বিধবা এ প্রস্তাবে সহজেই সম্মত হইলেন।’-বিধবাটি কে? তাকে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? এই প্রস্তাবে সহজেই সম্মত হওয়ার কারণ কী?
বিধবার পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ গল্পে উল্লেখিত চক্রবর্তীর বাড়ির অল্পবয়সি, স্বামীহারা রমণীটি হল উদ্দিষ্ট বিধবা।
বিধবাকে দেওয়া প্রস্তাব
বিধবা রমণীটির দুই পুত্র। কনিষ্ঠ মাখনলাল সুশান্ত সুশীল ও বিদ্যানুরাগী। অপরদিকে জ্যেষ্ঠপুত্র ফটিক অবাধ্য, উচ্ছৃঙ্খল এবং পাঠে অমনোযোগী। এই ফটিককে কলকাতায় তার মামা নিজের কাছে রেখে শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার কারণ
বালকদলের সর্দার ফটিক সারাদিন তার দলবল নিয়ে নদীর ধারে বা খোলা মাঠে ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ করে অকর্মণ্যভাবে ঘুরে বেড়ায়। দিনের মধ্যে যখন-তখন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কেটে উপদ্রব করে কাটায়। কখনো-কখনো প্রকাণ্ড একটা ধাউস ঘুড়ি বোঁ বোঁ শব্দে মাঠে-মাঠে উড়িয়ে বেড়াত। খেলার ছলে কখনও বা নদীর ধারে মাস্তুলে রূপান্তরিত হওয়ার প্রতীক্ষায় পড়ে থাকা প্রকাণ্ড শালকাঠকে ফটিক সঙ্গীদের সাথে মিলে অন্যত্র গড়িয়ে নিয়ে যেত।
ফটিক তার কনিষ্ঠ মাখনলালকে নানাভাবে অত্যাচার করত। ফটিকের মা সর্বদা ফটিককে নিয়ে আশঙ্কা করতেন যে-‘কোন্ দিন সে মাখনকে ‘জলেই ফেলিয়া দেয় কি মাথাই ফাটায়, কি কী একটা দুর্ঘটনা ঘটায়…….’। এমন অবাধ্য উচ্ছৃঙ্খল ছেলে কলকাতায় মামাবাড়ি গেলে বাধ্য ও সুশৃঙ্খল হবে বলে ফটিকের মা মনে করেন। সেই সাথে পশ্চিম থেকে ফিরে আসা বিধবার দাদা যখন ফটিককে নিজের কাছে রেখে শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দেন, তখন সংগত কারণেই ফটিকের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিধবা সেই প্রস্তাবে সম্মত হন।
আরও পড়ুন – দর্শন শব্দের অর্থ MCQ