প্রাকৃতিক মানচিত্র কাকে বলে ও বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক মানচিত্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয় |
ভূপ্রাকৃতিক মানচিত্র (Relief Map): যে প্রাকৃতিক মানচিত্রে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন ভূমিরূপ যেমন পর্বত, মালভূমি, পাহাড়, সমভূমি, পর্বতশৃঙ্গ, উপত্যকা, পর্বতমালা, জলনির্গম প্রণালী ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়, তাকে ভূপ্রাকৃতিক মানচিত্র বলে। এই মানচিত্র পাঠ করে আমরা ওই অঞ্চলের জনবসতির ধরন, রাস্তাঘাট, রেলপথ নির্মাণের স্থান ইত্যাদি নির্বাচন করতে পারি, ওই অঞ্চলে জমির ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে থাকি।
মৃত্তিকা মানচিত্র (Soil Map): সমগ্র পৃথিবী বা কোনো দেশের বিভিন্ন গুণসম্পন্ন মৃত্তিকার অবস্থান দেখানোর জন্য যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে মৃত্তিকা মানচিত্র বলে। এই মানচিত্র থেকে কোনো অঞ্চলের কৃষিকাজ ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের ধারণা পাওয়া যায়।
জলবায়ু মানচিত্র (Climatic Map): সমগ্র পৃথিবী বা কোনো দেশের বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের বিন্যাস যে মানচিত্রে দেখানো হয় তাকে জলবায়ু মানচিত্র বলে। এই মানচিত্র থেকে কোনো অঞ্চলের জলবায়ুর প্রকৃতি জানা যায়।
উদ্ভিদ মানচিত্র (Vegetation Map): সমগ্র পৃথিবী বা কোনো দেশের স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে উদ্ভিদ মানচিত্র বলে।
ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র (Geological Map): বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগের শিলার ধরন, ভাঁজ, চ্যুতি, ফাটল প্রভৃতি যে মানচিত্রে দেখানো হয় তাকে ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র বলে।
আবহ মানচিত্র (Weather Map): কোনো স্থানের নির্দিষ্ট দিনের বিশেষ একটি সময়ের উয়তা, আর্দ্রতা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, মেঘাচ্ছন্নতা, বায়ুপ্রবাহের দিক, বায়ুর বেগ প্রভৃতি প্রচলিত প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে যে মানচিত্রে দেখানো হয়, তাকে আবহ মানচিত্র বলে।
জ্যোতিষ্ক মানচিত্র (Astronomical Map): মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ নক্ষত্রমণ্ডল প্রভৃতির অবস্থান ও পারস্পরিক দূরত্ব যে মানচিত্রে দেখানো হয় তাকে জ্যোতিষ্ক মানচিত্র বলে। NASA, ISRO প্রভৃতি সংস্থা এই মানচিত্র প্রস্তুত করে।