ওমা, এ যে দাদা,”-দাদা কে? তিনি কোথায় থাকতেন? তিনি আসার পর কী ঘটনা ঘটে?
‘দাদা’-র পরিচয়
বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ছোটোগল্প রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ গল্পটিতে উল্লেখিত ‘দাদা’ হলেন ফটিকের মা-এর দাদা বিশ্বম্ভরবাবু।
‘দাদা’-র বাসস্থান
বিশ্বম্ভরবাবু দীর্ঘদিন পশ্চিমে থেকে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় এসে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে বসবাস করছেন।
আগমনের পরবর্তী ঘটনা
বিশ্বম্ভরবাবু ফটিকদের বাড়িতে আসার পর কিছুদিন খুব সমারোহে কেটে যায়। তিনি যখন পশ্চিমে গিয়েছিলেন, তখন ফটিক বা মাখনলাল কারোর জন্ম হয়নি। ফলে, তারাও মামাকে প্রথম পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়ে। পিতৃহীন এই বালক দুটিকে কাছে পেয়ে বিশ্বম্ভরবাবু তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাবতে থাকেন। অবশেষে বিদায় নেওয়ার দু-একদিন আগে তিনি বালকদ্বয়ের পড়াশোনা ও মানসিক উন্নতির প্রশ্ন তুললে ফটিকের মাতা অবলীলায় জানান যে- “ফটিক আমার হাড় জ্বালাতন করিয়াছে।” সেই তুলনায় মাখনলাল সুশান্ত সুশীল।
বিশ্বম্ভরবাবু তখন নিজের বিধবা বোনের দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য প্রস্তাব দিলেন যে, তিনি কলকাতায় নিজের বাড়িতে রেখে ফটিককে শিক্ষা দিতে চান। বিধবা, দাদার এই প্রস্তাবে সহজেই সম্মত হয়ে ফটিককে জিজ্ঞাসা করলেন-“কেমন রে ফটিক, মামার সঙ্গে কলকাতায় যাবি?” ফটিক সহজেই মামার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল। ফটিককে বিদায় করতে মা-এর আপত্তি না থাকলেও ফটিকের এরূপ আগ্রহ দেখে মা কিছুটা ক্ষুন্ন হলেন। অবশেষে যাত্রাকালে আনন্দের বশবর্তী হয়ে ফটিক তার সম্পদ অর্থাৎ ছিপ, ঘুড়ি, লাটাই-সমস্ত কিছু মাখনলালকে বংশানুক্রমে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে মামাবাড়িতে চলে যায়।
আরও পড়ুন – দর্শন শব্দের অর্থ MCQ