Nimpith Ramkrishna Vidyabhavan (HS)
বিভাগ ক
1 (i) পৃথিবীর আবর্তন গতি প্রমাণের পরীক্ষাটি (d) ফুকোর।
(ii) প্রদত্ত যে পর্বতটি নবীন ভঙ্গিল পর্বত নয় (a) অ্যাপেলেশিয়ান।
(iii) সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে সৃষ্টি হয়। (b) লাভা মালভূমি।
(iv) ভূগাঠনিক সমভূমি তৈরি হওয়ার জন্য তুমি দায়ী করবে –(d) সমস্থিতিক আলোড়ন-কে।
(v) শিলার মধ্যে উল্লম্ব ও অনুভূমিক ফাটল সৃষ্টি হয় (d) প্রস্তরচাই খণ্ডীকরণে।
(vi) খনিজকরণ প্রক্রিয়া দ্রুতহারে সম্পন্ন হয় ক্রান্তীয় অঞ্চলে।
(vii) ভারতে সর্বাধিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল হল (c) ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা।
(viii) খরা পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যখন বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে – (b) 75% কম হয়।
(ix) কর্কটক্রান্তিরেখা যে জেলার ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়নি তা হল – (c) বীরভূম।
(x) ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমানা সৃষ্টি করেছে (a) সিঙ্গালিলা শৈলশিরা।
(xi) তরাই ও ডুয়ার্সকে পৃথক করেছে – (c) তিস্তা নদী।
(xii) পশ্চিমবঙ্গে সংকর ইস্পাত তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে – (d) দুর্গাপুরে।
(xiii) বাংলার অক্সফোর্ডরূপে পরিচিত – (a) নবদ্বীপ।
(xiv) প্রদত্ত যেটি বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র – (b) 1:50,000
(A) (i) দক্ষিণ মেরুতে উত্তর মেরুর চেয়ে সূর্যকে বেশি দিন দেখা যায়। মিথ্যা
(ii) গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি সৃষ্টি হয়। সত্য
(iii) রাসায়নিক আবহবিকার অতি ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়। সত্য
(iv) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের মৃত্তিকায় হার্ডপ্যান গঠিত হয়। সত্য
(v) তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলে শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য গড়ে উঠেছে। মিথ্যা
(vi) সাদা পাট অপেক্ষা তোষা পাট কিছুটা নীচু জমিতে জন্মায়। মিথ্যা
(vii) RF স্কেলকে যে-কোনো এককে রূপান্তরিত করা যায়। সত্য
(B) (i) সবথেকে শেষে সূর্যাস্ত হয় ভারতের গুজরাট রাজ্যে।
(ii) পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে বোল্ডার, নুড়ি, বালি ও পলি দ্বারা সঞ্চিত পলিগঠিত সমভূমি গঠিত হয়।
(iii) সাধারণভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠ-কে ক্ষয়ের শেষ সীমা হিসেবে ধরা হয়।
(iv) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা 7-এর বেশি হলে তা বিপর্যয়ে পরিণত হয়।
(v) আলিপুরদুয়ার হল পশ্চিমবঙ্গের আর্দ্রতম জেলা।
(vi) ডানকুনি ডেয়ারি শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
(vii) কলকাতার নিকট সল্টলেকের মণিকাঞ্চনে তে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে উঠেছে।
(c) (i) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির জন্য তাপমণ্ডল সৃষ্টি হয়।
(ii) প্রতিসারী পাতসীমানায় আগ্নেয় পর্বত গড়ে ওঠে।
(iii) দ্রবণ প্রক্রিয়ার ফলে শিলার রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন হয়।
(iv) আশ্বিনের ঝড় হল ভারতের পূর্ব উপকূলে শরৎকালে বন্যার মূল কারণ।
(v) কেলেঘাই ও কংসাবতী নদীর মিলিত প্রবাহে হলদি নদীর উৎপত্তি হয়েছে।
(vi) পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় সর্বাধিক চা উৎপাদন হয়।
(vii) মালদার ইংরেজ বাজারকে পশ্চিমবঙ্গের ‘আমের শহর’ বলা হয়।
(viii) অসংখ্য মানচিত্র সংকলিত পুস্তককে অ্যাটলাস বলা হয় ।
(D)
(i) শল্কমোচন (d) তাপীয় ঢাল
(ii) কালজানি নদী (a) আলিপুরদুয়ার
(iii) মোনাড্নক (b) অযোধ্যা পাহাড়
(iv) ভারতের গ্লাসগো (c) হাওড়া
বিভাগ গ
3 (i) কোরিওলিস বলের বৈশিষ্ট্য : আবর্তন গতির কারণে পৃথিবীর যে-কোনো গতিশীল বস্তুর (বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত) ওপর এক বল কাজ করে, যা বস্তুগুলির দিক বিক্ষেপ ঘটায়। এই বলকে কোরিওলিস বল বলে।
বৈশিষ্ট্য : গতিশীল বস্তু, যথা— বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে এই বল সমকোণে কাজ করে। বস্তুর গতি যত বেশি হয়, কোরিওলিস বলের কারণে তার বিক্ষেপও তত বেশি হয়। নিরক্ষরেখায় এই বলের মান শূন্য এবং উভয় মেরুর দিকে ক্রমশ এই বলের মান বাড়তে থাকে। বায়ুর গতিবেগ বৃদ্ধি পেলে এই বলের পরিমাণও বাড়তে থাকে। এই বলের প্রভাবে বায়ুর দিক বিক্ষেপ ঘটলেও এই বলের পরিমাণ কোনো অঞ্চলের অক্ষাংশগত অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।
অথবা, ভূবিপর্যয় (Diastrophism) : Jalpaiguri Govt Girls’ High School-এর 3. (ii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) সমপ্রায়ভূমি ও পাদসমভূমির মধ্যে পার্থক্য : Jalpaiguri Govt Girls’ High School-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ফালি চাষ (Strip Cropping) : Jalpaiguri Govt Girls’ High School-এর 3. (iii)-এর ‘ফালিচাষ’ অংশটি দ্যাখো।
(ii) World Disaster Report অনুযায়ী বিপর্যয় নির্ধারণের মানদণ্ডসমূহ : 2001 সালের World Disaster Report অনুযায়ী কোনো দুর্যোগকে তখনই বিপর্যয় বলা হবে যখন তার নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবে– ওই দুর্যোগের ফলে 10 বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে। 100 বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ আহত হবে। সরকারিভাবে আপৎকালীন পরিস্থিতি ঘোষিত হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
অথবা, ‘জল ধরো ও জল ভরো’ কর্মসূচি : Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর 3. (iv)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) উত্তরবঙ্গের পার্বত্য উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :
A) পার্বত্য উদ্ভিদ :
অবস্থান : দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির উত্তর-পশ্চিমে এই উদ্ভিদ দেখা যায়।
শ্রেণিবিভাগ : উচ্চতার পার্থক্য অনুসারে নিম্নলিখিত ভাগে বিভক্ত। যথা—
3000 মি-এর বেশি উচ্চতার উদ্ভিদ : বৈশিষ্ট্য (a) আল্পীয় জাতীয় তৃণভূমি জন্মায়। (b) ম্যাগনোলিয়া, লরেল, জুনিপার, রডোডেনড্রন ইত্যাদি প্রধান বৃক্ষ। (c) পাতাগুলি আকারে ছোটো, উচ্চতা বেশি হয় না।
2000-3000 মি-এর উদ্ভিদ : বৈশিষ্ট্য (a) এখানে একক কাণ্ডযুক্ত সরলবর্গীয় বৃক্ষ জন্মায়। (b) প্রধান বৃক্ষ হল পাইন, ফার, সিডার, দেবদারু ইত্যাদি। (c) বৃক্ষগুলি শঙ্কু আকৃতির বলে বরফ জমতে পারে না।
1000-2000 মি-এর উদ্ভিদ : বৈশিষ্ট্য (a) মূলত চিরহরিৎ বৃক্ষ (সারাবছর গাছে পাতা থাকে) জন্মায়। (b) প্রধান প্রধান বৃক্ষ হল পিপুল, বাঁশ, শিমুল, কুসুম, বার্চ প্রভৃতি। (c) বৃষ্টিপাত 200 সেমির বেশি হওয়ায় বৃক্ষগুলি চওড়া পাতাবিশিষ্ট হয়।
পার্বতের পাদদেশ থেকে 1000 মি-এর মধ্যে উদ্ভিদ : বৈশিষ্ট্য – (a) এখানে চিরহরিৎ ও পর্ণমোচী উদ্ভিদের মিশ্র বনভূমি – দেখা যায়। (b) উল্লেখযোগ্য হল শাল, সেগুন, শিশু, সর্পগন্ধা, গামার প্রভৃতি।
অথবা, পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে শীতকাল শুষ্ক হওয়ার কারণ : পশ্চিমবঙ্গে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতকাল। মোটামুটিভাবে সারা পশ্চিমবঙ্গে গড় উয়তা 15°-20°C থাকে। তবে বর্ধমান, বীরভূম ইত্যাদি জেলায় উয়তা 7°-8°C পর্যন্ত নামে। দার্জিলিং-এ 3°-5°C উয়তা থাকলেও মাঝে মধ্যে তা হিমাঙ্কের নীচে নামে। শীতকালে এ রাজ্যের জলবায়ু প্রধানত শুষ্ক প্রকৃতির হওয়ার কারণ হল
সূর্যরশ্মির পতন কোণ : শীতকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে উত্তর গোলার্ধে তির্যকভাবে সূর্যরশ্মি পতিত হয়, ফলে আবহাওয়া শীতল থাকে এবং উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকে প্রায় 50% – 60%, ফলে মেঘ সৃষ্টি হতে পারে না।
প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু : শীতকালে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চচাপ থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে প্রবল নিম্নচাপ থাকে। ফলে বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয় যা শুষ্ক প্রকৃতির, একে প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু বা উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুও বলে।
স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বায়ুপ্রবাহ : উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়, ফলে ওই বায়ুতে জলীয়বাষ্প প্রায় থাকে না বললেই চলে।
উচ্চ অক্ষাংশ থেকে নিম্ন অক্ষাংশের দিকে বায়ুপ্রবাহ : শীতকালে প্রবাহিত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু উচ্চ অক্ষাংশ (কর্কটক্রান্তি রেখা, 23° উ:) থেকে নিম্ন অক্ষাংশের (নিরক্ষরেখা, 0°) দিকে প্রবাহিত হয় ফলে বায়ু ক্রমশ উয় হয়ে যায় এবং তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ওই বায়ুতে বৃষ্টিপাত হয় না। এসব কারণে পশ্চিমবঙ্গে শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতির।
(v) পশ্চিমবঙ্গে কৃষির সমস্যা : কৃষিকাজে পশ্চিমবঙ্গের অভাবনীয় উন্নতি ঘটলেও এ রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত।
সমস্যাগুলি হল– জমির ওপর জনসংখ্যার অত্যধিক চাপ এই রাজ্যের কৃষির প্রধান সমস্যা। এই রাজ্যে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদন খুবই কম। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অনিয়ম ও অনিশ্চয়তা এ রাজ্যের কৃষি ফসল উৎপাদনের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। পশ্চিমবঙ্গের বহু জমিতেই জলসেচের সুবন্দোবস্ত নেই। উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার রাজ্য জুড়ে তেমন প্রসার লাভ করেনি। জমির আয়তন ছোটো এবং আল দ্বারা বিভক্ত হওয়ায় আধুনিক কৃষি-যন্ত্রপাতির (হারভেস্টার, ট্র্যাক্টর) ব্যবহার অত্যন্ত অসুবিধাজনক। রাজ্যে ভাগচাষি, প্রান্তিক চাষি ও ভূমিহীন কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি তেমন হয়নি। কৃষকরা আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান সম্বন্ধে তেমন অবগত না হওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। কৃষিজমিগুলির উর্বরতা হ্রাস এই রাজ্যের কৃষিকাজের অন্যতম সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গে সহজে কৃষি ঋণ পাওয়া ও ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি করার যথেষ্ট অসুবিধা রয়েছে।
অথবা, লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামালসমূহ – আকরিক লোহা, চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ, ডলোমাইট, কয়লা, ‘ জল প্রভৃতি।
(vi) থিমেটিক ম্যাপ (Thematic Map) : AC Institution, Malda-এর 3. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব : Bankura Christian Collegiate School-এর 3. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ – ঘ
4 (i) নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলগুলি ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ার কারণ : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 4. (i)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার অধিক হওয়ার কারণ : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 3. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিগুলি : পূর্বজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে বিপর্যয় লঘুকরণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিপর্যয়ের পূর্বে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করা হয়, একে বিপর্যয় পূর্ববর্তী পর্যায় বলে। একে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যেমন—
প্রস্তুতিকরণ (Preparedness) : এই পর্যায়ে যে কাজগুলি করা হয় সেগুলি হল— (i) যে-কোনো বিপর্যয়ের ঝুঁকির মূল্যায়ন করা হয়, (ii) বিপর্যয় সম্পর্কে গবেষণা করা হয়, (iii) বিপর্যয় মোকাবিলার আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা করা হয়, (iv) বিপর্যয়প্রবণ এলাকার সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়, (v) বিপর্যয়প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত সহযোগিতা দেওয়া হয়, (vi) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, (vii) বিপর্যয় সংক্রান্ত সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার উন্নতি করা হয়, (viii) বিপর্যয় সংক্রান্ত শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়, (ix) বিপর্যয়ের সময়, তার আগে ও পরের সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়, (x) জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা হয়, (xi) বিপর্যয়ের পূর্বে বিপর্যয়প্রবণ এলাকাবাসীদের মহড়া প্রদান করা হয় যাতে বিপর্যয়ের সময় তারা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে, (xii) বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, যেমন— দমকল, আবহাওয়া দপ্তর, সেনাবাহিনী, NGO ইত্যাদি গড়ে তোলা হয়।
প্রশমন ( Mitigation) : এই পর্যায়ে যে কাজগুলি করা হয়। সেগুলি হল – (i) বিপর্যয়প্রবণ এলাকার মানচিত্র প্রস্তুত, (ii) সঠিক ভূমি ব্যবহার নীতি প্রণয়ন, (iii) স্থানীয়, আঞ্চলিক, রাজ্য, কেন্দ্রীয় ও বিশ্ব পর্যায়ে বিপর্যয় মোকাবিলার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ।
নিবারণ (Prevention) : মানুষ ও সম্পদ রক্ষার জন্য গৃহীত ব্যবস্থাই হল নিবারণ। ভবিষ্যতে বিপর্যয় যাতে মারাত্মক আকার ধারণ না করে তার জন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে বিপর্যয় নিবারণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
বিপর্যয় চলাকালীন ব্যবস্থাপনা পর্যায় : বিপর্যয় চলাকালীন ব্যবস্থাপনাকে উদ্ধারকার্যও বলে। যার উদ্দেশ্য হল ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্ক থেকে মানুষকে দূরে রাখা। অনেক বিপর্যয়ে এর সুযোগ থাকে না, যেমন— টর্নেডো চলাকালীন। তবে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। যেমন—
নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর (Safe Evacuation) : এক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মাত্রা বুঝে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা উচিত। যেমন— বন্যার সময়।
উদ্ধারকার্য (Rescue Operation) : ভূমিকম্প, ভূমিধস জাতীয় বিপর্যয় ঘটলে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য চালানো উচিত। ও ত্রাণশিবির পরিচালনা (Management of Relief Camp) : উদ্ধারকৃত মানুষজন, গৃহপালিত জীবজন্তুদের থাকা ও খাওয়ার জন্য ত্রাণশিবিরের বন্দোবস্ত করতে হবে। ত্রাণশিবির এমন জায়গায় করা উচিত যাতে বেশ কিছু দিন থাকার বন্দোবস্ত থাকে এবং নিরাপদ জায়গা থেকে ওষুধ, বস্ত্র, খাদ্য নিয়ে আসা যায়।
বিপর্যয় পরবর্তী ব্যবস্থাপনা : Hooghly Branch (Govt) School-এর 5. (ii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
সুন্দরবন অঞ্চলের নদনদীর বৈশিষ্ট্য : সুন্দরবন বা সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলের নদনদী – মাতলা, পিয়ালি, গোসাবা, বিদ্যাধরী, ঠাকুরান, রায়মঙ্গল, কালিন্দী, সপ্তমুখী প্রভৃতি।
বৈশিষ্ট্য : এই অঞ্চলের নদীগুলি দক্ষিণবাহিনী। নদীগুলি খাঁড়ির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। এগুলির উৎস খুঁজে বার করা কঠিন। জোয়ারের জলে নদীগুলি পুষ্ট বলে ভাটার টানে এদের ঊর্ধ্বপ্রবাহ শুকিয়ে যায়। নদীগুলির জল লবণাক্ত। নদীগুলির দৈর্ঘ্য কম। এগুলি মূল নদীর নিম্ন প্রবাহ। এদের গতি কম এবং পাড় নীচু।
অথবা, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব : পশ্চিমবঙ্গে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকেন্দ্র রয়েছে। প্রতি বছরই নতুন নতুন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠছে। কৃষির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
কর্মসংস্থান : পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম (WBSIDC)-এর তথ্যানুযায়ী এই মুহূর্তে এ রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সংখ্যা 15 লক্ষ, যেখানে প্রায় 40 লক্ষ মানুষ নিয়োজিত রয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে আরও প্রায় 55 লক্ষ মানুষ যুক্ত রয়েছে।
রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্ব : পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যের পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে দেশে-বিদেশে বিশাল রপ্তানি বাণিজ্য গড়ে উঠেছে। বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হয়।
স্থানীয় সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার : কোনো অঞ্চলের কুটির শিল্পে মূলত সেই অঞ্চলে প্রাপ্ত সম্পদকেই কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরে মাদুর কাঠির ওপর ভিত্তি করে মাদুর তৈরি শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। এর ফলে স্থানীয় সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হয় ।
উপজীবিকা সৃষ্টি : অনেক সময় কৃষিকাজের বাইরে বছরের অন্যান্য সময়ে কুটির শিল্পের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ হয়। এজন্য গ্রামাঞলে প্রচ্ছন্ন ও মরশুমি বেকারের সংখ্যা হ্রাস পায়। ফলে উপজীবিকা হিসেবে এর যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস : ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
দেশীয় বাণিজ্যের উন্নয়ন : ক্ষুদ্রায়তন শিল্পের উন্নতির কারণে এই রাজ্য তথা দেশে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে।
পরিকাঠামো বৃদ্ধি : কোনো স্থানে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ প্রভৃতি উন্নয়নমূলক পরিকাঠামোও গড়ে ওঠে।
পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির প্রসার : পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দ্রব্য তা এক একটি জায়গার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। যেমন শান্তিপুরের তাঁত, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা, কুমোরটুলির মৃৎশিল্প প্রভৃতি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, ভারতে নয়, বিশ্ব দরবারে বাংলার সংস্কৃতিকে মেলে ধরে।
(iv) ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 4. (iv)-এর দ্বিতীয় অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো ।
বিভাগ ঙ
5 (A) (i) পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল :
সংজ্ঞা : পৃথিবী তার কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে নিজ অক্ষ বা মেরুদণ্ডের চারদিকে নির্দিষ্ট গতিতে 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ডে বা প্ৰায় 24 ঘণ্টায় পশ্চিম থেকে পূর্বে একবার আবর্তন করে। পৃথিবীর এই গতিকে আবর্তন গতি বলে।
সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের উপর এইরূপ অনবরত আবর্তিত হওয়ায় এর প্রভাবে নিম্নলিখিত ঘটনাগুলি সংঘটিত হয়—
দিন-রাত্রির সৃষ্টি : আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশটি ধীরে ধীরে সূর্যের সামনে আসে সেখানে সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যেমন দিনের সৃষ্টি হয় তেমনই পৃথিবীর যে অংশটি সূর্য থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় সেখানে সূর্যাস্তের মাধ্যমে রাত্রি ঘনিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীতে সূর্যোদয়ের পূর্ব মুহূর্তের মৃদু ক্ষীণ আলো উষা (Dawn) ও সূর্যাস্তের পর মৃদু ক্ষীণ আলো গোধূলি (Twilight) নামে পরিচিত। ছায়াবৃত্ত (Shadow circle) দিন ও রাত্রির মধ্যে এক কাল্পনিক সীমারেখার সৃষ্টি করে।
উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণীজগৎ সৃষ্টি : আবর্তন গতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে যে নিয়মিত এবং পরিমিত অনুকূল আলো ও উত্তাপ এসে পড়ে তাকে ব্যবহার করেই পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ সৃষ্টি হয়।
নিয়তবায়ু ও সমুদ্রস্রোতের দিক বিক্ষেপ : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে যে কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তির সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে নিয়ত বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় (ফেরেল আবিষ্কৃত সূত্র)। নিয়ত বায়ুর দিক বিক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্রস্রোতেও একই ঘটনা ঘটে।
সময় গণনা : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে 24 ঘণ্টা ধরা হয়। এই সময়কে আবার 24 ভাগে ভাগ করলে তার প্রতিটি ভাগ থেকে 1 ঘণ্টা পাওয়া যায়। আবার এই 1 ঘণ্টাকে 60 ভাগে ভাগ করে তার প্রতিটি ভাগ থেকে 1 মিনিট সময় পাওয়া যায় এবং এই 1 মিনিটকে আবার 60 ভাগে ভাগ করে তার প্রতিটি ভাগ 1 সেকেন্ডের হিসাব দেয়।
দিক নির্ণয় : পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখে যেমন পূর্ব-পশ্চিম দিক নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে, একইভাবে উত্তর-দক্ষিণ দিক নির্ণয়ে সুবিধা হয়েছে।
জোয়ারভাটা সৃষ্টি : আবর্তন গতির ফলে প্রতিদিন পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের সামনে আসে সেখানে মুখ্য জোয়ার এবং তার বিপরীত অংশে গৌণ জোয়ারের সৃষ্টি হয়। আবর্তন গতি না থাকলে চাঁদের পরিক্রমণগতি অনুযায়ী পৃথিবীর কোনো স্থানে প্রতি 27 দিনে একবার মুখ্য জোয়ার হত।
পৃথিবীর আকৃতির উপর প্রভাব : আবর্তন গতি থাকার ফলে পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল (পূর্ব-পশ্চিম) কিছুটা স্ফীত এবং মেরুদ্বয় (উত্তর-দক্ষিণ) কিছুটা বসে গিয়ে পৃথিবীকে অনেকটা অভিগত গোলকের চেহারা দিয়েছে।
অন্যান্য প্রভাব : আবর্তন গতির উল্লিখিত প্রভাবগুলি ছাড়াও – (i) ভূচৌম্বকত্ব সৃষ্টি, (ii) দৈনিক উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং (iii) বায়ুচাপ বলয় সৃষ্টিতে আবর্তন গতির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য : সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তপ্রদেশীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। (ii) চিত্রসহ স্তুপ পর্বত ও গ্রস্ত উপত্যকার উৎপত্তি এবং
স্তূপ পর্বতের উৎপত্তি : Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (A) (iii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
গ্রস্ত উপত্যকার উৎপত্তি Balurghat High School-এর 3. (ii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) চিত্রসহ তিনপ্রকার সঞ্চয়জাত সমভূমির উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য : AC Institution, Malda এর 5. (A) (iii)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(iv) উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে সংঘটিত যান্ত্রিক আবহবিকারের তিনপ্রকার প্রক্রিয়ার বিবরণ :
প্রস্তরচাই থণ্ডীকরণ ও শল্কমোচন : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. (A) (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
ক্ষুদ্রকণা বিসরণ : Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (A) (iv)-এর ‘ক্ষুদ্রকণা বিসরণ’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
(B) (i) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমির ভূপ্রকৃতি ও নদনদী :
পশ্চিমবঙ্গের মালভূমির ভূপ্রকৃতি: Belda Gangadhar Academy (HS)-এর 9. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের নদনদী পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি হল—
দামোদর : এই নদীটি খামারপাত পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাগীরথীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বরাকর এর প্রধান উপনদী। মুণ্ডেশ্বরী এর প্রধান শাখানদী, এই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় 542 কিমি। গু অজয় : সাঁওতাল পরগনায় উৎপন্ন হয়ে বীরভূম ও বর্ধমান জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কাটোয়ার কাছে ভাগীরথীতে মিলিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 276 কিমি। ও রূপনারায়ণ : দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতীর মিলিত প্রবাহ হল রূপনারায়ণ। দ্বারকেশ্বর ঝাড়খণ্ডের তিলাবি পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে ঘাটালের নিকট শিলাবতীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং এই মিলিত প্রবাহ নুরপুরের কাছে হুগলির সঙ্গে মিশেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 254 কিমি। ময়ূরাক্ষী : সাঁওতাল পরগনা থেকে উৎপন্ন হয়ে বীরভূম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাগীরথীর সঙ্গে মিশেছে। এর প্রধান উপনদীগুলি হল ব্রাহ্মণী, দ্বারকা, বক্রেশ্বর প্রভৃতি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 241 কিমি।
এছাড়া এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে কেলেঘাই ও কংসাবতীর মিলিত প্রবাহ হলদি এবং সুবর্ণরেখা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের নদনদীর বৈশিষ্ট্য : Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর 5. (B) (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) পশ্চিমবঙ্গের মাটির শ্রেণিবিভাগ ও দুই প্রকার মাটির বিবরণ : Jalpaiguri Govt Girls’ High School-এর 5. (B) (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো
(ii) পশ্চিমবঙ্গের পাট উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ : Balurghat High School-এর 4. (iv)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) পশ্চিমবঙ্গের লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণসমূহ : বার্নপুর-কুলটি এবং দুর্গাপুর হল পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি লৌহ-ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র। এছাড়া, বহু স্পঞ্জ আয়রন শিল্পকেন্দ্র ও ক্ষুদ্র ইস্পাত কারখানা এ রাজ্যে গড়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি হল-
আকরিক লোহার সান্নিধ্য : লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হল আকরিক লোহা। পশ্চিমবঙ্গে ভালো আকরিক লোহা পাওয়া না গেলেও পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের গুয়া, নোয়ামুণ্ডি প্রভৃতি লৌহখনি এবং ওড়িশার গোরুমহিষাণী, বাদামপাহাড় প্রভৃতি খনি থেকে উৎকৃষ্ট আকরিক লোহা সংগ্রহের সুবিধা রয়েছে।
কয়লার প্রাপ্তি : আকরিক লোহা গলানোর জন্য প্রচুর তাপশক্তির প্রয়োজন হয়। পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ ও ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া থেকে পাওয়া কয়লা এই তাপশক্তির চাহিদা মেটায়।
চুনাপাথর, ডলোমাইট ও ম্যাঙ্গানিজের জোগান : আকরিক লোহার সঙ্গে চুনাপাথর ও ডলোমাইট মিশিয়ে পিগ আয়রন তৈরি হয় এবং পিগ আয়রনকে ইস্পাতে পরিণত করতে ম্যাঙ্গানিজের প্রয়োজন হয়। এই খনিজগুলি ওড়িশার সুন্দরগড় ও কেওনঝড় জেলা থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যায়।
জলের জোগান : দামোদর, বরাকর প্রভৃতি নদী থেকে শিল্পের প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যায়।
বিদ্যুৎশক্তির প্রাচুর্য : দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) জলবিদ্যুৎ ও বক্রেশ্বর, দুর্গাপুর প্রভৃতি কেন্দ্রের তাপবিদ্যুৎ লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ-এর চাহিদা মেটায়।
সুলভ শ্রমিক : স্থানীয় দক্ষ শ্রমিক ছাড়াও ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
বন্দরের নৈকট্য : মাত্র 200 কিমি-র মধ্যে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের অবস্থান শিল্পের আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : পূর্ব রেলপথ, 2নং জাতীয় সড়কপথ (গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড) এবং দুর্গাপুর খাল কাঁচামাল ও শিল্পজাত দ্রব্য পরিবহণের প্রধান মাধ্যম।
চাহিদা ও বাজার : আসানসোল-রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও কলকাতা শিল্পাঞ্চলের বিপুল চাহিদা সম্পন্ন বাজার এই রাজ্যের লৌহ-ইস্পাত শিল্প বিকাশে সহায়তা করেছে।