“যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক”- ‘আগুন’ নাটকে উক্ত উক্তিটি কে, কাকে করেছেন? কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী

“যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক”- ‘আগুন’ নাটকে উক্ত উক্তিটি কে, কাকে করেছেন? কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী?

"যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক"- 'আগুন' নাটকে উক্ত উক্তিটি কে, কাকে করেছেন? কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী
“যে রক্ষক সেই হল গিয়ে তোমার ভক্ষক”- ‘আগুন’ নাটকে উক্ত উক্তিটি কে, কাকে করেছেন? কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী

ক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি

বিখ্যাত ভারতীয় নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা বিজন ভট্টাচার্য বিরচিত ‘আগুন’ নাট্যাংশের চতুর্থ দৃশ্যে হরেকৃষ্ণবাবু, তার স্ত্রী মনোরমাকে উক্ত উক্তিটি করেছেন।

প্রসঙ্গ

আকালের পটভূমিতে খাদ্যাভাব, রেশন ব্যবস্থার দুর্নীতি, কালোবাজারি-মজুতদারের আগ্রাসন এবং অফিসের ‘ম্যানেজার আর তার মোসাহেব’-দের ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধি প্রসঙ্গে হরেকৃষ্ণবাবু এ কথা বলেছেন।

কারণ

১৩৫০ বঙ্গাব্দে রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে পড়ে, দুর্ভিক্ষের ক্ষুধার্ত হায়না। চারিদিকে বুভুক্ষু মানুষের কাতর আর্তনাদ। এই সময় সমাজসচেতন নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য দেখেছিলেন বাংলার বুকে লুকিয়ে থাকা আর এক বাংলাকে। যেখানে শুধুমাত্র রাজশক্তি নয়, অন্যান্য সমাজশত্রু, যারা বিদেশি শাসনের সুযোগে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে শোষিত, বঞ্চিত করেছে। আর অসহায় নিরুপায় মানুষগুলি অব্যক্ত জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে, নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস মনে করে মানিয়ে নিয়েছে।

“সে সব কেলেঙ্কারির কথা আর বোলো না গিন্নি। বাবুদের নামে সস্তা দরে চাল ডাল এনে কর্তারা আবার সেগুলো চড়া দামে বাজারে ছাড়ছেন।” যাদের উপর অসহায়, আর্ত মানুষের রক্ষার দায়দায়িত্ব ছিল, তারাই ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির বশবর্তী হয়ে, নিজেদের উদগ্র অর্থলিপ্সাকে চরিতার্থ করতে অক্টোপাসের মতো বাহু বাড়ায়। আর ক্ষুধার্ত মানুষগুলিকে ফাঁকি দিয়ে এই ক্রান্তিলগ্নে লাভ ওঠায়-লোভী ম্যানেজার আর তার সাথীরা।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment