পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ-

ঋতু পরিবর্তন: পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ঋতু পরিবর্তন। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত ছাড়াও আরও দুটি ঋতুর অস্তিত্ব এখানে অনুভব করা যায়- হেমন্ত ও বসন্ত।

মৌসুমি বায়ুর উপস্থিতি: গ্রীষ্মকালে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও শীতকালে মধ্য এশিয়া থেকে আগত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু এই রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু :
ঋতুগত বৈচিত্র্য দেখা গেলেও এই রাজ্য ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় বলয়ের মধ্যে অবস্থিত। তাই সামগ্রিকভাবে এই রাজ্যের জলবায়ু উষু ও আর্দ্র প্রকৃতির।

উষ্ণতার স্বাভাবিক অবস্থা: মূলত পুরুলিয়া জেলা ছাড়া আর কোথাও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা খুব অস্বাভাবিক হারে বাড়ে না। আবার শীতকালে দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামে না।

আর্দ্র গ্রীস্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল: পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মকালে হয়। শীতকালে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না, শীতকাল শুষ্ক থাকে।

বৃষ্টিপাতের বিভিন্নতা: পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ঘটে উত্তরদিকে পার্বত্য অঞ্চলে। কিন্তু উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। মালভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে কম।

স্থানভেদে উষ্ণতার তারতম্য: পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ঋতুতে স্থানভেদে উন্নতার তারতম্য লক্ষিত হয়। যেমন গ্রীষ্মকালে কলকাতার চেয়ে আসানসোলের তাপমাত্রা বেশি হয়। শীতকালে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা শিলিগুড়ির চেয়ে কম হয়।

বর্ষার আগমনের অনিশ্চয়তা: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ রাজ্যে বর্ষার আগমন খুবই অনিশ্চিত। নির্ধারিত সময়ের কখনও আগে, আবার কখনও পরে বর্ষা এ রাজ্যে আসে। ফলে বন্যা বা খরা দেখা দেয়।

তুষারপাত: এ রাজ্যে একমাত্র পার্বত্য অঞ্চলেই তুষারপাত ঘটে।

ঘূর্ণিঝড় : গ্রীষ্মকালে ‘কালবৈশাখী’, শরৎকালে ‘আশ্বিনের ঝড়’ ও শীতকালে ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝা’ এ রাজ্যের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য।

Leave a Comment