“সকালবেলাই তো আবার পেটে আগুন লেগে গেছে”-বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে? এমন উক্তির কারণ কী বলে মনে হয়

“সকালবেলাই তো আবার পেটে আগুন লেগে গেছে”-বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে? এমন উক্তির কারণ কী বলে মনে হয়?

"সকালবেলাই তো আবার পেটে আগুন লেগে গেছে”-বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে? এমন উক্তির কারণ কী বলে মনে হয়
“সকালবেলাই তো আবার পেটে আগুন লেগে গেছে”-বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে? এমন উক্তির কারণ কী বলে মনে হয়

বক্তা

বাংলার প্রথম বিপ্লবী লোকায়ত নট-নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের লেখা ‘আগুন’ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে, উক্ত উক্তিটির বক্তা হলেন কারখানার শ্রমিকদের প্রতিনিধি সতীশ।

প্রসঙ্গ

কারখানার শ্রমিক সতীশ, তার প্রতিবেশী বন্ধু জুড়োনের সঙ্গে আকালের পরিপ্রেক্ষিতে, তার সংসারের দীনতা-দৈন্যতার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে তার প্রবল ক্ষুধার্ত হওয়ার কথা।

উক্তির কারণ

দুর্ভিক্ষ-মহামারি-মড়কের দুরন্ত দুরভিসন্ধিতে বাংলার জনজীবনে নেমে এসেছিল ঘোর অমানিশা। চারিদিকে বুভুক্ষু মানুষের ভুখা মিছিলে, হা-অন্ন, হা-অন্ন রবে সকাতর ব্যাকুলতা। এরই মাঝে কালোবাজারি, মুনাফাবাজ-মজুতদারের আকাশচুম্বী অর্থলিপ্সা সংকটকে আরও ভয়াবহ ও নারকীয় করে তুলেছিল।

আর জীবনযন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত, অনাহারক্লিষ্ট সাধারণ মানুষ রেশন ব্যবস্থায় চাল নেওয়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিল। কখনও খালি হাতে ফিরেও আসতে হয়েছিল, যেমনটা ক্ষিরি ও ফুলকির ক্ষেত্রে হয়েছে। সতীশের খুব সকালবেলাতে কারখানার কাজে যাওয়ার আগ্রহ দেখা যায়। কিন্তু-“খিদে পেটে লিয়ে কি কাজে যেতে মন লাগে।”

একদিকে শূন্য ভাঁড়ার (চাল বাড়ন্ত) অন্যদিকে সকালবেলায় কাজে যেতে উৎসুক সতীশের পেটে প্রবল খিদের জ্বালায় অস্থিরতা, মন্বন্তরপীড়িত বাংলার অনাহারী, নিরন্ন মানুষের অসহায়তাকে প্রকট করে তুলেছিল।

আরও পড়ুন – নদীতীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বর্ণনা করো

Leave a Comment