ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর (Marks 2, 3) | একাদশ শ্রেণি 2nd Semester WBCHSE
‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদটি কার লেখা? এটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? উত্তর ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদটি চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির লেখা।
পদটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত শ্যামাপদ চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘বৈষ্ণব পদাবলী’ গ্রন্থ থেকে আমাদের পাঠ্যাংশে সংকলিত করা হয়েছে।
ভাবসম্মিলন বলতে কী বোঝ?
কংসবধের জন্য কৃষ্ণ মথুরায় চলে গেলে রাধা বিরহব্যথায় আকুল হয়ে ওঠেন। তাঁর এই বিরহব্যথার অবসানকল্পে শ্রীরাধিকার কৃষ্ণের সঙ্গে মানসমিলন ঘটালেন বৈষ্ণব কবিরা। ভাব বা কল্পনার দ্বারা মিলনের উল্লাস বা আনন্দই হল ভাবোল্লাস বা ভাবসম্মিলন।
“ভাবসম্মিলন” পর্যায়ের কয়েকজন কবির নাম লেখো।
‘ভাবসম্মিলন’ পর্যায়ে প্রায় সকল পদকারই পদ লিখেছেন। যেমন-বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস প্রমুখ সকলেই ভাবসম্মিলনের পদ লিখেছেন। এই পর্যায়ে বিদ্যাপতির শ্রেষ্ঠত্ব অনস্বীকার্য।
‘কি কহব রে সখি আনন্দ ওর।’-অংশটিতে কে কাকে কী বলেছেনে?
‘ভাবসম্মিলন’ পদটিতে রাধা তাঁর সঙ্গীদের উদ্দেশ করে বলেছেন যে, মাধব অর্থাৎ কৃষ্ণ তাঁর মন্দিরে অর্থাৎ গৃহে ফিরে এসেছেন তাই তাঁর সুখের অন্ত নেই। কৃষ্ণের বিরহে তিনি যত দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছেন, প্রিয়মিলনের এই সুখের অনুভূতির কাছে তা কিছুই নয়।
‘পাপ সুধাকর যত দুঃখ দেল’ কথাটির মধ্য দিয়ে রাধা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
রাধা বলতে চেয়েছেন চন্দ্রের কিরণে বিরহে ব্যাকুল রাধার মধ্যে কামনাবাসনা জাগ্রত হয়েছে। তাঁর সেই আর্তিতে ছিল পাপ। দেহজ বাসনাকামনা তাঁকে ভয়ানক দুখী করে তুলেছিল। বিচ্ছেদের নিদারুণ বেদনা তাঁর মর্মে মর্মে আঘাত এনেছিল।
‘পিয়া-মুখ-দরশনে তত সুখ ভেল।।’-অংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কার উক্তি এবং কার সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন?
অংশটি প্রাকৃচৈতন্য যুগের পদাবলী কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কথাগুলি বলেছেন স্বয়ং শ্রীরাধিকা। তাঁর প্রিয়তম মাধব বা কৃষ্ণের মুখ চাঁদের মতো সুদর্শন। সেই প্রিয়ের মুখ দর্শন করে রাধিকার মনে এক অনির্বচনীয় সুখানুভূতি তৈরি হল। এই মানসমিলনের আনন্দানুভূতি তাঁর সমগ্র দেহ-মনকে আচ্ছন্ন করেছে।
রাধিকা তাঁর প্রিয়তম কুরুকে আর দূরদেশে পাঠাবেন না কেন?
রাধিকা অনেক বিরহ ও কষ্টের পর ভাবসম্মিলনে আবার কৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হতে পেরেছেন। সেই মিলনের যে অপরিমেয় সুখ, তিনি আর তা হারাতে চান না। কেউ যদি রাধাকে আঁচল ভরতি করে মহামূল্যবান রত্নও দেন, কোনো কিছুর বিনিময়ে তিনি আর মাধবকে দূরে কোথাও যেতে দেবেন না।
ভাবসম্মিলনের পদে রাধা কৃছুকে কোন্ কোন্ জিনিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
শ্রীরাধা কান্তকে তাঁর জীবনের অঙ্গাঙ্গীস্বরূপ মনে করেন। কুয়ের সঙ্গে তাঁর পরমাত্মার সম্পর্ক, তাঁর অবস্থান কত গভীর তা বোঝাতে গিয়ে চারটি উপমা ব্যবহার করেছেন। তিনি হলেন রাধার জীবনে শীতের আবরণ বা চাদর, গ্রীষ্মের মনোরম বাতাস, বর্ষার ছাতা এবং নদীর নৌকা। শীত নিবারণের জন্য যেমন চাদরের প্রয়োজন, গ্রীষ্মের দাহ থেকে বাঁচায় বাতাস, বর্ষার বৃষ্টিতে ছাতা এবং দরিয়া পার হওয়ার জন্য নৌকা প্রয়োজন। মানুষের জীবনে এগুলো যেমন একান্ত প্রয়োজন, কুরুও তেমনি রাধার সলো একান্তভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন।
‘ভনয়ে বিদ্যাপতি শুন বরনারি।’-‘বরনারি’ কে? তাঁকে কবি বিদ্যাপতি কী বলেছেন?
এখানে ‘বরনারি’ হলেন রাধিকা। কবি বিদ্যাপতি রাধিকাকে ‘শ্রেষ্ঠা নারী’ বলেই সম্বোধন করেছেন।
বিদ্যাপতি রাধিকাকে সম্বোধন করে বলেছেন যে, তিনি হলেন শ্রেষ্ঠা নারী। তাঁর মতো ভালোমানুষ কখনো বেশিদিন দুঃখকষ্ট পেতে পারে না। স্বয়ং কৃত্বের বিরহে রাধার জীবনে দুঃখ-যন্ত্রণা এসেছিল। এখন ভাবসম্মিলনে প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভ করে তাঁর সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণার উপশম হবে। তিনি আনন্দ সাগরে ডুব দিয়ে প্রেমের আবির কুমকুমে ভালোবাসার অরূপরতনের স্পর্শ পাবেন।
“সুজনক দুখ দিবস দুই-চারি।।”-পদটি কার লেখা এবং কোথা থেকে তা নেওয়া হয়েছে? ‘সুজনক’ শব্দের অর্থ কী? কাকে এবং কেন ‘সুজনক’ বলা হয়েছে?
পদটি চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির লেখা ‘ভাবসম্মিলন’-এর অন্তর্গত।
এটি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত শ্যামাপদ চক্রবর্তী সম্পাদিত বইটি থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘সুজনক’ শব্দটির অর্থ হল সুজন অর্থাৎ ভালো লোক।
কবি রাধিকাকে ভালো মানুষ বা শ্রেষ্ঠা নারী বলেছেন। কারণ প্রিয়তমের বিরহব্যথায় তিনি আকুল হয়েছেন। ভাবের মিলনে তিনি হয়েছেন পরিপূর্ণা। ভাবোল্লাসেই তিনি হয়ে উঠেছেন শ্রেষ্ঠা এবং সুজন।
‘কি কহব রে সখি আনন্দে ওর।’ -কথাগুলো কে বলেছেন? কোন প্রসলো কথাগুলি বলেছেন?
চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদটিতে বিরহব্যাকুলা রাধিকা কথাগুলি তাঁর সখীদের বলেছেন।
রাধিকার পরম প্রিয় মাধব, তাঁর প্রেমিক মথুরাগমন করেছেন কংসবধের জন্য। তারপর তিনি আর বৃন্দাবনে ফিরে আসেননি। ফলে বৃন্দাবনবাসী রাধিকার মধ্যে প্রবল বিরহজ্বালা তৈরি হয়। সবকিছুর মধ্যে তিনি কৃষ্ণকে দেখতে পান। মেঘ দেখে। তাকে কৃত ভেবে হন উল্লসিত। ভুল করে কৃষ্ণ ভেবে জড়িয়ে ধরেন তমাল বা তালগাছকে। যমুনার জল দেখে মনে পড়ে দয়িত কৃষ্ণের কথা। শ্রীরাধার এই অন্তহীন বিরহের অবসানকল্পে শ্রীকৃয়ের সঙ্গো তাঁর মানসমিলন ঘটে। কল্পনায় তিনি অনুভব করেন মাধব তাঁর গগৃহে বা মন্দিরে আবার ফিরে এসেছেন। ফলে তাঁর মনে আনন্দের সীমা নেই, হৃদয়ে তার সুখের লহরী। এই প্রসঙ্গেই রাধিকা কথাগুলি তার সখীদের উদ্দেশ করে বলেছেন।
“পাপ সুধাকর যত দুখ দেল।/পিয়া-মুখ-দরশনে তত সুখ ভেল।।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
অংশটি চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদ থেকে নেওয়া হয়েছে।
কংসবধের জন্য কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরা গমন করেন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। ফলে শ্রীরাধা কৃত্বের বিরহে ব্যাকুল হয়ে পড়েন। অনেক দুঃখ-জ্বালার অবসানে তাঁর সঙ্গো কুয়ের মানসমিলন ঘটে। ভাবসম্মিলনেই তাঁর সকল দুঃখ-যন্ত্রণা শেষ হয়। তাঁর আনন্দের সীমা থাকে না। চিরদিনের জন্য কৃষ্ণ আবার তাঁর কাছে ফিরে এসেছেন। এই প্রসঙ্গেই তাঁর আনন্দানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাগুলি বলেছেন।
কৃষ্ণের সঙ্গে রাধা কল্পনায় মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ভাবোল্লাস এক চরম প্রেমানুভূতিতে পরিণত হয়েছে। তাই তিনি সখীদের উদ্দেশ করে বলেছেন যে, তিনি কৃত্বের বিরহজ্বালায় উন্মাদ হয়েছিলেন। তাঁর কামনাবাসনা তাঁকে চরম দুঃখের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। চাঁদের কিরণ তাঁকে জীবনের প্রতি মোহগ্রস্ত করে তুলেছিল। তাই তিনি চরম দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু আজ যখন প্রিয়মিলনের সুখ অনুভব করছেন তা এক পরম প্রাপ্তি। বিরহের দুঃখভোগের তুলনায় আনন্দানুভূতির এই সুখ শতগুণ বেশি। পার্থিব জৈবিক চাহিদা নয়, তাঁর প্রিয়তম চিরকাল তাঁর মনের মন্দিরে অবস্থান করুন এটাই রাধার একান্ত চাওয়া।
“আঁচর ভরিয়া যদি মহানিধি পাই।/তব হাম পিয়া দূরদেশে না পাঠাই।।”-কথাগুলি কে কাকে বলেছেন? কেন বলেছেন?
কথাগুলি চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদে শ্রীরাধা তাঁর সখীদের উদ্দেশে বলেছেন।
শ্রীরাধিকা কৃষ্ণের বিচ্ছেদবেদনা ভোগ করেছেন। তারপর অনেকদিন পরে কৃষ্ণ ফিরে এসেছেন তাঁর কাছে। বস্তুত কৃত্নের সলো রাধার মানসমিলন ঘটেছে। এই মিলনে তিনি অবিমিশ্র সুখ ও তৃপ্তি লাভ করেছেন। তাই তিনি তাঁর প্রিয়তমকে কোথাও দূর দেশে পাঠাবেন না বলে স্থির করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁকে যদি আঁচল ভরতি করে কোনো মহামূল্যবান রত্নও দেওয়া হয় তাহলেও তিনি প্রিয়তমকে কোথাও যেতে দেবেন না। কারণ ধনরত্ব মানুষকে শুধুমাত্র পার্থিব সুখ দেয়। তা কখনো প্রিয়মিলনের পরম সুখপ্রাপ্তির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। পার্থিব সম্পদ জাগতিক সুখভোগের উপায় মাত্র, ভালোবাসার কুসুমমালা রচিত হয় না। কবির কথায়-
"সমাজ সংসার মিছে সব, মিছে ও জীবনের কলরব। কেবল আঁখি দিয়ে আঁখির সুধা পিয়ে হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব- আঁধারে মিশে গেছে আর সব।"
শীতের ওানী বরিষার ছত্র পিয়া দরিয়ার না।।”-অংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? প্রসঙ্গসহ অংশটির তাৎপর্য লেখো।
অংশটি প্রাক্চৈতন্যপূর্ব কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদ থেকে অংশটি নেওয়া হয়েছে।
অংশটি রাধিকা তাঁর সখীদের কাছে কৃষ্ণ তাঁর জীবনে কতখানি জুড়ে আছেন, সেটা বোঝাতে গিয়ে উক্ত উপমাগুলি ব্যবহার করেছেন।
কৃষ্ণ ছিলেন রাধিকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দীর্ঘদিন বিরহের পর মাধব যখন আবার রাধিকার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তখন তিনি কোনো মূল্যেই তাঁকে আর কাছছাড়া করবেন না। শ্রীরাধা বলেছেন, কৃষ্ণ তাঁর শীতের আবরণ, শ্রীষ্মের বাতাস, বর্ষার ছাতা এবং দরিয়ার নৌকার মতো। কৃষ্ণ তাঁর জীবনে কতখানি কোথায় তাঁর স্থান সেটাই সুস্পষ্ট করেছেন এই উপমাগুলির মধ্য দিয়ে। শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন চাদর, গ্রীষ্মের দাবদাহে চাই মনোরম বাতাস অথবা বর্ষার ছাতা বা নদী পারাপারের জন্য একান্ত প্রয়োজন নৌকা। কৃষ্ণ সেভাবেই তাঁর জীবনে জড়িয়ে আছেন অঙ্গাঙ্গীভাবে, মিলনসুখের স্বপনসাগরে কুরুয় তাই রাধিকার পুলকিত প্রাণের চিরসুন্দরের অভিবন্দনা।
“ভণয়ে বিদ্যাপতি শুন বরনারি।/সুজনক দুখ দিবস দুই-চারি।।”-‘ভণয়ে’ শব্দটির অর্থ লেখো। ‘বরনারি’ কাকে বলা হয়েছে? অংশটির মধ্য দিয়ে বিদ্যাপতি কী বলতে চেয়েছেন?
‘ভণয়ে’ শব্দটির অর্থ হল ‘বলেন’। এখানে ‘বিদ্যাপতি বলেন’ এই অর্থে কথাটি বলা হয়েছে।
‘বরনারি’ শব্দটির অর্থ শ্রেষ্ঠা নারী। এখানে শ্রীরাধাকে ‘বরনারি’ বলা হয়েছে।
এই অংশে বিদ্যাপতি শ্রীরাধিকাকে উদ্দেশ করে বলেছেন যে, সুজনের অর্থাৎ ভালো মানুষের দুঃখকষ্ট বেশিদিন থাকে না। দু-চারদিন দুঃখ-যন্ত্রণা আসে, তারপর আবার সুখ এসে ধরা দেয়। যেমন-শ্রীকৃষ্ণের অন্তর্ধানে রাধার জীবনে বিচ্ছেদের দুঃখ এসে তাঁকে যন্ত্রণা দিয়েছে। কিন্তু পুনরায় কৃল্পের সঙ্গে ভাব-মিলনের ফলে তাঁর সমস্ত বিরহ-বেদনা ও জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ হবে এবং তিনি প্রিয়মিলনের আস্বাদ উপভোগ করবেন। রাধার হৃদয়শতদলে সুনীল সাগরের প্রেমকল্লোল নবনব রূপে দেখা দেবে, রাধিকার প্রেমের মঞ্জুরীতে ফুটবে মুকুল।
‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদটিতে বিদ্যাপতির কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও।
প্রাকৃচৈতন্য যুগের কবি বিদ্যাপতির ‘ভাবসম্মিলন’ নামক পদটিতে তাঁর কবিপ্রতিভার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। ব্রজবুলি ভাষায় লেখা পদটি অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। সংস্কৃত শাস্ত্রে পণ্ডিত বিদ্যাপতির পদটিতে রাধিকার ভাবোল্লাসের মধ্য দিয়ে হৃদয়ের অনুরাগের প্রকাশ ঘটেছে। রাধার মধ্যে রয়েছে দেহজ কামনাবাসনার প্রতিফলন। বিদ্যাপতি মৌলিক উপমা ব্যবহারে অনন্য। যেমন-রাধার কাছে কৃষ্ণ ‘শীতের ওঢ়নী’, ‘গীরিষির বা’, ‘বরিষার ছত্র’ বা ‘দরিয়ার না’। রাজসভার কবি হওয়ায় তাঁর কাব্যে বাকৃবৈদগ্য প্রকাশ পেয়েছে। ছন্দের ঝংকার এবং অলংকারের কারুকাজ সুক্ষ্মভাবে তিনি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর শিল্পচেতনা কাব্যকে উৎকর্ষ দান করেছে। সর্বোপরি রাধিকার হৃদয়ের নিবিড় উপলব্ধি প্রকাশের মধ্য দিয়েই পদটি সার্থকতা লাভ করেছে।
আরও পড়ুন – প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রবন্ধ রচনা