হলদিয়া বন্দরের গুরুত্ব আলোচনা করো। |
কলকাতার পরিপূরক বন্দর: হুগলি নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় যে-সব বড়ো বড়ো জাহাজ কলকাতা বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না তারা হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে। সেখান থেকে পণ্যদ্রব্য ছোটো ছোটো জাহাজে বা সড়কপথে কলকাতা বন্দরে পাঠানো হয়।
পশ্চাদভূমির উন্নতি: পূর্ব ভারতের বিশাল পশ্চাদ্ভূমির উন্নতি অনেকাংশে কলকাতা বন্দরের উপর নির্ভরশীল। পশ্চাদ্ভূমিতে প্রাপ্ত কৃষিজ ফসল (ধান, পাট, চা, তৈলবীজ প্রভৃতি), খনিজ সম্পদ (কয়লা, আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি) প্রভৃতি বিদেশে হলদিয়া বন্দর মারফত পাঠানো হয়। আবার পশ্চাদ্ভূমিতে গড়ে ওঠা চা, পাট, মোটরগাড়ি নির্মাণ, রাসায়নিক দ্রব্য, ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল, অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এই বন্দর মারফত আমদানি করা হয়।
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে উন্নতি : হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য বন্দরের উন্নত যোগাযোগ থাকায় অভ্যন্তরীণ বা উপকূলীয় বাণিজ্যের প্রভূত উন্নতি ঘটেছে।
বৈদেশিক বাণিজ্যে উন্নতি : হলদিয়া ভারতের একটি প্রথম শ্রেণির বন্দর এবং পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান বন্দর হওয়ায় এই বন্দরের মাধ্যমে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বাণিজ্যিক যোগাযোগ উন্নত হয়েছে।