নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার Class 11

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।

Table of Contents

নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার

নিরপেক্ষ ন্যায় - মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার

ঘোড়া চতুষ্পদ, গাধাও চতুষ্পদ। সুতরাং সব ঘোড়াই গাধা।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল গাধা হয় চতুষ্পদ প্রাণী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ প্রাণী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল ঘোড়া হয় গাধা (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ এবং অব্যাপ্য হেতুদোষে দুষ্ট। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘চতুষ্পদ প্রাণী’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সে নিশ্চয়ই সফল কারণ কেবলমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই সফল।

যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে –

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় পরিশ্রমী ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় সফল ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী ব্যক্তি’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সকল পুরুষ অবশ্যই নারী, কারণ নারীর মতো পুরুষরাও মরণশীল।

যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্য উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে –

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল নারী হয় মরণশীল (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পুরুষ হয় মরণশীল (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পুরুষ হয় নারী (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘মরণশীল’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনের বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। আবার, অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে হেতুপদ থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

জ্ঞানী ব্যক্তি কদাচিৎ ধনী হয়, সে জ্ঞানী, সুতরাং সে ধনী হতে পারে না।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি নয় ধনী ব্যক্তি (O) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় জ্ঞানী ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

নয় ধনী ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য O বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ O বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য নয়। আবার অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং OAE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

দেবতারা সকলেই সৎ। মীরাবাঈ সৎ। সুতরাং, মিরাবাঈ দেবতা।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল দেবতা হল সৎ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

মীরাবাঈ হন সৎ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

মীরাবাঈ হন দেবতা (A) – সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় সংস্থান

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘সৎ’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

তিনি নিশ্চয়ই ভারতীয়, কেন-না সব ভারতীয় এরূপ মত পোষণ করেন।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল ভারতীয় হন এরূপ মতপোষণকারী ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

তিনি হন এরূপ মতপোষণকারী ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

তিনি হন ভারতীয় (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এরূপ মত পোষণকারী ব্যক্তি’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যেই A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয়কে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কবিরা ভাবপ্রবণ। নীলিমা পাল নিশ্চয়ই কবি, কারণ সে ভাবপ্রবণ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল কবি হন ভাবপ্রবণ ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

নীলিমা পাল হন ভাবপ্রবণ ব্যক্তি (A) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

নীলিমা পাল হন হন কবি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘ভাবপ্রবণ ব্যক্তি’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কতিপয় মানুষ রাজা। সকল ভিক্ষুক মানুষ। সুতরাং, সকল ভিক্ষুক রাজা।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো কোনো মানুষ হয় রাজা (I) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।   

সকল ভিক্ষুক হয় মানুষ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল ভিক্ষুক হয় রাজা (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে । বচনে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ । বচনে কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। আবার হেতুপদ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং IAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

যা কিছু চকচক করে তাই সোনা নয়। হীরক চকচক করে। কাজেই হীরক সোনা নয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো কোনো চকচকে বস্তু হয় সোনা (O) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

হীরক হয় চকচকে বস্তু (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

হীরক নয় সোনা। (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘চকচকে বস্তু’ প্রধান আশ্রয়বাক্য O বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, O বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য নয়। আবার, অপ্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে হেতুপদ থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং OAE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

জাতীয়তাবাদীরাই একমাত্র সুনাগরিক এবং একমাত্র সুনাগরিকরাই সৈনিক। কাজেই কেবল জাতীয়তাবাদীরাই সৈনিক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল জাতীয়তাবাদী হয় সুনাগরিক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল সৈনিক হয় সুনাগরিক (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল সৈনিক হয় জাতীয়তাবাদী (A) – সিদ্ধান্ত। 

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘সুনাগরিক’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

বিজ্ঞানীরা বুদ্ধিমান এবং কোনো কোনো বিজ্ঞানী পদার্থবিদ। সুতরাং সব পদার্থবিদই বুদ্ধিমান।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল বিজ্ঞানী হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো বিজ্ঞানী হয় পদার্থবিদ (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পদার্থবিদ হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

তৃতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘পদার্থবিদ’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে । বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, । বচন কোনো পদকেই ব্যাপ্য করে না। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ A বচন উদ্দেশ্য পদকে ব্যাপ্য করে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AIA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কেবলমাত্র সত্যবাদী ব্যক্তিরাই সৎ এবং সকল সত্যবাদী ব্যক্তি হন শ্রদ্ধেয়। সুতরাং, সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হন সৎ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সৎ ব্যক্তি হয় সত্যবাদী ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল সত্যবাদী ব্যক্তি হয় শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হয় সৎ ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত। 

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

চতুর্থ সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে-যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ এই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিকে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটিতে চতুর্থ সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সোনা মাত্রই চকচকে, কিছু কিছু ধাতু হয় সোনা, সুতরাং সব ধাতুই চকচকে।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সোনা হয় চকচকে (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

কোনো কোনো ধাতু হয় সোনা (I) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল ধাতু হয় চকচকে (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘ধাতু’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, । বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচন উদ্দেশ্যকে করে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AIA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কোনো ডানাযুক্ত প্রাণী ঘোড়া নয় এবং একমাত্র চতুষ্পদ প্রাণীই ঘোড়া। তাই বলা যায়, কোনো চতুষ্পদ প্রাণীই ডানাযুক্ত নয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো ডানাযুক্ত প্রাণী নয় ঘোড়া (E) প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল ঘোড়া হয় চতুষ্পদ প্রাণী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো চতুষ্পদ প্রাণী নয় ডানাযুক্ত প্রাণী (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

চতুর্থ সংস্থান

বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে— যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘চতুষ্পদ প্রাণী’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি চতুর্থ সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

মানুষেরা বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব এবং তারা সকলেই দ্বিপদবিশিষ্ট। কাজেই সকল দ্বিপদবিশিষ্ট জীবই বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল মানুষ হয় দ্বিপদবিশিষ্ট জীব (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল দ্বিপদবিশিষ্ট জীব হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন (A) – সিদ্ধান্ত।

তৃতীয় সংস্থান

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘দ্বিপদবিশিষ্ট জীব’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ, ওই পদ সিদ্ধান্তে এ বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি। 

সে নিশ্চয়ই কবি, কারণ সে ভাবুক। সুতরাং সব কবিই ভাবুক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সে হয় ভাবুক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় কবি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল কবি হয় ভাবুক (A) – সিদ্ধান্ত।

তৃতীয় সংস্থান

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘কবি’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, A বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সকল পুস্তকই ভ্রমাধীন এবং সকল পুস্তকই মনুষ্যক্ত। সুতরাং, সকল মনুষ্যকৃত পদার্থই ভ্রমাধীন।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল পুস্তক হয় ভ্রমাধীন (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পুস্তক হয় মনুষ্যকৃত পদার্থ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল মনুষ্যকৃত পদার্থ হয় ভ্রমাধীন (A) – সিদ্ধান্ত।

তৃতীয় সংস্থান

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘মনুষ্যকৃত পদার্থ’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, A বচন উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কেবলমাত্র উদার ব্যক্তিরাই বুদ্ধিমান, কারণ কেবলমাত্র দার্শনিকরাই উদার এবং কেবলমাত্র বুদ্ধিমানরাই দার্শনিক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল উদার ব্যক্তি হন দার্শনিক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল দার্শনিক হন বুদ্ধিমান (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।  

সকল বুদ্ধিমান হন উদার ব্যক্তি (A)- সিদ্ধান্ত।

চতুর্থ সংস্থান

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘বুদ্ধিমান’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচন উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি চতুর্থ সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সব প্রাণী ভুল করে, কেন-না মানুষ ভুল করে এবং মানুষ হল প্রাণী।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মানুষ হয় এমন যারা ভুল করে (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল মানুষ হয় প্রাণী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল প্রাণী হয় এমন যারা ভুল করে (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ : অবৈধ পক্ষদোষ।

তৃতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘প্রাণী’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য এ বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

ডালে ফুল থাকে, আবার ডালে পাখি থাকে। তাই পাখি ফুলে থাকে।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

ডাল হয় ফুল থাকার ক্ষেত্র (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

ডাল হয় পাখি থাকার ক্ষেত্র (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পাখি থাকার ক্ষেত্র হয় ফুল থাকার ক্ষেত্র (A) – সিদ্ধান্ত। 

দোষ: অবৈধ পক্ষদোষ।

তৃতীয় সংস্থানবিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে। কিন্তু এখানে পক্ষপদ ‘পাখি থাকার ক্ষেত্র’ অপ্রধান আশ্রবাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ A বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ পক্ষদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

আরও পড়ুন – সরকারের বিভিন্ন রূপ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment