‘সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে’-কে, সর্বদা মনে মনে কী বুঝতে পারে

‘সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে’-কে, সর্বদা মনে মনে কী বুঝতে পারে

'সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে'-কে, সর্বদা মনে মনে কী বুঝতে পারে
‘সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে’-কে, সর্বদা মনে মনে কী বুঝতে পারে

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ ছোটোগল্পটিতে কলকাতায় মামাবাড়িতে থাকার সময় ফটিক চারদিকের পরিবেশে নিজের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বুঝতে পারে।

ব্যক্তির উপলব্ধি

কলকাতায় পৌঁছে মামির সঙ্গে কথাবার্তা বলেই বালক ফটিক বুঝতে পারে-মামি এই অনাবশ্যক পরিবারবৃদ্ধিতে মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি নিজের তিনটি ছেলে নিয়ে নিজের নিয়মে ঘরকন্না করছিলেন তার মধ্যে তেরো-চোদ্দো বছরের ফটিক এসে বিপ্লবের সূচনা করে। তার বয়সের ছেলের মতো ব্রাত্য আর কেউ হয় না। এই বয়সি ছেলের না আছে কোনো শোভা, না আছে কর্মদক্ষতা। সে না পারে স্নেহ উদ্রেক করতে, না পারে সঙ্গসুখ দিতে। তার মুখের আধো-আধো কথা ন্যাকামি, পাকা কথা জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগলভতা মনে হতে থাকে।

হঠাৎ কাপড়চোপড়ের পরিমাণ এতই বেড়ে ওঠে যে লোকে সেটা তার একটা কুশ্রী স্পর্শ বলে মনে করে। অন্যান্য কিশোরের মতো ফটিকেরও শৈশবের লালিত্য এবং কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা এই সময় হঠাৎ বিদায় নেওয়ার ফলে কলকাতার অন্যান্য ব্যক্তিদের মতো মামির কাছেও এটা অপরাধ বলে মনে হতে থাকে। শৈশব ও যৌবনের অনেক দোষ মাফ করা যায় কিন্তু ফটিকের মতো বয়সের কিশোরের অপরাধ ও সামান্য ত্রুটিও যেন অসহ্য বলে মনে হয়। চারদিকের বিরুদ্ধ পরিবেশ ও অসহনশীল মানুষদের মাঝে ফটিক যে নিজেকে কোনো ভাবেই মাপ খাওয়াতে পারছে না, ফটিক সেটা ভালোভাবেই সবসময় মনে মনে বুঝতে পারে।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment