নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় ভূগোল সেট ১১ (২০২৩)

Jalpaiguri Govt Girls’ High School

নবম শ্রেণি প্রশ্নবিচিত্রা উত্তর বিষয় ভূগোল সেট ১১ (২০২৩)

বিভাগ – ক

(i) GPS-এ কার্যকরী উপগ্রহ সংখ্যা হল – (b) 24টি।
(ii) (a) টলেমি যিনি প্রথম অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে গোলাকার পৃথিবীর মানচিত্র তৈরি করেন।
(ii) আবর্তনের সময় প্রায় পৃথিবীর মতোই যে গ্রহের, সেটি হল (a) মঙ্গল।
(iv) (a) 22 ডিসেম্বর তারিখের পর থেকে সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে।
(v) আন্তর্জাতিক তারিখরেখার দুপাশে সময়ের পার্থক্য (c) 12 ঘণ্টার।
(vi) প্রদত্ত চারটি পর্বতের মধ্যে যেটি বিজাতীয় তা হল (d) আরাবল্লি।
(vii) মহিখাত তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন – (b) কোবার। 
(viii) মৃত্তিকার A স্তর থেকে B স্তরে পদার্থের অপসরণ হল (c) এলুভিয়েশন।
(ix) (d) খনিজ তেল একটি গচ্ছিত সম্পদ।
(x) বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় (a) 75 শতাংশের কম হলে খরা হয়।
(xi) ছত্তিশগড়ের সবচেয়ে বিখ্যাত লৌহখনি অঞ্চলটি হল (d) বায়লাডিলা।
(xii) পশ্চিমবঙ্গের নবতম জেলা হল (b) পশ্চিম বর্ধমান। –
(xiii) মাদার ডেয়ারির কারখানা রয়েছে – (c) ডানকুনিতে।
(xiv) মৌজা মানচিত্র আঁকা হয় – (b) 1 : 3,960 স্কেলে।

বিভাগ – খ

2 (A) (i) পৃথিবীর হেলানো অক্ষের কারণেই বিভিন্ন অংশে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের তারতম্য হয়। শুদ্ধ
(ii) সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে গ্রিনিচের সময় নির্ণয় করা হয়। অশুদ্ধ
(iii) উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের দ্বারা যান্ত্রিক আবহবিকার প্রক্রিয়া ঘটে। শুদ্ধ
(iv) ল্যাটেরাইট মাটির কারণেই মালভূমি অঞ্চলে লু প্রবাহিত হয়। অশুদ্ধ
(v) NHPC ভারতে খনিজতেল অনুসন্ধানে নিযুক্ত একটি সংস্থা। অশুদ্ধ
(vi) সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (SOI) সদর দপ্তর রয়েছে কলকাতায়। অশুদ্ধ
(vii) ওঙ্গিল পর্বতের উত্থান ঘটেছে গিরিজনি আলোড়নের মাধ্যামে। শুদ্ধ
(viii) পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে নেপালের সঙ্গে। অশুদ্ধ
(B) (i) ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে সমোন্নতি রেখার সাহায্যে ভূমির উচ্চতা দেখানো হয় ।
(ii) পৃথিবীর আলো ও অন্ধকারের সীমারেখা হল ছায়াবৃত্ত। 
(iii) গ্লোব বা মানচিত্রের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে সৃষ্ট জালক হল ভৌগোলিক জালক।
(iv) অবরোহণ ও আরোহণকে সম্মিলিতভাবে বলা হয় পর্যায়ন।
(v) রাসায়নিক আবহবিকারের জারণ প্রক্রিয়ায় শিলায় মরচে পড়ে।
(vi) সুনামি শব্দের অর্থ হল বন্দর সংলগ্ন ঢেউ।
(vii) সোনালি পানীয় হল চা।
(viii) তামিলনাড়ুর নেভেলি লিগনাইট কয়লা উৎপাদনে বিখ্যাত।
(C) (i) ওজোস ডেল সালাডো (Ojos del salado) হল পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি।
(ii) ব্যারোমিটার যন্ত্রে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয় ।
(iii) পৃথিবী গ্রহের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। . 
(iv) কর্কটক্রান্তি রেখা ও মকরক্রান্তি রেখার মান 23½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ।
(v) পশ্চিমবঙ্গে যে দুর্যোগের প্রাধান্য বেশি তা হল বন্যা। 
(vi) ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি হল চারঙ্ক সৌরপার্ক।
(vii) পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার ঘুষুড়িতে প্রথম বস্ত্র কারখানা গড়ে উঠেছে।
(viii) বিষমসত্ত্ব শিলায় ক্ষুদ্রকণা বিসরণ দেখা যায়।
(D)
(i) নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন (b) বুন্দেলখণ্ড
(ii) হোয়াংহো নদী উপত্যকা (d) লোয়েস
(iii) বক্সা জয়ন্তী পাহাড় (a) সিঙ্গুলা
(iv) অযোধ্যা পাহাড় (c) গোগাবুরু

বিভাগ-গ

3 (i) পৃথিবীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হওয়ার মূল কারণ : পৃথিবীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মূল কারণ হল আবর্তন গতি যেহেতু পৃথিবীর তার কক্ষতলের সঙ্গে 6614° কোণে হেলে নীচু অক্ষ বা মেরুদণ্ডের চারিদিকে নির্দিষ্ট গতিতে 23 ঘন্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড বা প্রায় 24 ঘন্টায় পশ্চিম থেকে পূর্বে একবার আবর্তন করে। ফলস্বরূপ, পৃথিবীর যে অংশ ধীরে ধীরে সূর্যের সামনে আসে সেখানে সূর্যোদয় হয়। তেমনি, পৃথিবীর যে অংশটি সূর্য থেকে ধীরে ধীরে। দুরে সরে যায় সেখানে সূর্যাস্ত হয়। 
অথবা, ভূবিপর্যয় বা ডায়াস্ট্রফিজম : ভূঅভ্যন্তরে সর্বদা ঘটে চলা বিভিন্ন ধরনের ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত শক্তি বা বলের প্রভাবে নানা ধরনের আলোড়ন ঘটে থাকে। এই সব আলোড়নের ফলে মহাদেশের উত্থান, পর্বতের উৎপত্তি, ভূমিকম্প, আগ্নেয়োচ্ছ্বাস, শিলার রূপান্তর, অনুভূমিক বা উল্লম্বভাবে ভূত্বকের চলন প্রভৃতি নানান ঘটনা সংঘটিত হয়। এই সব ঘটনাকে একত্রে বলা হয় ভূবিপর্যয়।
মহীভাবক আলোড়ন, গিরিজনি আলোড়ন, সমস্থিতিক আলোড়ন প্রভৃতি ভূবিপর্যয়কারী আলোড়নের উদাহরণ। 
(iii) ফালিচাষ (Strip Cropping) : অসংরক্ষিত বা উদ্ভিদ বিহীন ঢালু জমিতে আড়াআড়িভাবে চওড়া ফিতাকৃতি বা ফালি আকৃতির (Strip) কৃষি জমি তৈরি করে শস্য চাষ করাকে ফালি চাষ বলে। এর ফলে মৃত্তিকা ক্ষয় হ্রাস পায়।
মালচিং : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 5. (A) (ii)-এর ‘মালচিং’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
অথবা, উষ্ণমণ্ডল (Torrid Zone) : নিরক্ষরেখার উভয় দিকে 23½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে যে অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাকে উয়ুমণ্ডল বলে। এখানে সারাবছর উষ্ণ-আর্দ্র জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।
বৈশিষ্ট্য : সূর্যরশ্মির পতন নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে। দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছরই 12 ঘণ্টা দিন 12 ঘণ্টা রাত্রি বিরাজ করে। গড় তাপমাত্রা উষ্ণমণ্ডলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা 27°C। ঋতু – এখানে ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায় না, কারণ সারাবছর একটিই ঋতু (গ্রীষ্ম) বিরাজ করে।
(iv) বিপর্যয় (Disaster) : Bolpur High School-এর 3. (v)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা অধিক হওয়ার কারণ : উত্তরবঙ্গ অপেক্ষা দক্ষিণবঙ্গ সমুদ্রের নিকটে অবস্থিত হওয়ায় প্রায় প্রতিবছরই বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে গ্রীষ্মের শুরুতে বা বর্ষার শেষে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। সূর্যের উত্তরায়ণের সময় ITCZ বা তাপবিষুব অঞ্চলটি বঙ্গোপসাগরের নিকটে অবস্থান করায় বহুদিন ধরে জলভাগ উত্তপ্ত হতে থাকে যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলে। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সর্বপ্রথম দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়ে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর পর সেটি যতই উত্তর দিকে এগোতে থাকে তার মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্প ও লীনতাপের পরিমাণ কমতে থাকে যার ফলে ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
(v) দুটি প্রধান জ্বালানি খনিজ হল কয়লা ও খনিজ তেল। 
অথবা, কর্কটক্রান্তি রেখা পশ্চিমবঙ্গের যে যে জেলার ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে : Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর 3. (iii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vi) মানচিত্র (Map) : ল্যাটিন শব্দ ‘ম্যাপ্পা’ (Mappa) থেকে ‘ম্যাপ’ (Map) শব্দটি উৎপত্তি লাভ করেছে। ‘ম্যাপ্পা” শব্দের অর্থ কাপড়। প্রাচীনকালে কাপড়, চামড়া, তুলট কাগজের ওপর ‘ম্যাপ’ আঁকা হত। তাই এরূপ নামকরণ করা হয়।
সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোনো অংশ সঠিক দিক অনুসারে নির্দিষ্ট স্কেলে সমতল কাগজের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা সৃষ্ট ছকের ভিতরে উপস্থাপন করা হলে তাকে মানচিত্র বলে। মানচিত্র = মান + চিত্র, অর্থাৎ নির্দিষ্ট মান বা স্কেলে অঙ্কিত চিত্রকে মানচিত্র বলা হয়।
অথবা, স্কেল (Scale) : মানচিত্র, লেখচিত্র বা প্ল্যান-এ প্রদর্শিত যে-কোনো দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে ওই দুটি স্থানের প্রকৃত দূরত্বের অনুপাতকে স্কেল বলা হয়। (Scale is the ratio between the map distance and the true ground distance of two points)।

বিভাগ ঘ

4 (1) পৃথিবীর আবর্তন গতি বিষুবরেখা থেকে মেরুর দিকে কমতে থাকার কারণ- অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখার মান যত বাড়তে থাকে পৃথিবীর পরিধিগত দৈর্ঘ্য তত কমতে থাকে। পৃথিবীর যে অংশে পরিধিগত দৈর্ঘ্য যত বড়ো হয় পৃথিবীর সেই অংশে আবর্তন গতিবেগও তত বেশি হয়। নিরক্ষরেখার পরিধিগত দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বড়ো ফলে নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগও সবচেয়ে বেশি, প্রায় ঘণ্টায় 1670 কিমি। নিরক্ষরেখা থেকে যতই মেরু অঞ্চলের দিকে যাওয়া যায় ততই অক্ষরেখার পরিধি হ্রাস পাওয়ায় পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগও হ্রাস পায় এবং মেরু বিন্দুতে পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ হয় ‘শূন্য’। নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরু বিন্দুর দিকে পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ প্রতি 1 সমাক্ষরেখার দুরত্বে 18:56 কিমি হারে হ্রাস পেয়েছে।
সক্রিয়তা অনুসারে শ্রেণিবিভাগ : আগ্নেয়গিরির প্রকৃতি ও অগ্ন্যুৎপাতের সময়কালের ব্যাপ্তি অনুসারে আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল– জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, ও মৃত আগ্নেয়গিরি।
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি (Active Volcano) : পৃথিবীপৃষ্ঠের যেসব আগ্নেয়গিরিতে উৎপত্তির সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত অগ্ন্যুৎপাত হয়ে চলেছে, অথবা যে-কোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাকে জীবন্ত বা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে। এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আবার দুই প্রকার, সেগুলি হল –
(i) সবিরাম আগ্নেয়গিরি (Intermittent Volcano) : যেসব জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে কিছুদিনের ব্যবধানে বা কয়েক বছর পরে পরে আগ্নেয় পদার্থ নির্গত হয়, সেগুলিকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ : ইটালির স্ট্রম্বলি, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া ।
(ii) অবিরাম আগ্নেয়গিরি (Incessant Volcano) : পৃথিবীর যেসব আগ্নেয়গিরি থেকে প্রতিনিয়ত বা অনবরত অগ্ন্যুৎপাত হতে থাকে, সেগুলিকে অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে। উদাহরণ : ইটালির ভিসুভিয়াস, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) : পৃথিবীপৃষ্ঠের যেসব আগ্নেয়গিরি অতীতে জীবন্ত ছিল, বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত আপাতত বন্ধ আছে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে যে-কোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাকে সুপ্ত বা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ : জাপানের ফুজিয়ামা বা মাউন্ট ফুজি মেক্সিকোর পারিকুতিন।
মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct Volcano) : যেসব আগ্নেয়গিরিতে উৎপত্তির সময় অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে, বর্তমানে আগ্নেয় পদার্থ নির্গত হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তাকে মৃত বা নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ : মায়ানমারের মাউন্ট পোপো।
অথবা, জৈব যান্ত্রিক ও জৈব রাসায়নিক আবহবিকারের গঠন প্ৰক্ৰিয়া : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 4. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(iii) দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের পার্থক্য : পৃষ্ঠার AC Institution, Malda-এর 4. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, পার্বত্য অঞ্চল প্রায়শই ভূমিধসের কবলে পড়ে কারণ : ভূমিধস ( Landslide ) : পাহাড় বা পর্বতের ঢাল বরাবর পাথরের চাঁই, শিলাচূর্ণ, মৃত্তিকা ও অন্যান্য আলগা পদার্থের মাধ্যাকর্ষণের টানে হঠাৎ নেমে আসা বা খসে পড়াকে ধস বলে।
পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিধসের কারণগুলি হল
প্রাকৃতিক কারণ : 
অধিক বৃষ্টিপাত : পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢালের মৃত্তিকা বা শিলা আলগা হয়ে নীচের দিকে নেমে আসে। 
ভূমির ঢাল বৃদ্ধি : পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বৃদ্ধি পেলে ধসের সৃষ্টি হয়। 
ভূমিকম্পের প্রভাব : ভূমিকম্পের ফলে শিলাতে ফাটল ধরে ও শিলা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীকালে পার্বত্য ঢাল বরাবর ধসে পড়ে।
মনুষ্যসৃষ্ট কারণ : 
অরণ্য ধ্বংস : পার্বত্য অঞ্চলে ও উপকূল অঞ্চলে যথেচ্ছভাবে গাছ কাটার ফলে মাটির বাঁধন আলগা হয় ও ধসের প্রবণতা বাড়ে। 
অবৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ : পাহাড়ি অঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক প্রথায় ঝুম চাষ, ধাপ চাষ প্রভৃতির ফলে ধসের সৃষ্টি হয়। 
নগরায়ণ : পাহাড়ি অঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক প্রথায় রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, জলাধার নির্মাণ করার ফলে ধসের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। উপরের আলোচিত এই কারণগুলির জন্য পার্বত্য অঞ্চল প্রায়শই ভূমিধসের কবলে পড়ে।
(iv) কার্বনের পরিমাণের ভিত্তিতে কয়লার শ্রেণিবিভাগ : সৃষ্টির ভূতাত্ত্বিক যুগ অনুসারে কয়লা দুপ্রকার – (a) গন্ডোয়ানা যুগের প্রধানত দুটি ভিত্তিতে কয়লার শ্রেণিবিভাগ করা হয়। যথা – কয়লা কয়লা এবং (b) টার্শিয়ারি যুগের কয়লা। উপাদানের (কার্বন, উদ্বায়ী পদার্থ) তারতম্য অনুসারে কয়লা প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথা— 

বিভাগ – ঙ

5 (A) (1) কর্কট এবং মকরসংক্রান্তিতে পৃথিবীতে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের অবস্থা চিত্রসহ বর্ণনা : কর্কটসংক্রান্তি : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. (A) (0)-এর 21 জুন-এর অবস্থা পয়েন্টটি দ্যাখো।
মকরসংক্রান্তি : 22 ডিসেম্বর তারিখে পৃথিবীর এই অবস্থানে সূর্য মকরক্রান্তিরেখার ( 235 ) উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। 
বৈশিষ্ট্য এই তারিখে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে পড়ে, মকরক্রান্তিরেখা সংলগ্ন অঞ্চল সর্বাধিক সূর্যালোক পায় বলে এই দিনটি মকরসংক্রান্তি নামে পরিচিত, দক্ষিণ গোলার্ধের মেরু অঞ্চল 24 ঘণ্টাই আলোকিত এবং উত্তর গোলার্ধের মেরু অঞ্চল 24 ঘণ্টাই অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে, এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধ সবচেয়ে বেশি উয় এবং উত্তর গোলার্ধ অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ হয়।
প্রভাব পৃথিবীর এই অবস্থানে 22 ডিসেম্বরের আগের 45 দিন আগে থেকে পরের 45 দিন পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে শীতকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।
(ii) চিত্রসহ স্তূপ পর্বত এবং প্রস্ত উপত্যকার উৎপত্তি ব্যাখ্যা :
স্তূপ পর্বতের উৎপত্তি : Bankura Christian Collegiate School এর 5. (A) (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
গ্রস্ত উপত্যকা : Balurghat High School-এর 3. (ii)-এর অথবা-র উত্তরটি দ্যাখো। 
(iv) তাপের পার্থক্যে সংঘটিত যান্ত্রিক আবহবিকারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
প্রস্তর চাঁই খণ্ডীকরণ ও শঙ্কমোচন : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. (A) (iv)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
ক্ষুদ্রকণা বিসরণ : Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (A) (iv)-এর ‘ক্ষুদ্রকণা বিসরণত পয়েন্টটি দ্যাখো। 
গণ্ডশিলা বিদারণ ও ডার্ট ফ্র্যাকিং : Bolpur High School-এর 5. (A) (ii)-এর ‘গণ্ডশিলা বিদারণ ও ডার্ট ফ্র্যাকিং’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
(B) (i) পর্যটন শিল্প : সংজ্ঞা : Chakdah Purbachal Vidyapith (HS)-এর 5. (B) (ii)-এর ‘পর্যটন শিল্প’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রের নাম হল দার্জিলিং, সুন্দরবন।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের উন্নতির কারণ : AC Institution, Malda-এর 4. (iv)-এর অথবার উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) চা চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ : AC Institution, Malda-এর 5. (B) (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রক : পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু বেশ কতকগুলি বিষয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলি হল –
অক্ষাংশ অক্ষাংশের তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা যায়। কর্কটক্রান্তিরেখা ( 23° উত্তর) পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়া জেলার উপর দিয়ে প্রসারিত। তাই এই রাজ্যের জলবায়ু উষ্ণ প্রকৃতির।
হিমালয় পর্বত : এ রাজ্যের উত্তরে হিমালয় পর্বত অবস্থিত। আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এই পর্বতে বাধা পেয়ে এ রাজ্যে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। আবার সাইবেরিয়ার অতি শীতল বায়ু এই পর্বতের দ্বারা বাধা পায় বলে আমাদের রাজ্যে শীতের তীব্রতাও কম ।
ভূমির উচ্চতা : ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তা কমতে থাকে। তাই অধিক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় দার্জিলিং-এর জলবায়ু শীতল প্রকৃতির, আবার কম উচ্চতার জন্য কলকাতার জলবায়ু উম্ন প্রকৃতির।
বায়ুপ্রবাহ : বায়ুপ্রবাহ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন— (i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হয়। (ii) শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঠান্ডা পড়ে। (iii) গ্রীষ্মকালে স্থানীয় বায়ু ‘লু’-এর প্রভাবে এ রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলে। আবার কালবৈশাখীর প্রভাবে মাঝে মাঝেই ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি হয়। (iv) শীতকালে মাঝে মাঝে পশ্চিম দিক থেকে আগত বায়ুর (পশ্চিমি ঝঞ্ঝা) প্রভাবে বৃষ্টি হয় ।
সমুদ্রের প্রভাব : জলভাগের তাপগ্রহণ ও বিকিরণ ক্ষমতা কম হওয়ায় সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন হয়। আবার সমুদ্র থেকে দূরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয়। যেমন— বঙ্গোপসাগরের কাছে অবস্থানের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জলবায়ু সমভাবাপন্ন প্রকৃতির। অন্যদিকে সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থানের জন্য পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার জলবায়ু চরমভাবাপন্ন।
সমুদ্র উপকূলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় (আয়লা), শরৎকালের ‘আশ্বিনের ঝড়’ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে।
মৃত্তিকা : মাটির গ্রথন ও গঠনের ওপর তাপগ্রহণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন— পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের মাটি দ্রুত গরম ও ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু গাঙ্গেয় সমভূমির নবীন পলিমাটি ধীরে ধীরে তাপগ্রহণ করে। তাই জলবায়ুরও তারতম্য দেখা যায়।
(iv) পশ্চিমবঙ্গের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ ও যে-কোনো দুপ্রকার মৃত্তিকার বিবরণ : পশ্চিমবঙ্গের মৃত্তিকাগুলিকে মূলত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— পলি মৃত্তিকা, ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা, পডজল মৃত্তিকা, ধূসর বা বাদামি রঙের মৃত্তিকা, উপকূলের লবণাক্ত মৃত্তিকা।
A) পডজল মৃত্তিকা : পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে প্রধানত যে মাটি দেখা যায়, তার নাম পজল মাটি।
অবস্থান : দার্জিলিং হিমালয়, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলার পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ স্থানে এই মাটি দেখা যায়।
উৎপত্তির কারণ : পার্বত্য অরণ্যের গাছ থেকে পড়া পাতা, ডাল ইত্যাদি পচে মাটির সঙ্গে মিশে এই মৃত্তিকা সৃষ্টি করে।
বৈশিষ্ট্য:
স্তরের প্রকৃতি : এই মাটির স্তর খুব পাতলা হয় এবং নুড়ি জাতীয় পদার্থে পূর্ণ হয়।
রং : পল কথাটির অর্থ ‘ছাই রঙের মৃত্তিকা’। এই মাটির বর্ণ হালকা ধূসর, কালো বা বাদামি হয়। মাটির প্রকৃতি আম্লিক।
জৈব পদার্থ : অরণ্যের ডালপালা মাটিতে পড়ে পচে মিশে গিয়ে এই মৃত্তিকাকে জৈব পদার্থে সমৃদ্ধ করেছে। • উদ্ভিদ : পাইন, ফার ইত্যাদি পার্বত্য উদ্ভিদ জন্মায়।
উৎপাদিত ফসল : চা, সিঙ্কোনা, কমলালেবু, আপেল । 
B) ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা : পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মাটির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।
অবস্থান : পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই মৃত্তিকা দেখা যায় ।
উৎপত্তির কারণ : অপেক্ষাকৃত বড়ো বড়ো নুড়ি, কাঁকড় ইত্যাদি জমে এই মাটি তৈরি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
স্তরের প্রকৃতি : এই মাটি ঝুরঝুরে এবং কাঁকরে পরিপূর্ণ। এই মাটির সচ্ছিদ্রতা বেশি ও জলধারণ ক্ষমতা কম।
রং : ল্যাটার শব্দ থেকে ল্যাটেরাইট কথাটি এসেছে। এর অর্থ ইট। লোহার পরিমাণ বেশি থাকায় এই মাটির রং ইটের মতো লাল।
উদ্ভিদ : কুল, পলাশ, মহুয়া ইত্যাদি পর্ণমোচী উদ্ভিদ। 
উৎপাদিত ফসল : এই মাটিতে জলসেচের মাধ্যমে ধান, ভুট্টা, আখ ও বিভিন্ন শাকসবজি উৎপন্ন হয়।

Leave a Comment