প্রোটো সায়েন্স’ বা ‘প্রাক্-বিজ্ঞান’ বলতে কী বোঝ

ভূমিকা
অপরসায়নবিদ্যার কোনো বাস্তব বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছিল না। প্রাচীন থেকে মধ্যযুগীয় ইউরোপে যুক্তিহীন অপরসায়নচর্চা এবং জাদুবিদ্যা প্রায় সমার্থক ছিল। পরবর্তীকালে এই জাদুবিদ্যার সংস্কার করেই আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তাই জাদুবিদ্যাকে ‘Proto Science’ বা ‘প্রাক্-বিজ্ঞান’ বলা হয়।
(1) শব্দের উৎপত্তি: গ্রিক শব্দ প্রোটো (Proto)-র অর্থ প্রথম। অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরে যে চর্চার মাধ্যমে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব হয়, তা সাধারণভাবে প্রাক্-বিজ্ঞান (Proto Science) নামে পরিচিত।
(2) প্রাক্-বিজ্ঞানের ভিত্তি: টমাস কুনের মতে, প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইউরোপের দর্শন চর্চা, ওষধি চর্চা, কারুশিল্প চর্চা ইত্যাদি সকল কিছুতে যে অজানা অথচ জাদুর মতো কার্যকরী বস্তুসকল বা পদ্ধতি ব্যবহৃত হত, তাই-ই ক্রমাগত ‘অভ্যাস-পর্যবেক্ষণ-সিদ্ধান্ত’-এই চক্রের মাধ্যমে ধীরে ধীরে আধুনিক বিজ্ঞানের দিকে অগ্রসর হয়।
মূল্যায়ন
পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত অপরসায়নের দ্বারা (যা জনসমাজে জাদুবিদ্যার সমার্থক ছিল রোগ প্রতিকার থেকে শুরু করে ব্যাবহারিক অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হত। অপরসায়নের ক্রমাগত চর্চা ও পর্যবেক্ষণই পরবর্তীকালে আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা করে।
আরও পড়ুন – নুন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর