তমসা-পারাবারের মধ্যে ডুব দিল,” – ‘তমসা-পারাবার’ শব্দের অর্থ—(ক) অন্ধকার সমুদ্র।
১.৬ ‘বিষাণ’ শব্দটির অর্থ – (গ) শিঙা।
১.৭ ‘অ্যানাইহিলিন’ পিস্তলের বৈশিষ্ট্য হল (গ) শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে।
১.৮ প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা হলেন – (গ) ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু।
১.৯ স্পর্ধা > আস্পর্ধা – এখানে যে জাতীয় ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে তা হল – (ক) আদিস্বরাগম।
১.১০ ‘দিগন্ত’ সন্ধি বিচ্ছেদ করলে হবে – (খ) দিক্ + অন্ত। 
১.১১ ‘মহোৎসব’ সন্ধি বিচ্ছেদ করলে হবে – (গ) মহা + উৎসব।
১.১২ ‘সঘনে চিকুর’ কথাটির অর্থ – (খ) বিদ্যুৎসহ মেঘ গর্জন। 1
১.১৩ পাঠ্যাংশের ‘চিঠি’ নামক পত্রটির রচনাকার (গ) স্বামী বিবেকানন্দ ।
১.১৪ “সিংহল নাম রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়” ‘রেখে গেছে’ – (ক) যৌগিক ক্রিয়া। 
১.১৫ বাক্যে প্রয়োগকালে যে পদের কোনো ব্যয় হয় না। (গ) অব্যয়ের।
১.১৬ ‘নিজে’ একটি – (ক) আত্মবাচক সর্বনাম।
১.১৭ ‘বাম হাতে যার কমলার ফুল,’ এখানে যার কথা বলা হয়েছে (ক) বঙ্গদেশ।
১.১৮ রাধারাণী রথ দেখতে গিয়েছিল – (খ) মাহেশে ।
১.১৯ “সে স্কলারশিপ পাইবে।” – ‘স্কলারশিপ্’ পাবে – (গ) হীরু। 
১.২০ স্বর্ণপর্ণীর রং (খ) হলুদ।
২.১ বিদ্রোহী কবি নজরুলের ‘ভাঙার গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশে উল্লিখিত ‘ঈশান’ কথাটির অর্থ মহেশ্বর বা শিব।
‘তরুণ ঈশান’ বলতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবীদের বোঝানো হয়েছে।
২.২ ‘খেয়া’কবিতায় কবি তাঁর দৃষ্টি সুদূরে প্রসারিত করে মনশ্চক্ষে
পৃথিবীতে ঘটতে দেখেছেন যুগে যুগে কালে কালে বহু দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সর্বনাশের ঘটনাধারা। 
২.৩ এক মুহূর্ত স্তব্ধ থেকে চন্দ্রনাথ তার দাদা নিশানাথকে বলেছিল সেকেন্ড প্রাইজ নেওয়াটা সে অসম্মানের বলে মনে করে। 
২.৪ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দাম’ গল্পের কথক সুকুমার তার ছেলেবেলার অঙ্কের মাস্টারমশাইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পত্রিকায় গল্প লিখেছে।
২.৫ নায়েবমশাই শোভনকে জানান, সাতদিন আগেই শোভন রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে অপঘাতে মারা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তার খবর বিজ্ঞাপন দেখে জানিয়েছে এবং হাসপাতাল থেকে তার সমর্থনও তারা পেয়েছেন।
২.৬ প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে, দৈনিক সংবাদপত্রে একইসঙ্গে প্রকাশিত সাত-সাতটা নিরুদ্দেশ-এর বিজ্ঞাপনকে আশ্চর্যের ব্যাপার বলে কথকের মনে হয়েছে।
৩.১ বিদ্রোহী কবি নজরুল ভারতবর্ষের পরাধীনতার জ্বালা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন। তাই তিনি অত্যাচারী ইংরেজদের কারাগারে বন্দি ভারতীয় বিপ্লবীদের সঙ্গে একীভূত হয়ে লৌহকঠিন কারাগারের কপাট ভেঙে ফেলতে চান। ‘পাগলা ভোলা’-র মতো প্রবল শক্তিধর হয়ে প্রলয় দোলায় গারদগুলোকে জোরসে ধরে হ্যাঁচকা টানে ভূলুণ্ঠিত করে সবকিছু লোপাট করতে চান। কবিতার শেষাংশে কবি বলেছেন – ‘লাথি মার, ভাঙরে তালা !”
কবি অবজ্ঞা ভরে পদাঘাত করে ইংরেজদের ভীম কারাগারের তালা ভাঙতে চান। তারপর বন্দিশালায় আগুন জ্বালিয়ে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে চান।
এই ভাঙার মধ্যে অত্যাচারী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সুর ধ্বনিত হয়েছে।
কবি নজরুল স্বদেশপ্রেমিক, সুন্দরের পূজারি। তাই স্বদেশের অপমান তিনি যেমন সহ্য করেন না, তেমনই সুন্দরের অপমানেও তিনি কষ্ট পান। তিনি কবি, তিনি সচেতন, সংবেদনশীল এবং প্রতিবাদী। তিনিই বলতে পারেন –
“রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা।”
পরাধীনতার জ্বালাতে কবির সহ্যশক্তি হারিয়ে গেছে বলেই তিনি প্রতিবাদী হয়েছেন। তিনি দেখেছেন ভারতবর্ষের মানুষেরা ইংরেজদের অত্যাচারে জর্জরিত। এমন পরিস্থিতিতে তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে ‘অগ্নিবীণা’ হাতে নিয়ে ‘বিষের বাঁশি’তে ‘ভাঙার গান’ গেয়েছেন। তাঁর বিদ্রোহ প্রকাশ পেয়েছে ‘ভাঙার গান’ গীতিকায়—
“কারার ওই লৌহ-কপাট
ভেঙে ফেল, কর রে লোপাট 
রক্ত-জমাট
শিকল-পুজোর পাষাণ-বেদী!”
৩.২ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘আমরা’ কবিতায় বাঙালি সাধক বলতে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুকে বোঝানো হয়েছে। মানুষের দীর্ঘকালের ধারণা ছিল উদ্ভিদের প্রাণ নেই, তারা জড় পদার্থ। কিন্তু বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু জড় ও জীবের মধ্যে উত্তেজনাপ্রসূত বৈদ্যুতিক সাড়ার সমতা নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু ‘Responses in the living and Non-living’ বইটিতে তিনি দেখান বৈদ্যুতিক, রাসায়নিক ও যান্ত্রিক উত্তেজনায় উদ্ভিদ ও প্রাণী একভাবে সাড়া দেয়। উদ্ভিদও মানুষের মতোই সজীব উপাদান। এতকালের চিরাচরিত বিশ্বের ধারণা সেদিন পরিবর্তিত হয়েছিল বাঙালি এই বিজ্ঞান সাধকের তপস্যার ফলে। তাঁর কৃতিত্ব বিশ্বজগতে অবিস্মরণীয়। বাঙালি জাতির গৌরবময় ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমরা’ কবিতায় জগদীশ চন্দ্র বসুর উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞানীর উদ্ভিদের প্রাণ আবিষ্কারের বিষয়কে কবি জড়ের সাড়া পাওয়া বলেছেন।
হিন্দু তন্ত্রসাধনার একটি অংশ হল ‘শব-সাধনা’। মৃত ব্যক্তির দেহের উপর অধিষ্ঠান করে সাধক এই সাধনা করেন। আর অন্যদিকে প্রাণহীন ‘জড়’ বলে পরিচিত বস্তুর মধ্যে অনুভূতি ও প্রাণস্পন্দন আবিষ্কার দুরূহ কাজ। সমগ্র জগতের দীর্ঘকালের মান্য তথ্যকে জগদীশ। চন্দ্র বসু নিজের তপস্যার দ্বারা পরিবর্তন করেছেন। তাই কবি বলেছেন তান্ত্রিকের শব সাধনার থেকে বৃহত্তর সাধনা হল বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর সাধনা।
৩.৪ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চন্দ্রনাথ’ গদ্যাংশে হীরু একটি বিশিষ্ট চরিত্র। চরিত্র মহিমায় সে আকাশের শুকতারার মতোই প্রদীপ্ত অথচ তার আলো কোমল, স্নিগ্ধ। ধনীর সন্তান বলে তার কোনো অহংকার নেই। হীরু মেধাবী ছাত্র। চন্দ্রনাথের প্রতি বছর প্রথম হওয়ার রেকর্ড সে ভেঙে দিয়েছিল। অবশ্য চন্দ্রনাথের কথা অনুযায়ী হীরু নাকি চন্দ্রনাথের খাতা থেকে অঙ্ক ঢুকেছিল। তা যদি সত্যি হয়েও থাকে তবু সেটুকু ছাড়া সে আর কোনো অসততা করেনি। তার কাকা স্কুলের সেক্রেটারি হওয়ায় সে যদি বাড়তি সুবিধে পেয়ে থাকে এবং সহকারী শিক্ষক যদি পক্ষপাতিত্ব করেই থাকেন তবু তাতে হীরুর কোনো দোষ নেই ।
হীরু ফার্স্ট হয়েও সহপাঠী চন্দ্রনাথের দ্বিতীয় হওয়াতে সমব্যথী হয়েছে। সে কখনও চন্দ্রনাথের প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেও সে চন্দ্রনাথকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ভালো ফল করায় হীরু স্কলারশিপ পাবে। তাই তার বাড়িতে প্রীতিভোজের যে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় তাতে চন্দ্রনাথকেও নিমন্ত্রণ করতে সে ভোলেনি। অনুষ্ঠানে আগত সহপাঠী নরুকে সে সমাদর করে বসিয়েছে এবং অকপটে তার মনের ইচ্ছে ব্যক্ত করেছে— “বিলেতে যাবার আমার বড়ো সাধ, নরু।” হীরুর শান্ত স্বভাব, সরলতা আর বন্ধুপ্রীতির আরও পরিচয় পাওয়া যায় যখন সে প্রধান শিক্ষকের কাছে নরুর সাহিত্যকৃতির প্রশংসা করে। নরুর লেখা কাগজে বেরিয়েছে— এ খবরে খুশি হয়ে সে মাস্টারমশাইকে জানায়। অনুষ্ঠানের দিন গ্রাম ছেড়ে চলে যাবার আগে চন্দ্রনাথ যে চিঠি তাকে লিখে গেছে হীরু সেটি নরুকে দেখায়। সেই চিঠি স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সে রেখে দেয় এবং চন্দ্রনাথের গন্তব্য ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তিত হয়। উৎসবের সমারোহের মধ্যেও হীরু কিন্তু তার অভিমানী বন্ধুকে ভোলেনি।
৩.৫ Barlow Girls’ High School (HS)-এর ১১.১-এর উত্তরটি দেখুন।
৩.৬ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ১২.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৩.৭ স্বরসংগতি : উচ্চারণের সুবিধার্থে শব্দমধ্যস্থ অসম স্বরধ্বনি যখন সম বা প্রায় সম স্বরধ্বনি হয়ে যায়, তখন তাকে স্বরসংগতি বা স্বরের উচ্চতা সাম্য বলে। যেমন— দেশি > দিশি ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি : অপিনিহিতি প্রক্রিয়ায় শব্দের অন্তর্গত ‘ই’ বা ‘উ’ তার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের আগে সরে এসে সেই ‘ই’বা ‘উ’যখন পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে ও নিজেও তার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন— করিয়া > কইর্যা > করে। ” ব্যঞ্জনসংগতি : শব্দমধ্যে যুক্তব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে উচ্চারণের সুবিধার্থে তাদের সমব্যঞ্জনে রূপান্তরিত করার পদ্ধতিকে ব্যঞ্জনসংগতি বলে। যেমন— পদ্ম > পদ্দ।
৫.১ গঠনগত দিক থেকে শব্দ দুইপ্রকার। যথা— (ক) মৌলিক শব্দ ও (খ) সাধিত শব্দ। 
রূঢ় শব্দ ও যোগরূঢ় শব্দের মাধ্য পার্থক্য :
যেসব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হয় তাদের রুঢ়ি বা রুঢ় শব্দ বলে। | যেমন— গবাক্ষ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ—গোরুর চোখ, ব্যাবহারিক | বা প্রচলিত অর্থ—জানলা)।
যেসব সাধিত শব্দ একাধিক ব্যুৎপত্তিগত অর্থের যে-কোনো একটিকে বোঝায় তাকে যোগরুঢ় শব্দ বলে। যেমন— পঙ্কজ (ব্যুৎপত্তিগত অর্থ যা পাঁকে জন্মায়। পাঁকে অনেক কিছুই জন্মায় কিন্তু পঙ্কজ শব্দটির ব্যাবহারিক অর্থ কেবল পদ্ম ফুলকেই বোঝায়)।
৫.২ নির্দেশক সর্বনাম : দূরের বা কাছের কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করার জন্য যে সর্বনাম পদ ব্যবহার করা হয়, তাকে নির্দেশক সর্বনাম বলে। যেমন—এটা, ওটা, এ, এরা, ওই, ইনি, উনি, উহারা, ইহারা ইত্যাদি।
নির্দেশক সর্বনাম দুই প্রকার (ক) নৈকট্যসূচক বা সামীপ্যবাচক : প্রাণীবাচক—এঁরা, ইনি। অপ্রাণীবাচক—ইহা, এ, এটা। (খ) দূরত্বজ্ঞাপক : প্রাণীবাচক – উনি। অপ্রাণীবাচক ওই, উহা ।
৫.৩ প্রত্যয় : যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ ধাতু বা শব্দের মূল অংশের সঙ্গে যোগ করে নতুন ধাতু বা শব্দ তৈরি করা হয় এবং নতুন অর্থের প্রতীতি বা ধারণা হয়, তাকে প্রত্যয় বলে।
যেমন— চল্ (ধাতু) + অন (প্রত্যয়) = চলন।
ধাতু-প্রত্যয় ও শব্দ-প্রত্যয়ের মাধ্য পার্থক্য : 
ধাতুর শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে ধাতু-প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয় বলে।
যেমন— কৃ + তব্য = কর্তব্য।
শব্দ বা নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে শব্দ প্রত্যয় বা তদ্বিত প্রত্যয় বলে।
যেমন—বাবু + আনা = = বাবুয়ানা।
৫.৪ শুদ্ধ বানানগুলি হল – মুহূর্ত, বৃষ্টি, পুরোহিত, জীবিকা।
৫.৫ বাংলা শব্দভাণ্ডারে শব্দ মূলত তিন প্রকার। যথা— (ক) মৌলিক শব্দ, (খ) আগন্তুক শব্দ ও (গ) নবগঠিত শব্দ ।
এই প্রত্যেকটি শব্দের আবার কতগুলি ভাগ আছে। (ক) মৌলিক শব্দ—তৎসম, তদ্ভব, অর্ধতৎসম, দেশি শব্দ।
(খ) আগন্তুক শব্দ—মারাঠি, গুজরাটি, তামিল, হিন্দি ইত্যাদি প্রাদেশিক শব্দ এবং আরবি, ফার্সি, চিনা, ইংরেজি ইত্যাদি বিদেশি শব্দ ।
(গ) নবগঠিত শব্দ মিশ্র বা সংকর শব্দ, অনূদিত শব্দ, খণ্ডিত শব্দ ।
৫.৬ (ক) ধ্বংস – নিশান উড়ুক – ‘ধ্বংস’ হল তৎসম শব্দ। (খ) কে মালিক কে সে রাজা – ‘মালিক’ হল আরবি শব্দ। (গ) নাচে ওই কাল-বোশেখি –‘কাল-বোশেখি’ হল অর্ধতৎসম শব্দ।
৫.৭ (ক) যা সত্য তাই সুন্দর 1 ‘যা-তা’ হল সাপেক্ষ সর্বনাম।
(খ) সবার উপরে মানুষ সত্য ‘সবার’ হল সমষ্টিবাচক সর্বনাম। (গ) আপনারে বড়ো বলে বড়ো সেই নয়। – -‘আপনারে’ হল আত্মবাচক সর্বনাম।
৬.১ বিরাম, বিশ্রাম বা অবকাশকে শ্রমের অপচয় বলা অনুচিত। বিশ্রামের মধ্য দিয়ে শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার জন্য শরীর প্রস্তুত হয়। যেমন— চোখের পাতাও অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়। চোখের পাতা চোখকে বিশ্রাম দেয়; যার কারণে চোখ সুস্থ থাকে।
অনেকে বিরাম বা বিশ্রামকে কাজের অপচয় বলে মনে করেন। তাদের ধারণা বিশ্রাম বৃথা কালক্ষেপ। কিন্তু মানুষ একটানা পরিশ্রম করে যেতে পারে না। অবিরাম কাজ করতে করতে মানুষের কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়, কারণ কাজ করাকালীন মানুষের শক্তিক্ষয় হয়। তাই শরীরে নতুন শক্তি ও উদ্যম জোগান দেয় বিশ্রাম। একটানা কাজ করে কোনো মানুষ একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে কাজ করতে পারে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নিয়ে সেই নির্ধারিত সময়ে অপর ব্যক্তি তার চেয়ে অধিক কাজ করতে সক্ষম হয়। তাই বিরাম বা বিশ্রাম কখনোই শ্রমের অপচয় নয়, তা কর্মেরই অঙ্গ বা অংশ। অপরদিকে নয়ন বা চোখও একটানা দেখতে সক্ষম নয়, তাকে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিলে চোখ আবার নব উদ্যমে দেখতে সক্ষম হয়। তাই চোখের পাতা দেহের অপ্রয়োজনীয় অংশ নয়। চক্ষুপল্লব না থাকলে মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে, কারণ অবকাশ বা বিশ্রাম ব্যতীত কোনো অঙ্গই কর্মক্ষম থাকতে পারে না। যন্ত্রের যেমন বিশ্রাম প্রয়োজন তেমনি মানুষেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই বিরাম ও কাজ এবং চোখ ও চোখের পল্লব একে অপরের পরিপূরক।
৬.২ ভয় মানুষের আত্মশক্তির ভিতকে দুর্বল করে দেয়। ভয়কে জয় করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে যথার্থ মানুষের মতো পৃথিবীতে বাঁচতে হবে। ভীরু ব্যক্তি মানবতার কলঙ্কস্বরূপ।

Leave a Comment