“এদিকি ফরসা হয়ে আল্যো খেয়াল আছে। উঠে পড়”- কোন্ রচনার অন্তর্গত? বক্তা কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী তা ব্যাখ্যা করো

“এদিকি ফরসা হয়ে আল্যো খেয়াল আছে। উঠে পড়”- কোন্ রচনার অন্তর্গত? বক্তা কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী তা ব্যাখ্যা করো।

"এদিকি ফরসা হয়ে আল্যো খেয়াল আছে। উঠে পড়"- কোন্ রচনার অন্তর্গত? বক্তা কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী তা ব্যাখ্যা করো
“এদিকি ফরসা হয়ে আল্যো খেয়াল আছে। উঠে পড়”- কোন্ রচনার অন্তর্গত? বক্তা কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী তা ব্যাখ্যা করো

উৎস

বিংশ শতাব্দীর নাট্যকারদের মধ্যে বিজন ভট্টাচার্য এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। উক্ত উক্তিটি তাঁর প্রসিদ্ধ ‘আগুন’ রচনার অন্তর্গত।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

‘আগুন’ নাটকের প্রথম দৃশ্যে-সবজি বিক্রেতা পরিবারের প্রতিনিধি পুরুষ, নেত্য (নিতাই) ও নেত্যর মা-কে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন।

কারণ

প্রখ্যাত নাট্যকার বিজনবাবু তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে, মন্বন্তর পীড়িত মানুষের জীবন-দুর্দশার মর্মান্তিক, করুণ নিষ্ঠুরতার ছবি এঁকেছেন। ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষেরা রাত থাকতে উঠে কাজ শুরু করে, তারপর রুজিরোজগারের টানে ভোরবেলাতেই বেরিয়ে পড়ে।

নেত্য ও নেত্যর মা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। তাদেরকেও খুব ভোরে সবজির পসরা সাজিয়ে বাজারে বেরোতে হবে-

“কলমি শাক, দাঁতন কাঠি আর কলাটলা ঝা কিছু রাখিছিস খপ করে গোছায়ে নে।”

তারপর বাজারে সবকিছু বিকিকিনি করার পর, সেই অর্থ দিয়ে রেশন ব্যবস্থায় চাল নেওয়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে হবে। এজন্য জনৈক পুরুষ বারেবারে নেত্য ও নেত্যর মাকে তাগাদা দিতে থাকে। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার জন্য আহ্বান জানায়।

“আর কত ঘুমুবি … ঐগুলো বিক্রি করে‍্য শেষ পরে তো নাইনি গে চাল কিনবি। ঝত সকালে যাবি ততই ভালো।”

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment