![]() |
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যভাগের নদনদীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। |
মধ্যাঞ্চলের বা মধ্যবঙ্গের নদনদীসমূহ
গঙ্গা নদী (520 কিমি): গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী। যদিও পশ্চিমবঙ্গের খুব সামান্য অংশ দিয়ে গঙ্গা নদী প্রবাহিত হয়েছে। মুরশিদাবাদ জেলার মিঠিপুর গ্রাম থেকে গঙ্গা দুটি শাখায় ভাগ হয়ে একটি শাখা পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে এবং অন্য শাখাটি ভাগীরথী-হুগলি নাম নিয়ে সাগরদ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
ভাগীরথী-হুগলি নদী: পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার বদ্বীপ সমভূমি অঞ্চলের প্রধান নদী ভাগীরথী-হুগলি। গঙ্গার এই শাখা নদীটি নদিয়ার স্বরূপগঞ্জ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত হুগলি নদী নামে পরিচিত এবং বাকি অংশ ভাগীরথী-হুগলি নামে পরিচিত।
এই অঞ্চলের অন্যান্য নদীগুলিকে ভাগীরথী-হুগলি নদীর ডানতীরের উপনদী ও ৫৮ ভাগীরথী-হুগলি নদীর বামতীরের উপনদী এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ভাগীরথী-হুগলি নদীর ডানতীরের উপনদী: ভাগীরথী- হুগলি নদীর ডানতীরের বা পশ্চিমতীরের উপনদীগুলি হল দামোদর, রূপনারায়ণ, ময়ূরাক্ষী, অজয়, দ্বারকেশ্বর, হলদি, ব্রাহ্মণী, শিলাবতী, কংসাবতী বা কাঁসাই প্রভৃতি। কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর মিলিত প্রবাহ হলদি নদী নামে এবং শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বর নদীর মিলিত প্রবাহ রূপনারায়ণ নদ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
- বর্ষার জলে পুষ্ট;
- গ্রীষ্মকালে নদীতে প্রায় জল থাকে না বা শুকিয়ে যায়;
- বর্ষাকালে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ প্রায়ই বন্যা ঘটায়।
ভাগীরথী-হুগলি নদীর বামতীরের উপনদী: ভাগীরথী- হুগলি নদীর বামতীরের বা পূর্বতীরের প্রধান উপনদীগুলি হল- জলঙ্গী ও চূর্ণি। এ ছাড়া কিছু শাখানদী; যেমন- পদ্মার শাখানদী মাথাভাঙা ও মাথাভাঙার শাখানদী কালিন্দী, ইছামতী এবং ভাগীরথীর শাখানদী বিদ্যাধরী এখানে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া মাতলা, পিয়ালী নদীর কিছু অংশ এখানে প্রবাহিত।
বৈশিষ্ট্য:
- প্রধানত লবণাক্ত জলে পুষ্ট;
- পলি জমে অধিকাংশ নদীই মৃতপ্রায় বা মজে গেছে;
- নদী উপত্যকার গভীরতা কম বলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।