Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)
বিভাগ – ক
1 (i) পরিচলন স্রোত মতবাদের প্রবক্তা – (c) হোমস।
(ii) নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর আবর্তনের বেগ প্রতি ঘণ্টায় – (a) 1670 কিমি। –
(iii) 25° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় (d) 100 মিনিট।
(iv) একটি স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য হয় (c) 12 ঘণ্টা।
(v) ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি হল – (d) লাদাখ।
(vi) আবহবিকারের সঙ্গে অপসারণ যুক্ত হলে তাকে বলে (b) ক্ষয়ীভবন।
(vii) পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর ক্রিয়া করে যে আলোড়ন তা হল – (a) মহীভাবক।
(viii) ভারতের প্রথম কার্পাস বয়ন শিল্প স্থাপিত হয় (a) ঘুষুড়িতে।
(ix) যেটি মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়, তা হল (d) সমসত্ত্ব শিলা।
(x) কলকাতা বন্দরের সহায়ক বন্দরটি হল – (b) হলদিয়া ।
(xi) ‘টেরাকোটার শহর’ বলা হয় (c) বিষ্ণুপুরকে।
(xii) পশ্চিমবঙ্গের ‘ইস্পাত নগরী’ নামে পরিচিত (c) দুর্গাপুর।
(xiii) আবহবিকার প্রাপ্ত পদার্থ অভিকর্ষের প্রভাবে নীচে নেমে এলে তাকে বলে (b) পুঞ্জিত ক্ষয়।
(xiv) যে স্কেলে মুখ্য ও গৌণ ভাগ থাকে তা হল স্কেল।
বিভাগ – খ
2 (A) (i) ভূগর্ভে যেখানে খনিজ তেল সঞ্চিত থাকে তাকে বলে অয়েল পুল।
(ii) ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমার মান হল 82°30′ পূর্ব।
(iii) প্রণালী ক্ষয় আরো প্রশস্ত হয়ে খাত ক্ষয়ের সৃষ্টি করে।
(iv) শিলিগুড়ি শহরকে ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ বলা হয়।
(v) দক্ষিণ গোলার্ধে হ্যাডলি অকট্যান্ট হল মেরু নক্ষত্র।
(vi) গ্রামীণ এলাকায় ভূমি জরিপ করে মৌজা মানচিত্ৰ প্ৰস্তুত করা হয়।
(B)
(i) সাধারণত স্তূপ পর্বতের পাশেই গ্রস্ত উপত্যকা দেখা যায়। শু
(ii) ভারতীয় টি বোর্ডের প্রধান দপ্তর কলকাতায় অবস্থিত। শু
(iii) তরাই কথার অর্থ – ‘পাহাড়ি অঞ্চল’। অ
(iv) তুরানের নিম্নভূমি একটি অবনত সমভূমির উদাহরণ। শু
(v) নেভেলি ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লা খনি। শু
(vi) TCS পশ্চিমবঙ্গের একটি ইস্পাত কারখানা। অ
(C) (i) ল্যাটেরাইট মৃত্তিকায় খোয়াই ক্ষয় সর্বাধিক ঘটে।
(ii) SAIL-এর সদর দপ্তর নিউ দিল্লিতে অবস্থিত।
(iii) এরাটোসথেনিস প্রথম পৃথিবীপৃষ্ঠে কাল্পনিক অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার ধারণা দেন।
(iv) ‘Principia’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
(v) ক্যারিবিয়ান সাগরে ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেন নামে পরিচিত।
(vi) নাক্ষত্রদিন ও সৌরদিনের মধ্যে সময়ের পার্থক্য 3 মিনিট 56 সেকেন্ড।
(vii) পৃথিবীতে 1° অন্তর 179টি অক্ষরেখা কল্পনা করা হয়েছে।
(viii) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে উচ্চতম গোর্গাবুরু।
(D)
(i) সান আন্দ্রিজ (c) নিরপেক্ষ পাতসীমানা
(ii) ব্ল্যাক ফরেস্ট (d) স্তূপ পর্বত
(iii) টোপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র (a) সমোন্নতি রেখা
(iv) রেলইঞ্জিন নির্মাণ কারখানা (b) চিত্তরঞ্জন
বিভাগ – গ
3 (i) GPS-এর ব্যবহার : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 3. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ফেরেলের সূত্র (Ferrels Law) : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 3. (ii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) কলকাতা বন্দরের সমস্যাসমূহ : কলকাতা একসময় পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের শ্রেষ্ঠ বন্দর ছিল। বর্তমানে এই বন্দরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে যা বন্দরটির গুরুত্ব হ্রাস করেছে। এই সমস্যাগুলি হল –
হুগলি নদীর নাব্যতা হ্রাস : পশ্চিমবঙ্গে হুগলি নদীর নিম্নপ্রবাহ দেখা যায়। ফলে, প্রচুর পরিমাণে বালি, কাদা, পলি নদীবক্ষে সঞ্চিত হওয়ায় নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। তাই সমুদ্রগামী জাহাজ কলকাতা বন্দরে আসতে পারে না ।
অসংখ্য নদী বাঁক : মোহানা থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত হুগলি নদীতে অসংখ্য নদী বাঁক রয়েছে যা জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়।
অসংখ্য বালুচর: মোহানা থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত হুগলি নদীতে 15টি বালুচর রয়েছে, ফলে বিদেশি জাহাজগুলি পথ-প্রদর্শক জাহাজ (Pilot ship) ছাড়া কলকাতা বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না ।
বন্দরের স্থানাভাব : কলকাতা বন্দরে স্থানাভাবের জন্য একসঙ্গে বেশি জাহাজ নোঙর করতে পারে না। আবার জেটি কম থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য বোঝাই বা খালাস কোনোটাই করা যায় না।
পশ্চাদভূমির আয়তন হ্রাস : ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দর স্থাপনের ফলে কলকাতা বন্দরের পশ্চাদভূমি হ্রাস পেয়েছে।
অধিক শুল্ক হার : ভারতের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় কলকাতা বন্দরের শুল্ক হার বেশি। ফলে বহু বিদেশি জাহাজ এখানে পণ্য বোঝাই বা খালাস করতে চায় না।
রপ্তানি পণ্যের চাহিদা হ্রাস : কলকাতা বন্দর দিয়ে প্রচুর পাট রপ্তানি করা হত। বর্তমানে পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় কলকাতা বন্দরের রপ্তানি পণ্যের পরিমাণও কমেছে।
নদীতে ঘন ঘন বান : হুগলি নদীতে মাঝে মাঝেই প্রবল বন্যা হয় যা অপেক্ষারত জাহাজের ক্ষতি করে।
ব্যয়বহুল : পলি সরানোর জন্য নদীবক্ষে নিয়মিত ড্রেজিং এবং পথ-প্রদর্শক জাহাজের ব্যবস্থা করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।
অথবা পাটশিল্পের তিনটি সমস্যা : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 4. (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) কর্কটক্রান্তি রেখা পশ্চিমবঙ্গের যে যে জেলার ওপর দিয়ে গেছে : কর্কটক্রান্তিরেখা (23½° উত্তর) পশ্চিমবঙ্গের প্রায় মাঝ বরাবর পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলার ওপর দিয়ে বিস্তার লাভ করেছে।
(iv) বন্যাকে ক্রমপুঞ্জিত দুর্যোগ বলার কারণ : আমরা জানি, যে প্রাকৃতিক কারণগুলি ক্রমশ পুঞ্জীভূত হতে হতে দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের পর্যায়ে পৌঁছোয় এবং যে দুর্যোগের প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়, তাকে ক্রমপুঞ্জিত দুর্যোগ বলে। সাধারণত বন্যা সৃষ্টির কারণগুলি যেমন— নদীখাত মজে যাওয়া বা নদীখাতের জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া, নদী তীরবর্তী বা প্লাবনভূমি অঞ্চলের বৃক্ষচ্ছেদন তথা ভূমিক্ষয়, নদীখাতের প্রবাহ আটকে কৃষিকাজ, ইটভাটা নির্মাণ, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশ দূষণের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, তার ফলস্বরূপ শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টি এবং দীর্ঘস্থায়ী অতিবৃষ্টি, নদী সংস্কার না করা, জলাধার সংস্কার না করা ইত্যাদি ক্রমশ পুঞ্জীভূত হয়ে বন্যার সৃষ্টি করে বলে এবং বন্যা পরবর্তী সুদূরপ্রসারী প্রভাব জনজীবনে পড়ে বলে বন্যাকে ক্রমপুঞ্জিত দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
অথবা, ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গৃহীত একটি প্রকল্প হল ‘জল ধরো, জল ভরো’। এর অর্থ বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা। এই উদ্দেশ্যে রাজ্য জুড়ে নদী, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয় প্রভৃতি খনন করে তার গভীরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অসংখ্য নতুন পুকুর, খাল কাটা হচ্ছে। এর ফলে যেমন একদিকে পশ্চিমবঙ্গে বন্যার প্রকোপ কমানো সম্ভব হচ্ছে তেমনি অপরদিকে খরাপ্রবণ অঞ্চলে খরার তীব্রতা হ্রাস পাচ্ছে।
(v) উন্নত ও অবনত সমভূমি :
উন্নত সমভূমি (Uplifted Plain) : সমুদ্রের অগভীর অংশ অথবা স্থলভাগের কোনো নীচু স্থান ভূআন্দোলনের প্রভাবে মাঝে মাঝে উপরে উঠে এসে সমভূমি গঠন করে। এভাবে ভূমি উঁচু হয়ে এই জাতীয় সমভূমির সৃষ্টি হয় বলে, এদের উন্নত সমভূমি বলা হয়। যেমন— ভারতের পূর্ব উপকূলের সমভূমি এভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
অবনত সমভূমি (Depressed Plain) : ভূআন্দোলনের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠের নিম্ন স্থান উঁচু হয়ে সমভূমি গঠন করা ছাড়াও মাঝে মাঝে আবার উঁচু স্থান নীচে বসে গিয়ে সমভূমি গঠিত হয়। এরূপ সমভূমি অবনত সমভূমি নামে পরিচিত। যেমন— মধ্য এশিয়ার তুরানের নিম্নভূমি (Turan Basin) এই জাতীয় সমভূমির প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অথবা, সূচার লাইন : যে রেখা বরাবর দুটি পাতের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, তাকে সিবনরেখা বা সূচার লাইন বলে।
বৈশিষ্ট্য : প্রকৃতিগতভাবে এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ। লাভার নিঃসরণ বা ম্যাগমার নির্গমন দ্বারা এই অঞ্চলটিকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সিবনরেখা বরাবর পলি ভীষণভাবে চাপ খায় ও স্থানচ্যুত হয়।
উদাহরণ : হিমালয়ের পশ্চিমাংশে সিন্ধুনদের উপত্যকা সিবনরেখার উদাহরণ।
(vi) পারমাণবিক বিদ্যুৎ : তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণুর মধ্যে নিউক্লিয়াসের বিভাজন বা সংযোজন ঘটলে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে।
পারমাণবিক শক্তির কাঁচামাল : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, লিথিয়াম, প্লুটোনিয়াম, মোনাজাইট, ভারী জল ইত্যাদি।
অথবা, কোক কয়লা (Coke Coal) : AC Institution, Malda-এর 3. (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ ঘ
4 (i) অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য : Baghbazar Multipurpose Girls School (Govt Spons)-এর 4. (0)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) খরা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণীয় ব্যবস্থাসমূহ : খরা নিয়ন্ত্রণে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে –
খরা এলাকা চিহ্নিতকরণ : উল্লেখযোগ্য খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে Drought Prone Area Programme (DPAP) এবং Desert Development Programme (DDP)-এর মাধ্যমে খরা সম্পর্কে অগ্রিম ধারণা দেওয়া এবং প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
বৃক্ষরোপণ : খরাপ্রবণ এলাকাতে সামাজিক বনসৃজন, কৃষি বনসৃজন, বনমহোৎসব প্রভৃতি কর্মসূচির মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে, জল ভূঅভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভৌমজলের সঞয় বৃদ্ধি করে ও ভৌমজলস্তরকে ওপরের দিকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করে।
(iii)
অথবা, চা চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বিবরণ : AC Institution, Malda 45. (B) (i) এর প্রাকৃতিক পরিবেশ অংশটি দ্যাখো।
(iv) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব 474 নং পৃষ্ঠার AC Institution, Maldia 5 (B) (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, প্রবহমান জলের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয়ের পর্যায়সমূহ। প্রবহমান জলের দ্বারা তিনভাবে মুক্তিকাক্ষয় ঘটে, যথা—
বৃষ্টির ফোঁটার মাধ্যমে ক্ষয় (Splash Erosion) বৃষ্টির জল সরাসরি মাটিতে পড়ে মাটির কণাগুলিকে তোঙে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কণায় পরিণত করে। এই সুক্ষ্ম কণাগুলি মাটির উপরিভাগে পড়ে থাকার জন্য। মাটির বন্ধু বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বৃষ্টির জল মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না তখন এই জল পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহমান জলের সঙ্গে সূক্ষ্ম কণা মিশে অন্যত্র প্রবাহিত হয়, একেই বৃষ্টির ফোটার মাধ্যমে কথা বলে।
স্তর বা চাদর ক্ষয় (Sheet Erosion) বৃষ্টির জল ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে পাতলা স্তর বা চাদরের ন্যায় প্রবাহিত হওয়ার সময় মৃত্তিকার উপরিভাগের পাতলা স্তরকে অপসারিত করে, একে মৃত্তিকার স্তর বলে।
নালি ক্ষয় (Rill Erosion) ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে বৃষ্টির জল যখন সংকীর্ণ ও অগভীর নালার আকারে প্রবাহিত হয় তখন জলের গতিবেগ ও মাটিকে ক্ষমা করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। মাটির এ ধরনের ক্ষয়কে নালি ক্ষয় বলে।
গালি ক্ষয়(Gully Erosion) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও স্থায়িত্ব বেড়ে গেলে নালিগুলির মধ্য দিয়ে বেগে প্রবাহিত জল মাটিকে আরো গভীরভাবে কাটতে থাকে। ফলে, সংকীর্ণ ও অগভীর নালিগুলি ক্রমশ চওড়া ও গভীর খাতে পরিণত হতে থাকে। এরূপ খাত সৃষ্টি হয়ে মূর্তিকা। ক্ষয় পাওয়াকে খাতক্ষণা বলে।
রাডাইন ক্ষয় (Ravine Erosion) : অধিক ঢালু উদ্ভিদহীন জমিতে যেখানে জলের দ্বারা মাটি ক্ষরা পেয়ে সংকীর্ণ ও অগভীর খাত সৃষ্টি করে, সেখানে মাটি ক্রমশ ক্ষয় পেয়ে খাড়া পার্শ্বটালমুক্ত গভীর যে গর্ত বা ঘাতের সৃষ্টি হয়, তাকেই রাডাইন ক্ষমা বলে।
বিভাগ: ঙ
5 (A) (i) সঞ্চয়কার্যের দ্বারা সৃষ্ট সমভূমি সমূহ : AC Institution, Malda-এর 5. (A) (ii)-এর O, O, ও, পয়েন্টগুলি দ্যাখো।
লোয়েস সমভূমি : বায়ুবাহিত অতি সূক্ষ্ম বালিকণা উৎস অঞ্চল থেকে দূরে কোথাও অবক্ষিপ্ত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে। এটি জার্মান শব্দ ‘Loss’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘সূক্ষ্ম পলি’ (Fine Loam) বা স্থানচ্যুত বস্তুকণা’। জার্মান ভূবিজ্ঞানী ভন রিকটোফেন (Von Richthofen) সর্বপ্রথম ‘লোয়েস’ (Loess) শব্দটি ব্যবহার করেন।
উৎপত্তি : 0.05 মিলিমিটারের কম ব্যাসযুক্ত বালিকণা সহজেই প্রবল বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে ভাসমান অবস্থায় বাহিত হয়। এই বায়ুর গতি মন্দীভূত হলে বা এই বায়ু কোনো আর্দ্রবায়ু বা বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হলে বায়ুস্থিত বালিকণাগুলি সহজেই অবক্ষিপ্ত হয় এবং একই স্থানে বহুদিন ধরে সঞ্চিত হয়ে লোয়েস সমভূমি গড়ে ওঠে।
লাভা সমভূমি : ভূগর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা কোনো ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠের বাইরে এসে লাভারূপে শীতল ও কঠিন হয়ে জমাট বেঁধে যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে লাভা সমভূমি বলে। যেমন- ভারতের গুজরাটের মালব সমভূমি।
উপকূলীয় সমভূমি : বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়জাত পদার্থ সমুদ্রের অগভীর উপকূলীয় অংশে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে উপকূলীয় সমভূমি বলে। যেমন— ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি।
হিমবাহ সমভূমি : হিমবাহ দ্বারা বাহিত গ্রাবরেখা, নুড়ি, কাঁকর, বালি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি গড়ে ওঠে, তাকে হিমবাহ সমভূমি বলে। যেমন— কাশ্মীর উপত্যকায় এই সমভূমি দেখা যায়।
(ii) জৈবিক আবহবিকারে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভূমিকা : 477 নং পৃষ্ঠার Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 4. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) পৃথিবীর অভিগত গোলকের গোলকত্বের প্রমাণ : Burdwan Town School-এর 5. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(B) (i) পূর্ব ভারতে অধিক সংখ্যক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণ : ভারতের অধিকাংশ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্বের চারটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে অধিক সংখ্যায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণগুলি হল—
কয়লার সহজলভ্যতা : ভারতের এই পূর্বাঞ্চলই বিটুমিনাস জাতীয় কয়লা সমৃদ্ধ এলাকা। এখানকার পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ, আসানসোল, ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া, বোকারো, গিরিডি, করণপুরা, ওড়িশার তালচের, রামপুর প্রভৃতি অঞ্চল কয়লা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।
বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা : এই অঞ্চল অত্যন্ত জনবহুল ও এখানকার ছোটো বড়ো শিল্পাঞ্চলগুলিতে (হুগলি, হলদিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর, জামসেদপুর, রাঁচি, হাজারিবাগ, রাউরকেল্লা, সিন্ধ্রি, বোকারো, ধানবাদ প্রভৃতি শিল্পাঞ্চল) বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বিকল্প শক্তি সম্পদের অভাব : পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদিত হয় না। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী খরস্রোতা নদীও এখানে বিশেষ নেই। ফলে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ ও NH-2, NH-6, NH 23, NH 31, NH-33 প্রভৃতি জাতীয় সড়কপথের মাধ্যমে কয়লাখনিগুলি থেকে প্রয়োজনীয় কয়লা সহজেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে সুলভে আনার সুবিধা রয়েছে।
সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক : পূর্ব ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক এই অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
অধিক জনসংখ্যা এবং বিপুল চাহিদা : পূর্ব ভারতের অত্যধিক জনসংখ্যা ও তাদের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ-এর চাহিদা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার অন্যতম সহায়ক। এছাড়াও বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগ প্রভৃতি পূর্ব ভারতে অধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
(ii) পর্যটন শিল্প (Tourism Industry) : পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত পণ্য, পরিকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা ও পরিসেবা, যেগুলি পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনে সাহায্য করে, সেই সমস্ত কিছু নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্প পর্যটন শিল্প নামে পরিচিত।
পর্যটনের শ্রেণিবিভাগ : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগত পর্যটন, অরণ্য পর্যটন, পার্বত্য পর্যটন, ঐতিহাসিক পর্যটন, সাংস্কৃতিক পর্যটন, খেলাধুলাগত পর্যটন (ইডেন গার্ডেন), নদীকেন্দ্রিক পর্যটন, ঐতিহ্যগত পর্যটন, চা বাগিচা পর্যটন প্রভৃতি বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রগুলি পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান। তাই পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্পের উন্নতির কারণসমূহ :
AC Institution, Malda-এর 4. (iv)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) উত্তরবঙ্গের উল্লেখযোগ্য নদী : তিস্তা (315) কিমি), ও তোর্সা (প্রায় 320 কিমি), ও মহানন্দা (প্রায় 360 কিমি), * জলঢাকা (প্রায় 192 কিমি), ও রায়ডাক, ৩ সঙ্কোশ।
উত্তরবঙ্গের নদীগুলির বৈশিষ্ট্য :
জলের উৎস : হিমালয়ের বরফগলা জল ও বৃষ্টির জলে পুষ্ট।
জলের স্থায়িত্ব : সারাবছর নদীগুলিতে জল থাকে।
প্রবাহের দিক : এই নদীগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
নদী উপত্যকা : এই নদীগুলির উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ।
মোহানা : মহানন্দা ছাড়া অন্যান্য নদী বাংলাদেশের যমুনা নদীতে মিশেছে।
জলের প্রকৃতি : বরফগলা জলে পুষ্ট বলে নদীগুলির জল লবণাক্ত নয়।
জলসেচ : নদীগুলিতে জলসেচ ব্যবস্থা তেমন বিকাশ লাভ করেনি।
বিদ্যুৎ উৎপাদন : নদীগুলির প্রবল স্রোত জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।
বন্যা : বর্ষাকালে প্রবল বন্যা দেখা যায়।
মালভূমির উল্লেখযোগ্য নদী : দামোদর (প্রায় 542 কিমি), ও অজয় (প্রায় 276 কিমি), ও রূপনারায়ণ (প্রায় 254 কিমি), ময়ূরাক্ষী (241 কিমি)। এছাড়াও, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে কেলেঘাই ও কংসাবতীর মিলিত প্রবাহ হলদি নদী এবং সুবর্ণরেখা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
মালভূমির নদীগুলির বৈশিষ্ট্য :
নদীর উৎস : এই অঞ্চলের নদীগুলি অনুচ্চ পাহাড় থেকে সৃষ্ট ও বৃষ্টির জলে পুষ্ট। এই নদীগুলি বন্যাপ্রবণ ও খরস্রোতা।
প্রবাহের দিক : এই অঞ্চলের নদনদীগুলি পশ্চিম থেকে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব ও দক্ষিণবাহিনী হয়েছে।
মোহানা : নদীগুলির অধিকাংশই ভাগীরথী-হুগলি নদীর উপনদী।
জলের উৎস : জলের স্থায়িত্ব নদীগুলি বৃষ্টির জলে পুষ্ট।
জলের স্থায়িত্ব : নদীগুলি গ্রীষ্মকালে শুষ্ক থাকে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন : নদীগুলি খরস্রোতা বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বন্যা : বর্ষাকালে নদীগুলিতে বন্যা হয়।
সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ : নদীবক্ষে চর দেখা যায়।