Purulia Zilla School
বিভাগ – ক
(i) সাম্প্রতিককালে মহাকাশে প্রেরিত উন্নত টেলিস্কোপটি হল – (b) জেমস্ ওয়েব।
(ii) ‘Ges Periods’ বইটি লিখেছেন – (b) হেকাটিয়াস।
(iii) মৃত্তিকা সৃষ্টির পূর্বাবস্থাকে বলে (c) রেগোলিথ।
(iv) পশ্চিমবঙ্গের পুঞ্জিত ক্ষয় দেখা যায় (c) দার্জিলিং জেলায়
(v) ‘বাম-এ দুনিয়া’ বলা হয় (c) পামির মালভূমিকে ।
(vi) ONGC-এর সদর দপ্তর হল – (d) দেরাদুন-এ।
(vii) পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার অন্তর্ভুক্তি (b) 1956 সালে।
(vii) উৎকৃষ্ট শ্রেণির কয়লা অ্যানথ্রাসাইট ভারতের (b) রানিগঞ্জে পাওয়া যায় ।
(ix) পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল – (c) আমফান।
(x) পশ্চিমবঙ্গের একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল (a) চন্দননগরে।
(xi) বিজাতীয়টি হল – (d) ঝরিয়া।
(xii) একটি সামাজিক সম্পদ হল (c) গ্রন্থাগার।
(xiii) যখন পুরুলিয়ায় (82°30′ পূর্ব) সময় সকাল 11টা 30 মিনিট তখন ক্রোনোমিটারে সময় হবে (c) সকাল 6 টা।
(xiv) কোনো অঞ্চলের সমগ্র বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া বিপর্যয়টি হল – (c) দাবানল।
বিভাগ – খ
(i) দুটি প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য 24 ঘণ্টা। মিথ্যা
(ii) কলকাতায় পৃথিবীর পরিক্রমণ বেগ 1540 কিমি প্রতি ঘণ্টা। মিথ্যা
(ii) 180° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 24 ঘণ্টা। মিথ্যা
(iv) মার্মাগাও বন্দর দিয়ে সর্বাধিক লৌহ আকরিক বিদেশে রপ্তানি হয়। সত্য
(v) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলা ভেঙে ইছামতী জেলা তৈরি হল। মিথ্যা
(vi) কলকাতার পরিপুরক বন্দর হল হলদিয়া। সত্য
3 (i) ভারতের প্রাচীনতম তৈলকেন্দ্রের নাম ডিগবয়।
(ii) দ্রাঘিমারেখার অপর নাম দেশান্তর রেখা হলে অক্ষরেখার অপর নাম সমাক্ষরেখা।
(iii) আন্টার্কটিকাকে-কে The Land of Blizzard বলা হয়। (iv) আগামী অধিবর্ষ বছরটি হল 2024।
(v) এক AU সমান 149597871 কিলোমিটার ধরা হয়।
(vi) পাটের একটি উচ্চফলনশীল বীজের নাম হল সবুজ সোনা।
(i) সোনালি পানীয় বলা হয় চা-কে ।
(ii) গ্রানাইট শিলায় শল্কমোচন দেখা যায়।
(iii) আলাস্কার কাটমাই ন্যাশনাল পার্ককে Valley of Thousand Smoke বা সহস্ৰ ধুম্র উপত্যকা বলে।
(iv) সর্বাধিক সময় অঞ্চল রয়েছে রাশিয়াতে।
(v) পাত শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন জে টি উইলসন।
(vi) খোয়াই হল খাত ক্ষয়ের উদাহরণ।
5 (i) সাঁওতালডিহি © তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
(ii) প্রশাসনিক বিভাগ (a) 5 টি
(iii) কর্কটসংক্রান্তি (d) 21 জুন
(iv) ভর বিচরণ (b) পার্বত্য অঞ্চল
বিভাগ গ
6 (i) রবিমার্গ (Ecleptic) : Bankura Christian Collegiate School-এর 3. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ (Leap Year) : Balurghat High School-এর 4. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(ii) প্লাবন সমভূমি : AC Institution, Malda-এর 5. (A) (ii)-এর ‘প্লাবন সমভূমি’ অংশটি দ্যাখো ।
অথবা, পাত (Plate) : অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান ও চলনশীল শিলামণ্ডলের শক্ত ও কঠিন খণ্ডগুলিকে পাত বলে। 1956 সালে কানাডার ভূ-পদার্থবিদ জে টি উইলসন প্রথম পাত বা Plate শব্দটি ব্যবহার করেন। ভূত্বকে 7টি বড়ো পাত, ৪টি মাঝারি পাত ও 20 টিরও বেশি ছোটো পাত আছে।
উদাহরণ : ইউরেশীয় পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত প্রভৃতি।
(iii) শল্কমোচন (Exfoliation) : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. (A) (iv)-এর শল্কমোচন’ অংশটি দ্যাখো।
অথবা, বহুমুখী নদী পরিকল্পনা : Bankura Christian Collegiate School-এর 3. (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) ক্রমপুঞ্জিত দুর্যোগ : যে দুর্যোগের কারণগুলি ক্রমশ পুঞ্জীভূত হতে হতে দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের পর্যায়ে পৌঁছায় এবং যে দুর্যোগের প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়, তাকে ক্রমপুঞ্জিত দুর্যোগ বলে। যেমন— বন্যা।
অথবা, ভূমিকম্প (Earthquake) : সাধারণত কোনো প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক কারণে ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশ ক্ষণিকের জন্য হঠাৎ কেঁপে উঠলে সেই কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। তবে, রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের মাত্রা 7-এর বেশি হলেই তা অসংখ্য ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি ঘটিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
উদাহরণ : 2001 সালের 26 জানুয়ারি গুজরাটের ভুজে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল 7.8।
(v) পশ্চিমবঙ্গের ঋতুগুলির নাম হল – গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত।
অথবা, দক্ষিণবঙ্গের চারটি নদী হল – গোসাবা, পিয়ালী, মাতলা, ঠাকুরান।
(vi) ONGC :
পুরো কথা : Oil and Natural Gas Corporation.
স্থাপনকাল : 1956 সালের 14 আগস্ট এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সদর দপ্তর : দেরাদুন, উত্তরাখণ্ড।
উদ্দেশ্য : ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে খনিজ তেলের অনুসন্ধান করা ও তেল উত্তোলন করা।
অথবা, স্থিতিশীল উন্নয়ন (Sustainable Development) : রুন্টল্যান্ড কমিশনের মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে কোনো আপস না করে, বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর জন্য গৃহীত পরিকল্পনাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে।
বিভাগ ঘ
7 (i) পৃথিবীর অভিগত গোলকের তিনটি প্রমাণ : Burdwan Town School-এর 5. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, সক্রিয়তা অনুযায়ী আগ্নেয়গিরির শ্রেণিবিভাগ : Jalpaiguri Govt Girls’ High School-এর 4. (ii)-এর সক্রিয়তা অনুসারে শ্রেণিবিভাগ’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
অথবা, মানুষের উপর সমভূমির প্রভাব মানবজীবনে সমভূমির প্রভাব অপরিসীম। যেমন–
কৃষিকাজ সমভূমি অঞ্চল উর্বর পলিমাটি দিয়ে গঠিত বলে পৃথিবীর অধিকাংশ কৃষিকাজ সমভূমি অঞ্চলেই হয়ে থাকে। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, তৈলবীজ, পাট, ডালজাতীয় শসা, আয়, আলু, শাকসবজির চাষ হয়ে থাকে। এখানকার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। যেমন—— গায়ে বদ্বীপ সমভূমি কৃষিকাজে উন্নত।
পশুপালন : কৃষিকাজের পাশাপাশি এখানকার অধিবাসীদের অপর জীবিকা পশুপালন। তাঁরা সাধারণত গোরু, মোষ, ছাগল প্রভৃতি গবাদিপশু পালন করে থাকেন এবং দুধ, চামড়া ও অন্যান্য পশুজাত দ্রব্য বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করেন। যেমন— ওশিয়ানিয়ার মারে-ডার্লিং সমভূমিতে পশুপালন খুবই উন্নত।
শিল্প : শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সহজলভ্যতা, উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা, ঘনবসতি, চাহিদাযুক্ত বাজার সমভূমি অঞ্চলে থাকায় এখানে ধাতব এবং কৃষিভিত্তিক উভয় প্রকার শিল্পই স্থাপিত হতে দেখা যায়। যেমন— জাপানের কান্টো সমভূমিতে টোকিও-ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
উন্নত পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে সমভূমি অঞ্চলে উন্নতমানের সড়কপথ ও রেলপথসহ জলপথ ও বিমানপথ গড়ে উঠেছে। ফলে, সহজেই দেশ-বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। যেমন—উত্তর আমেরিকার হ্রদ অঞ্চলটিতে পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ সুবিধা আছে।
(iii) বন্যা ও খরার পার্থক্য : Bantra MSPC High School-এর 4. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ভারতের ধসপ্রবণ অঞ্চলসমূহের বিবরণ : ভূবিজ্ঞানীরা ভারতের ধসপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করে থাকেন। এগুলি হল –
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল উত্তর-পশ্চিম 3 উত্তর-পূর্ব হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল হল ভারতের সর্বাধিক ধসপ্রবণ অঞ্চল। ভূমিকম্প, প্রচুর বৃষ্টিপাত, অরণ্যচ্ছেদন, অবৈজ্ঞানিক প্রথায় নির্মাণকার্য ইত্যাদি এই অঞ্চলে ধস সৃষ্টির জন্য দায়ী। এই অঞ্চলের জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশের সালুজ উপত্যকা, মন্দাকিনী উপত্যকা, সমগ্র উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা, সিকিমের গ্যাংটক, অসম ও অরুণাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চল অত্যন্ত ধসপ্রবণ। 2013 সালে উত্তরাখণ্ডে ধসের কারণে 5000 জনের বেশি মানুষ মারা যায়।
পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চল : অনেক সময় পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ধসের সৃষ্টি হয়ে থাকে। 2014 সালের আগস্ট মাসে মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের নিকট কতকগুলি গ্রাম ধসের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
নীলগিরি আন্নামালাই পার্বত্য অঞ্চল : এখানকার ঢালও খুব বেশি এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও যথেষ্ট। অপরদিকে বেশ কিছু চ্যুতিতলও আছে। ওই পর্বতে ল্যাটেরাইট মাটির আবরণ থাকার জন্য বৃষ্টিতে ধস প্রবণতা বাড়ে। 1984 সালের 2 জুন উইনাদ জেলায় 6 কিমি লম্বা ও 10 মিটার চওড়া বড়োসড়ো ধসের ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও ভারতের উন্মুক্ত ও পরিত্যক্ত খনি অঞ্চলে বিশেষত কয়লা খনি অঞ্চলে ধসের প্রবণতা বেশি দেখা যায় ।
(iv) পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির কারণ : Bantra MSPC High School-এর 5. (iii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, কলকাতা বন্দরের অবনতির কারণ : Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ ঙ
8 (i) পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির পাঁচটি প্রমাণ :
গোলাকার ছায়া : চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে। এই ছায়া গোলাকার দেখায়। কোনো গোলকাকার বস্তুর ছায়াই একমাত্র গোলাকার হয়। সুতরাং, পৃথিবীর আকৃতি গোলকাকার ।
দূরবীক্ষণ যন্ত্র : দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা গেছে, সৌরজগতের সব গ্রহই গোলকাকার। পৃথিবী একটি গ্রহ, অতএব পৃথিবীর আকৃতি গোলকাকার হওয়াই স্বাভাবিক।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত : পৃথিবী সমতল হলে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র একই সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হত। পৃথিবী গোলকাকার বলেই পূর্বের দেশগুলিতে আগে এবং পশ্চিমের দেশগুলিতে পরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়।
জাহাজের দৃশ্য : সমুদ্রে একটি আশ্চর্য ব্যাপার দেখা যায়। কোনো জাহাজ যখন সমুদ্র থেকে তীরের দিকে ফেরে তখন প্রথমে জাহাজের মাস্তুল দেখা যায়, তারপর অর্ধেক জাহাজ এবং শেষে পুরো জাহাজটি দেখতে পাওয়া যায়। গোলকাকার পৃথিবীর গোলকাকার সমুদ্রপৃষ্ঠের জন্যই এরূপ ঘটে। পৃথিবী যদি সমতল হত, তাহলে জাহাজের সম্পূর্ণ অংশই একবারে দেখা যেত।
দিগন্তরেখা : কোনো ফাঁকা মাঠ বা কোনো উঁচু জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ ও ভূমি যেন দূরে এক জায়গায় বৃত্তাকারে মিলিত এই হয়েছে। বৃত্তরেখাকে দিগন্তরেখা বলে । জাহাজের ডেকে, কিংবা পর্বতের চূড়া কিংবা এরোপ্লেন, যত ওপর থেকে দেখা যাবে ততই বৃত্তাকার দিগন্তরেখা বড়ো মনে হবে। পৃথিবী গোলকাকার বলেই এরূপ সম্ভব।
ধ্রুবতারার অবস্থান : যখন ম্যাপ, কম্পাস ছিল না তখন উত্তর আকাশের ধ্রুবতারা দেখে মানুষ দিক নির্ণয় করত। কিন্তু মজার ব্যাপার যতই উত্তর দিকে যাওয়া যাবে তারাটিকে ততই প্রতি রাতে ওপরের দিকে উঠতে দেখা যাবে। পৃথিবী গোল বলেই এমন হয়। পৃথিবী যদি সমতল হত তাহলে তারাটিকে একই জায়গায় দেখা যেত। আবার পৃথিবীর গোলকাকৃতির জন্যই দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ধ্রুবতারা দেখা যায় না।
নাবিকদের ভূপ্রদক্ষিণ : 1519 খ্রিস্টাব্দে পোর্তুগিজ ভূপর্যটক ম্যাগেলান 5টি জাহাজ নিয়ে এবং পরে ড্রেক, কুক প্রমুখ নাবিকগণ জাহাজে যাত্রা শুরু করে ক্রমাগত পশ্চিম দিকে গিয়ে শেষ পর্যন্ত একই বন্দরে অর্থাৎ, যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেখানে ফিরে আসেন। এই ভূপ্রদক্ষিণের মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পৃথিবী সমতল নয়, বরং গোলকাকার।
বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা : 1870 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বেডফোর্ড খালে এ আর ওয়ালেস সমান উচ্চতাবিশিষ্ট তিনটি খুঁটি কিমি অন্তর একই সরলরেখায় রেখে ভেলার সাহায্যে ভাসিয়ে দিয়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখেন মাঝের খুঁটির মাথা প্রথম ও তৃতীয় খুঁটির মাথার চেয়ে সামান্য উঁচু হয়ে রয়েছে। পৃথিবী গোলকাকার বলেই এমনটি ঘটে।
যদি পৃথিবী সমতল হত, তবে তিনটি খুঁটি দেখার ক্ষেত্রে এরূপ পার্থক্য হত না, খুঁটির সম্পূর্ণ অংশ দেখা যেত।
(ii) যান্ত্রিক আবহবিকার ও রাসায়নিক আবহবিকারের পার্থক্য : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 4. (i)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) প্রধান তিন প্রকার মালভূমির বর্ণনা : Balurghat High School এর 5. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।।
9. (i) পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের বর্ণনাAC Institution, Malda এর 5. (B) (II)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল ভৌগোলিক পরিবেশ : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 5. (B) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) উত্তরবঙ্গে চা চাষের উন্নতির কারণগুলি হল : উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল তথা দার্জিলিং-এর পার্বত্যভূমি ও সংলগ্ন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদক অঞ্চল। শুধু তাই নয় দার্জিলিং-এর চা স্বাদে ও গন্ধে বিশ্বে অতুলনীয়। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় চা চাষের কারণগুলি হল –
পার্বত্যময় ভূপ্রকৃতি : উত্তরবঙ্গের অসমতল ভূপ্রকৃতি, খাড়া ঢাল চা চাষের বিশেষ উপযোগী। ও অনুকূল জলবায়ু : অধিক আর্দ্রতা (বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 150- 200 সেমি) মৃদু কুয়াশা, স্বল্প উন্নতা (বার্ষিক গড় উষ্ণতা 10° – 20°C) – এখানে চা চাষে সহায়ক হয়েছে।
মৃত্তিকা : লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ অম্লধর্মী পডজল মৃত্তিকা এই অঞ্চলে চা চাষের উপযোগী।
ইংরেজদের সহযোগিতা : প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজদের সহযোগিতায় চা চাষের পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং মূলধন বিনিয়োগ এই অঞ্চলে চা চাষের উন্নতি ঘটিয়েছে।
নিকাশি ব্যবস্থা : ভালো জলনিকাশি ব্যবস্থাও চা চাষের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পক্ষে সহায়ক হয়েছে।
অন্যান্য পরিকাঠামো : চা প্রস্তুত, প্যাকিং-এর জন্য চা বাগানের নিকটবর্তী কারখানা, সরলবর্গীয় অরণ্যের উপস্থিতি, সুলভ শ্রমিক, পরিবহণ ব্যবস্থা প্রভৃতি এই অঞ্চলের চা চাষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে।
(iv) দুর্গাপুর লৌহ-ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণ : Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (B) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।