আলোচ্য অংশটি নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য কথাগুলি কৃষাণ নামক চরিত্রটি তার স্ত্রী কৃষাণিকে উদ্দেশ করে নিজের আত্মসমালোচনা করেছে।
বাংলার কৃত্রিম খাদ্যসংকটের সময় কৃষক-শ্রমিক-মধ্যবিত্ত-হতদরিদ্র মানুষের জীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিসহ। বেঁচে থাকার ন্যূনতম খাদ্যের জন্য তাদের অবস্থা ছিল দিশাহারা। নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে কৃষাণ এই অবস্থায় জমি থেকে কিছু চৈতালি ফসল ঘরে তুলে একটু নিশ্চিন্তভাবে দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে বাঁচার আশার কথা তার স্ত্রী কৃষাণিকে জানায়। কিন্তু পরমুহূর্তে আবার নিরাশ হয়ে যায়। সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার জীবনের বিভিন্ন ব্যর্থতা, অসফলতার কথা মনে পড়ে যায়। আর তাই তৎক্ষণাৎ আশাহত হয়ে এই কথাগুলি বলে অনুশোচনা করতে থাকে।