আলোচ্য অংশটি নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের ‘আগুন’ নাটক থেকে সংগৃহীত।
প্রথম দৃশ্যের পুরুষ চরিত্রটি তাঁর স্ত্রী, নেত্যর মাকে উদেশ্যে করে এই কথাগুলি বলেছে।
বাংলার কৃত্রিম খাদ্যসংকটের প্রেক্ষাপটে নাটকটি রচিত। তাই নাটকের মধ্যে খাদ্যসংকট, রেশনে চালের লাইনে দাঁড়িয়ে চাল তথা খাদ্য সংগ্রহ নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যে নাট্যকার তুলে ধরেছেন। নাটকের প্রথম দৃশ্যেই দেখা যায়, পুরষ নামক চরিত্রটি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে হাই তুলে, আড়মোড়া ভাঙার পরই পেটের কথা, খাদ্যের জোগানের চিন্তা করে বিচলিত। এই সংকটকালে সহজে এবং সুলভে যে খাদ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাও তার মনে পড়ে যায়। তাই তার স্ত্রীকে অর্থাৎ নেত্যর মাকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে কাজকর্ম সেরে দ্রুত গিয়ে রেশনের লাইনে দাঁড়ানোর কথা বলে। পাশাপাশি সে নেত্যর মাকে মনে করিয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী মণিচাঁদ দেরিতে যাওয়ার ফলে লাইনের একদম শেষে দাঁড়িয়ে অনেক বেলায় ভাগ্যক্রমে চাল পেয়েছিল এবং প্রতিবেশী কুড়োনের মা দেরিতে লাইন দেওয়ার ফলে চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছে। তাই রেশনের লাইনে দেরি করে গেলে উক্ত সমস্যা বা গোলমাল দেখা দিতে পারে বলে মনে করেছে পুরুষ। তাই পুরুষ, তার স্ত্রী অর্থাৎ নেত্যর মাকে কথাগুলি বলেছে।