“আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই”-আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী

“আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই”-আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?

"আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই"-আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী
“আচ্ছা তাল হইছে রোজ সকালে। একটু ঘুমোনোর জো নেই।”-আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী

বক্তা

প্রথিতযশা নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য বিরচিত ‘আগুন’ – নাটকের প্রথম দৃশ্যে নিতাই বা নেত্য উপরোক্ত উক্তিটি করেছে।

মন্তব্যের কারণ

দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলায় সাধারণ সবজি বিক্রেতা পরিবারের জীবনসংগ্রাম মূর্ত হয়ে উঠেছে। মহামারি-মড়ক-মন্বন্তরের ভয়াল-ভয়ংকর পরিবেশে খাদ্যাভাব পূরণে সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই প্রচেষ্টা ছিল অপ্রতুল (সামান্য)। ফলে সামান্য চালের প্রত্যাশী হয়ে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে হয়। লাইনে দাঁড়ালেই যে নিশ্চিতভাবে চাল মিলবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে প্রত্যহ সব কাজ ফেলে খুব সকালসকাল চালের লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে হয়, আগে এলে আগে পাবে এই আত্মপ্রত্যয় নিয়ে।

একদিকে খাদ্যসামগ্রীর অপ্রতুলতা, অন্যদিকে মুনাফাবাজ মজুতদার, কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে, বাংলার সাধারণ জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত। এদের গগনচুম্বী লোভ, হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতা বাংলার সাধারণ জনমানবকে নাজেহাল করে দিয়েছিল। তারই সমুজ্জ্বল প্রতিফলন নিতাই-এর উক্ত উক্তিতে প্রতিভাত হয়।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment