রৈখিক সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয়ের কী কী পদ্ধতি রয়েছে

রৈখিক সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয়ের কী কী পদ্ধতি রয়েছে

রৈখিক সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা-  (1) প্রোডাক্ট মোমেন্ট পদ্ধতি (পিয়ারসন) (2) র‍্যাংক পার্থক্য পদ্ধতি (স্পিয়ারম্যান)।

(1) পিয়ারসনের প্রোডাক্ট মোমেন্ট পদ্ধতি: পিয়ারসন-এর প্রোডাক্ট মোমেন্ট গুণাঙ্ক হল এমন একটি অনুপাত যা একটি চলের পরিবর্তনের সঙ্গে অপর চলের যে পরিবর্তন হচ্ছে তার সীমা প্রকাশ করে। দুটি চলরাশি x ও y হলে এই সহগাঙ্ককে প্রকাশ করা হয় rxy।

(2) স্পিয়ারম্যানের র‍্যাংক পার্থক্য পদ্ধতি: যেসব চলরাশির মানসমূহকে সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না, যেমন-বুদ্ধি, শ্রেণিতে অবস্থান, সৌন্দর্য ইত্যাদি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসমূহের ক্ষেত্রে দুটি চলের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রস্তুতিকে 1, 2, 3 ইত্যাদি র‍্যাংক বা অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যক্তিসমূহের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের সাপেক্ষে পর্যায়ক্রম প্রকাশ করা হয়, তখন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এইভাবে বৈশিষ্ট্যের ক্রমানুযায়ী বিন্যাসকরণকে ranking বলে। এইভাবে দুটি চলের র‍্যাংকিং স্থির করার পর র‍্যাংক পার্থক্য নির্ণয় করা হয়। এই র‍্যাংক পার্থক্যকে কাজে লাগিয়ে একটি নির্দিষ্ট সূত্রের সাহায্যে দুটি চলের মধ্যে সহগতির সহগাঙ্ক নির্ণয় করা হয়। এই পদ্ধতিতে সহগতির সহগাঙ্ক p (রো) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। p-এর মান-1 থেকে +1-এর মধ্যে থাকে।

Leave a Comment