নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় বাংলা সেট ৮

Falakata High School (XII)

নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় বাংলা সেট ৮

১.১ “ওরে ও তরুণ ঈশান!”  ‘ঈশান’ শব্দটির অর্থ হল -(খ) শিব।
১.২ লাউমাচা থেকে ফুল দুলছে – (গ) সন্ধ্যায় ।
১.৩ “গাজনের বাজনা বাজা!” ‘গাজন’ নামক লোকায়ত উৎসবটি এখনও বাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। (গ) চৈত্রে।
১.৪ চন্দ্রনাথ গ্রাম ছাড়ার সময় স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ রেখে গেছে –  (ঘ) হীরুকে লেখা চিঠি। 
১.৫ নাগর নদী প্রবাহিত হয়েছে (ক) পাতিসরে।
১.৬ ‘ইনকিলাব’, ‘শহিদ’ প্রভৃতি শব্দ বাংলায় অনায়াসে ব্যবহার করেছেন – (ক) নজরুল।
১.৭ ““সাধু’ রচনায় বিদেশি শব্দ ব্যবহার করতেন না” (গ) বিদ্যাসাগর। 
১.৮ পাহাড়বাসী অন্যান্য জাতির সঙ্গে মিশেছে—(ক) বিবাহসূত্রে। 
১.৯ ‘সমুদ্রের সামান্য নমুনা’ বলতে লেখিকা বুঝিয়েছেন – (খ) বঙ্গোপসাগর ।
১.১০  ‘আমরা’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, তা হল— (গ) ‘কুহু ও কেকা’।
১.১১ চন্দ্রনাথের কপালের মধ্যস্থলে ছিল (খ) শিরায় রচিত ত্রিশূল-চিহ্ন।
১.১২ শকুন্তলা তার অভিজ্ঞানসূচক বস্তুটি হারিয়ে ফেলেছিলেন (খ) শচীতীর্থে।
১.১৩ কালকা থেকে কসৌলির দূরত্ব – (গ) ছেচল্লিশ কিলোমিটার।
১.১৪ সন্ডার্সের যে রোগের চিকিৎসা শঙ্কু করেছিলেন, তা হল – (ঘ) যকৃৎ ক্যানসার ।
১.১৫ ক্রিয়াপদের মূলে থাকে – (গ) ধাতু ।
১.১৬ কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনায় ক্রিয়ার যে কাল ব্যবহৃত হয়, তা হল (গ) নিত্য বর্তমান।
১.১৭ বিভক্তি যুক্ত হয় না – (ক) অব্যয় পদে।
১.১৮ ‘পাতিহাঁস’ শব্দে ‘পাতি’ শব্দের অর্থ – (ঘ) ক্ষুদ্র।
১.১৯ দিয়া পরম ধর্ম’ ‘দয়া’ (ক) গুণবাচক বিশেষ্য। 
১.২০ মর্দ > মরদ – একটি – (খ) স্বরভক্তি।
২.১ দুইখানি গ্রাম ‘দোঁহা-পানে’ অর্থাৎ পরস্পর পরস্পরের দিকে চেয়ে আছে।
২.২ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর ‘আমরা’ কবিতায় ‘বাংলার রবি’ বলতে কবি জয়দেবকে বুঝিয়েছেন। 
২.৩ ভুটিয়ানিরা শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী স্বভাবের হয়। .
২.৪ ‘চন্দ্রনাথ’ গল্পে হেডমাস্টার ছিলেন শীর্ণ, দীর্ঘকায় ও শান্তপ্রকৃতির মানুষ। তাঁর হাতে থাকত একটি হুঁকা।
২.৫ ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধের লেখিকা ঈশ্বরের অপরূপ সৃষ্টির জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ ।
২.৬ রেলপথে যাবার সময় লেখিকা সেই বর্ণনাতীত সুন্দরকে দেখেছেন।
২.৭ ভারতবর্ষে ইংরেজদের কারাগারে যেসব ভারতীয় বিপ্লবীরা বন্দি সেইসব বন্দিশালায় কবি আগুন জ্বালানোর কথা বলেছেন।
২.৮ কাজী নজরুল ইসলাম ‘ভাঙার গান’ কবিতায় ‘ভগবান’ বলতে বীর বিপ্লবী তরুণদের বুঝিয়েছেন। যাদের মধ্যে কবি প্রত্যক্ষ করেছেন দেবাদিদেব মহাদেবের প্রলয়ংকর রূপ।
২.৯ ‘বীর সন্ন্যাসী’ বিবেকানন্দের বাণী জগত্ময় ছুটছে। ২.১০ জড়ের সাড়া অর্থাৎ জড় বলে পরিচিত উদ্ভিদের উত্তেজনায় সাড়া দেবার ক্ষমতা আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু।
২.১.১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য-শিল্প-সংগীতের মধ্য দিয়ে ‘মহামিলনের গান’ গেয়েছেন।
২.১২ রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের জন্য পথ্য এবং বাড়িতে আলো জ্বালানোর তেল কিনেছিল।
২.১৩ পদ্মলোচনকে পথিক বলেছিল “এই কাপড় এখনই ওই রাধারাণীকে দিয়ে এসো।”
২.১৪ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চন্দ্রনাথকে বঞ্চিত করে হীরুকে প্রথম করেছে স্কুলের সেক্রেটারি হীরুর কাকা। তাই চন্দ্রনাথ নিজের ‘ডিগ্‌নিটি’ অর্থাৎ সম্মান বজায় রাখতে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিল।
২.১৫ নরু কল্পনা করেছিল, কালপুরুষ নক্ষত্র গভীর নীল আকাশে ছায়াপথে, কিশোর চন্দ্রনাথের সঙ্গে চলেছে।
২.১৬ নরুর লেখা কাগজে বেরিয়েছে একথা শুনে মাস্টারমহাশয় নরুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সাহিত্যচর্চাটা পড়ার সময় একটু কম করতে, কিন্তু সেটা যেন সে না ছাড়ে। কারণ, এটা একটা গর্বের বিষয়।
২.১৭ Contai Model Institution-এর ২.৯-এর উত্তরটি দেখুন।
২.১৮ সন্ডার্সের মা প্রোফেসর শঙ্কুকে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, “তুমি জেরিকে মৃত্যুর কবল থেকে উদ্ধার করেছ; এ ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না।”
২.১৯ অনুসর্গ : যে সমস্ত অব্যয় পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে কখনও বিভক্তির কাজ করে, কখনও বিভক্তির সঙ্গে এক হয়ে পূর্বপদের কারকের অর্থ প্রকাশ করে, কখনও তুলনা বা সাদৃশ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তাদের অনুসর্গ বা পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে। যেমন— দ্বারা, জন্য, নিকট, পাশে, বিনা, সাথে ইত্যাদি।
২.২০ ব্যাকরণে ‘ব্যয়’ কথাটির অর্থ ‘বিভক্তিজনিত শব্দ’ বা পদের রূপভেদ। এর আর-একটি আভিধানিক অর্থ ‘ত্যাগ’। বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ (পদ) আছে যাদের রূপভেদ হয় না। অর্থাৎ, তারা কোনো অবস্থাতেই নিজের রূপ ত্যাগ করে না, তাদেরই অব্যয় (অর্থাৎ, নয় ব্যয়, নয় রূপভেদ, নয় ত্যাগ, নয় পরিবর্তন) বলে।
৩.১ সভ্যতার বিবর্তনের দীর্ঘ রূপরেখার প্রতি আলোকপাত করেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘খেয়া’ কবিতায়।
কবি দেখেছেন বিচিত্র ধ্বংস-সৃষ্টি, উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে মানবের জীবনপ্রবাহ অনিবার্যতা লাভ করেছে। মানবজীবনের অতৃপ্তি, অপ্রাপ্তি থেকে যে ক্ষুধা-তৃয়া এসেছে তা-ই মানুষকে সভ্যতার নব নব ক্ষেত্র রচনায় প্রবৃত্ত করেছে।
অথবা, ‘গাজনের বাজনা’ চৈত্র-সংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষদিন বাজে।
চৈত্র মাসের শেষে মহাদেবের আরাধনাকে কেন্দ্র করে যে লোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, তা’ই গাজন। দেবতা শিবের বন্দনা করার এ অনুষ্ঠানে ঢাক, ঢোল, কাঁসর ইত্যাদি বাজনা বাজানো হয় ৷
৩.২ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘চন্দ্রনাথ’ গদ্যাংশের শেষ চিঠিটি চন্দ্রনাথ তার সহপাঠী হীরুকে লিখেছিল।
চিঠিতে চন্দ্রনাথ জানিয়েছিল, সেদিনই সে গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে বলে হীরুর স্কলারশিপ প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসবে থাকতে পারছে না। তাকে যেন মার্জনা করা হয়। সে হীরুর সাফল্যে আনন্দিত। কিন্তু স্কলারশিপটা এমন বড়ো ব্যাপার নয়। তাই এই উৎসব করার দরকার ছিল না।
অথবা, প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে কথক যে দিনের কথা বলেছেন সেই দিনটি ছিল একটা শীতকালের দুপুর। বৃষ্টি না পড়লেও সে দিনটিতে বাদল দিনের মতো আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল বলে পৃথিবীটাকে লেখকের মনে হয়েছিল ম্লান, অসাড়; যা লেখকের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর লাগছিল। লেখক ও তাঁর বন্ধু সোমেশ যে ঘরটায় বসেছিলেন সেখানকার পরিবেশ ছিল নিশ্চল, নিস্তব্ধ। লেখক বলেছেন বাইরের অসাড়তা যেন তাদের মনের ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি আরম্ভ হয়। কাঁচের শার্সির ভেতর দিয়ে বাইরের রাস্তাঘাটকে ঝাপসা দেখাচ্ছিল। সবমিলিয়ে এক গুমোট পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল তারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
৪.১ Bankura Zilla School-এর ৮.১-এর উত্তরটি দেখুন।
অথবা, কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটির বক্তা নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর।
রাজা দুষ্মন্ত তাঁর রাজধানীর উদ্দেশে বিদায় নেওয়ার সময় শকুন্তলাকে একটি রত্নখচিত, নিজ নামাঙ্কিত, বহুমূল্য আংটি দেন। যা ছিল দুর্বাসার অভিশাপ খণ্ডনের জন্য রাজা দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পরিচিতির একমাত্র স্মারক। এখানে এই আংটিটির কথাই বলা হয়েছে।
Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর ৩.৪-এর অথবা-এর উত্তরটি দেখুন।
৪.২ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ১০.২-এর উত্তরটি দেখুন।
অথবা,
Bankura Zilla School-এর ৯.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৪.৩ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ১২.২-এর উত্তরটি দেখুন।
অথবা, কথায় আছে—“পিতার পুণ্যে পুত্রের জয়।’ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুও ছিলেন তেমনই ‘পিতা’, যাঁর পুণ্যে পুত্র ত্রিলোকেশ্বর পরবর্তীকালে বিখ্যাত অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীরূপে বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতে পেরেছিলেন। তাঁর আশ্চর্য জীবনদর্শন আমরা শঙ্কুর কাহিনি থেকে পাই।
ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু ছিলেন গিরিডির অপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। লোকে তাঁকে বলত ধন্বন্তরি। তিনি সারা জীবনব্যাপী অনেক রোজগার করলেও যতটা করতে পারতেন, ততটা করেননি। কারণ, পেশাদারি প্র্যাকটিস ছাড়াও উনি সারাজীবন বিনা পয়সায় বহু দরিদ্র রোগীর চিকিৎসা করেছেন।
তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে বলতেন “ক্ষমতা আছে বলেই যে অঢেল উপার্জন করতে হবে তার কোনো মানে নেই।” সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য অর্থের প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু দরিদ্র মানুষের সেবা করাটাই জীবনের পরম সার্থকতা।
ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু চেয়েছিলেন, পুত্র মানুষ হোক। পুত্রের প্রতি অত্যন্ত স্নেহ হেতু তাই তিনি ছেলেকে অন্যান্য বিষয় পাঠলাভেও
উৎসাহী করে তোলেন। পুত্রকে তিনি বলেন—“তুই যদি চাকরি-বাকরি না করে বাকি জীবনটা শুধু রিসার্চেই কাটিয়ে দিতে চাস, তাতেও আমার আপত্তি নেই।”
আদর্শ পিতা ছিলেন ত্রিপুরেশ্বর। সন্তানের স্বপ্নকে লালন করে তিনি কেবল পিতার কর্তব্য পালন করেননি, আদর্শ- মানুষের ধারণা তৈরি করেছেন সন্তানের মনে। মৃত্যুর পর সঞয়ের একটা বৃহৎ অংশ লোকহিতকর কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত তাঁর মহানুভবতার দৃষ্টান্ত। এইভাবে চিকিৎসক ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর জীবনদর্শন পাঠককে অভিভূত করে।
৫.১ অমরত্বের প্রত্যাশী কিংবা বৈরাগ্যসাধনে মুক্তিলোভী নন, বরং মর্ত্যপ্রেমে প্রাণিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবের নিরন্তর প্রবাহধারার স্বরূপ অন্বেষণ করেছেন যুগান্তরের ঋষিসুলভ নিমগ্ন সাধনায়। সেই গভীর বিস্তৃত কবিভাবনা ‘খেয়া’ কবিতার ছোটো পরিসরে মুক্তি পেয়েছে অনন্য কাব্যশৈলীর মধ্য দিয়ে।
‘খেয়া’ কবিতা নির্মাণে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের কাব্যধারার মেলবন্ধন করেছেন কবি। সনেটের আঁটোসাঁটো পরিধিতে কবি তাঁর সুগভীর জীবনদর্শনকে মুক্তি দিয়ে, খেয়া নৌকা যাত্রীদল-নদীস্রোতের প্রসঙ্গে এনেছেন মানবের অস্তিত্বের কাহিনিকে। নদীপারের গ্রামদুটি তাই মানবসভ্যতার আঁতুড়ঘর হয়ে থেকেছে চিরকালের জন্য।
কালান্তক হিংসার আগুনে পুড়েছে সাধের মানবজীবন, খোদিত হয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। আবার সেই ইতিহাসে বিজয়ীর গৌরব যাবতীয় অর্থ হারিয়েছে। পক্ষান্তরে, সন্ধ্যাতারার মতো দূর নদীপারে জেগে রয়েছে মানুষের বেঁচে থাকার অসীম প্রেরণা— সেই পবিত্র শক্তিধারাই মানুষের শাশ্বত চলনকে গতিশীলতা দান করেছে-
“এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে- কেহ যায় ঘরে, কেহ আসে ঘর হতে ।।”
ভাববাদী কিংবা মায়াবাদী হতে পারেননি কবি; বরং মর্ত্যপ্রেমে আপ্লুত হয়ে গরলে-অমৃতে সিক্ত জীবনের পবিত্র প্রবাহের অন্বেষণকে পূর্ণ করেছেন।
অথবা,
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র-এর ৯.২-এর উত্তরটি দেখুন।
৫.২ উদ্ধৃতাংশটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর লেখা ‘চন্দ্রনাথ’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চন্দ্রনাথ’ গল্পের কথক নরেশ ওরফে নরু। স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণা প্রসঙ্গে দুই সহপাঠী এবং প্রধান শিক্ষকের কথা তার বিশেষভাবে মনে পড়েছে। রোগা, লম্বা চেহারা এবং শান্ত স্বভাবের মাস্টারমশাই ছিলেন অত্যন্ত ছাত্রদরদি। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাঁকে অবাঞ্ছিত একটি ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে। চন্দ্রনাথ তাঁর অতি প্রিয় ছাত্র। সে কখনও সেকেন্ড হয়নি। অথচ স্কুলের শেষ পরীক্ষায় হীরু ফার্স্ট হয়। হীরু চন্দ্রনাথের খাতা দেখে তিনটে অঙ্ক ঢুকেছে এবং সহকারী শিক্ষকও অন্যায়ভাবে হীরুকে বেশি নম্বর দিয়েছেন। অভিমানে চন্দ্রনাথ পুরস্কার বিতরণের দিন সেকেন্ড প্রাইজ না নিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাখ্যানপত্র দিয়েছে। হেডমাস্টারমশাই নরুকে ভার দেন চন্দ্রনাথের মত পরিবর্তন হয়েছে নাকি তা জেনে আসতে। নরু ফিরে এসে চন্দ্রনাথ ও তার দাদার এ-বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক এবং সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবার ঘটনা মাস্টারমশাইকে জানায়। মাস্টারমশাই তখন নিজে অনুতাপ ও বেদনায় জর্জরিত হয়ে বলেন- “আমারই অন্যায় হলো। চন্দ্রনাথের দাদাকে না জানালেই হতো। না, ছি ছি ছি!” বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে হীরু প্রথম হয়েছে বলে স্কলারশিপ পাবে। সেই উপলক্ষ্যে তাদের বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মাস্টারমশাকে উপস্থিত থাকতে হয়েছে এবং সেখানেও তিনি নরেশকে সাহিত্যচর্চা ও লেখাপড়ায় উৎসাহ দিয়েছেন, চন্দ্রনাথের খোঁজ নিয়েছেন। চন্দ্রনাথ কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। অসম্ভব স্নেহশীল মাস্টারমশাই পরিস্থিতির শিকার হয়ে অসহায় বোধ করেছেন। চন্দ্রনাথের অবাঞ্ছিত পরিণতির জন্য বেদনার্ত হয়েছেন।
অথবা, Barlow Girls’ High School (HS)-এর ১২.১-এর উত্তরটি দেখুন।

Leave a Comment