পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধে রবীন্দ্রসংগীত ব্যতীত তাঁর অন্য কোন্ কোন্ সাহিত্য প্রকরণের প্রশংসা করেছেন প্রবন্ধকার? তার একটি পাঠভিত্তিক পরিচয় দাও

প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী বিশ্ববরেণ্য বহু লেখকের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যসৃষ্টি পড়েছিলেন এবং সে বিষয়ে তিনি ছিলেন বিপুল জ্ঞানের অধিকারী। এ ছাড়াও কেবল রবীন্দ্রসংগীত নয়, রবীন্দ্রসাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে চর্চাও করেছেন প্রাবন্ধিক।

রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের গুণমুগ্ধ পাঠক

সৈয়দ মুজতবা আলী বিশ্বকবিকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন। তাঁর শিক্ষায় নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই কবির যাবতীয় রচনা সম্পর্কে তাঁর ধারণা খুব স্পষ্ট। আলোচনার শুরুতেই তাঁর উপন্যাস রচনাশৈলীর প্রশংসা করে ‘উত্তম’ শব্দটি প্রয়োগ করেছেন।

ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘করুণা’, ‘চোখের বালি’, ‘গোরা’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘চতুরঙ্গ’, ‘শেষের কবিতা’ বিভিন্ন উপন্যাসে সঞ্চার করেছেন এক নতুন আত্মবিশ্বাস, এক নতুন শিল্পচেতনা।

ছোটোগল্পকার রবীন্দ্রনাথ

সৈয়দ মুজতবা আলী, রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পকাররূপে শ্রেষ্ঠত্বের কথা বোঝাতে গিয়ে বলেছেন, ছোটোগল্পে তিনি মপাসাঁ, চেখফকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। ফরাসি লেখক মপাসাঁকে বলা হয় আধুনিক ছোটোগল্পের জনক। আর রাশিয়ার বিখ্যাত ছোটোগল্পকার হলেন আন্তন চেখফ। বিশ্বে তাঁদের নাম ছড়িয়ে আছে। তবে লেখকের মতে, কবিগুরু বাংলা ছোটোগল্পে তাঁদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।

নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ

নাট্যসাহিত্যের জগতেও তাঁর খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। নাটক এবং বিশেষত রূপক-সাংকেতিক নাটক রচনায় রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব অবিসংবাদিত। ‘রক্তকরবী’, ‘ডাকঘর’, ‘মুক্তধারা’ প্রভৃতি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ

কবিরূপে বিশ্বজনের প্রশংসা অর্জন করেছেন রবীন্দ্রনাথ। নোবেল পুরস্কার তার প্রমাণ রাখে। বিপুল সৃষ্টিসম্ভারের অতুলনীয় ঐশ্বর্য এবং রবীন্দ্রসংগীতের বিপুল সম্ভার তাঁকে সাহিত্যজগতে অজরামর করে রেখেছে।

Leave a Comment