বিকাশের স্তরসমূহ প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Education

বিকাশের স্তরসমূহ প্রশ্ন ও উত্তর

বিকাশের স্তরসমূহ প্রশ্ন ও উত্তর
বিকাশের স্তরসমূহ প্রশ্ন ও উত্তর

জীবনবিকাশের স্তর বলতে কী বোঝায়? জীবনবিকাশের বিভিন্ন স্তরগুলি উল্লেখ করো।

জীবনবিকাশের স্তর বলতে মানুষের জীবনের সামগ্রিক বিকাশ প্রক্রিয়ার স্বল্প পরিসর অংশকে বোঝায়, যার মধ্যে তার বিকাশশীল বৈশিষ্ট্যগুলিকে সহজভাবে চিহ্নিত করা যায়।

জীবনবিকাশের স্তরগুলি হল- শৈশব (0-6 বছর), বাল্যকাল- প্রারম্ভিক বাল্য (6-8 বছর), প্রান্তীয় বাল্য (8-11বছর), ও কৈশোর (11-18 বছর), 4 যৌবনাগম বা প্রাপ্তবয়স্ক।

মনোবিদগণ জীবনবিকাশের স্তরকে কোন্ কোন্ দিক থেকে ভাগ করেছেন? শিক্ষার উদ্দেশ্য বা পাঠক্রম নির্ধারণের আগে জীবনবিকাশের ধারাটি বিবেচনা করা হয় কেন?

মনোবিদগণ জীবনবিকাশের স্তরকে বয়স ও শিক্ষাস্তরের দিক থেকে ভাগ করেছেন।

জীবনবিকাশের স্তরের সঙ্গে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও পাঠক্রম ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে ভিত্তি করে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও পাঠক্রম নির্ধারিত হয়। এই চাহিদা জীবনবিকাশের স্তরের উপর নির্ভরশীল।

রুশোর মতে, জীবনবিকাশের স্তরগুলি কী কী?

রুশোর মতে, জীবনবিকাশের স্তরগুলি হল—

[1] শৈশবকাল (জন্ম থেকে 5 বছর বয়স পর্যন্ত)

[2] বাল্যকাল (6 থেকে 12 বছর বয়স পর্যন্ত)

[3] কৈশোরকাল (13 থেকে 15 বছর বয়স পর্যন্ত)

[4] যৌবনকাল (15 থেকে 20 বছর বয়স পর্যন্ত)।

রুশোর মতে, শৈশবকাল ও বাল্যকাল বলতে কী বলা হয়?

মনোবিদ রুশোর মতে, মানবজীবনের জন্মের পর থেকে 5 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে শৈশবকাল বলা হয়।

মনোবিদ রুশোর মতে, মানবজীবনের 5 বছর থেকে 10 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে বাল্যকাল বা পৌগণ্ডাবস্থা বলা হয়।

রুশোর মতে, কোন্ সময়কে কৈশোের বা বয়ঃসন্ধিকাল এবং যৌবনকাল বলা হয়?

মনোবিদ রুশোর মতে, মানবজীবনের 10 বছর বয়স থেকে 15 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়।

আবার, মনোবিদ রুশোর মতে, মানবজীবনের 15 বছর বয়স থেকে 20 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে যৌবনকাল বলা হয়।

মনোবিদ পিকুনাস মানবজীবনের বিকাশকে ক-টি ভাগে ভাগ করেছেন ও কী কী?

মনোবিদ জে পিকুনাস মানবজীবনের বিকাশকে দশটি স্তরে ভাগ করেছেন- প্রাক্-ভূমিষ্ঠ স্তর (Pre-natal Stage), সদ্যোজাত স্তর (Neonatal Stage), প্রথম শৈশব স্তর (Early Infancy), শৈশবের শেষ স্তর বা প্রান্তীয় স্তর (Late Infancy), প্রাথমিক বাল্য স্তর (Early childhood), মাধ্যমিক বাল্য স্তর (মিডল Childhood), প্রান্তীয় বাল্য স্তর (Late Childhood), যৌবনাগমের স্তর (Adolescence), প্রাপ্তবয়স্কের স্তর (Adulthood), বার্ধক্য (Old age) I

মনোবিদ পিকুনাসের মতে, প্রাক-ভূমিষ্ঠ স্তর বা প্রাক্-জন্মস্তর এবং সদ্যোজাত স্তর কী?

মনোবিদ পিকুনাসের মতে, গর্ভধারণের প্রথম অবস্থা থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে বলা হয় প্রাক্-ভূমিষ্ঠ স্তর।

মনোবিদ পিকুনাস জন্মের পর থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে সদ্যোজাত স্তর বলেছেন।

মনোবিদ পিকুনাসের মতে, মানবজীবন বিকাশের ক্ষেত্রে প্রথম শৈশব স্তর ও শৈশবের শেষ স্তর বলতে কী বোঝো?

মনোবিদ পিকুনাস একমাস বয়স থেকে দেড় বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে প্রথম শৈশব স্তর বলেছেন।

আবার দেড় বছর বয়স থেকে আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে শৈশবের শেষ স্তর বলেছেন।

মনোবিদ পিকুনাস বাল্যকালকে কয়টি স্তরে ভাগ করেছেন ও কী কী?

মনোবিদ পিকুনাস বাল্যকালকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন। যথা-

  • প্রারম্ভিক বাল্যকাল (Early Childhood)- 2½ বছর বয়স থেকে 5 বছর বয়স পর্যন্ত।
  • মাধ্যমিক বাল্যকাল (Middle Childhood)- 5 বছর বয়স থেকে 9 বছর বয়স পর্যন্ত। 
  • প্রান্তীয় বাল্যকাল (Late Childhood)- 9 বছর বয়স থেকে 11 বা 12 বছর বয়স পর্যন্ত।

মনোবিদ পিকুনাসের মত অনুসারে, প্রাথমিক বাল্য স্তর ও মাধ্যমিক বাল্য স্তরের সময়সীমা কত? কোন্ সময়কালকে মধ্য বাল্যকাল বলা হয়?মনোবিদ পিকুনাস বলেছেন আড়াই বছর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রাথমিক বাল্য স্তরের সীমা। আর পাঁচ বছর থেকে নয় বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে মাধ্যমিক বাল্য স্তরের সময়সীমা বলেছেন।

মনোবিদ পিকুনাসের মতে, পাঁচ বছর বয়স থেকে নয় বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে মধ্য বাল্যকাল বলা হয়।

মনোবিদ পিকুনাস প্রান্তীয় বাল্য স্তর এবং যৌবনাগমের স্তর বলতে কোন্ সময়কে বুঝিয়েছেন?

মনোবিদ পিকুনাস নয় বছর থেকে বারো বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে প্রান্তীয় বাল্য স্তর বলেছেন। আর বারো থেকে একুশ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে যৌবনাগমের স্তর বলেছেন।

মনোবিদ পিকুনাস কোন্ বয়সকে প্রাপ্তবয়স্ক স্তর ও কোন্ বয়সকে বার্ধক্যের স্তর বলেছেন?

মনোবিদ পিকুনাস একুশ বছর বয়স থেকে সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে প্রাপ্তবয়স্কের স্তর বলেছেন।

আর সত্তর বছরের পরের সময়কে বার্ধক্য বলেছেন।

আর্নেস্ট জোনসের মতে, জীবনবিকাশের স্তরগুলি লেখো।

মনোবিদ আর্নেস্ট জোন্স মানবজীবন বিকাশকে 4টি স্তরে ভাগ করেছিলেন। যথা-

  • শৈশবকাল (Infancy)- জন্ম থেকে 5 বছর বয়স
  • বাল্যকাল (Childhood) – 5 বছর বয়স থেকে 12 বছর বয়স পর্যন্ত।
  • বয়ঃসন্ধিকাল (Adolescence) – 12 বছর বয়স থেকে 18 বছর বয়স।
  • প্রাপ্তবয়স্ক কাল (Adulthood)- 18 বছরের ঊর্ধ্বে।

মনোবিদ জোন্স-এর মতে, শৈশবকাল বলতে কী বোঝো? ড. আর্নেস্ট জোনসের স্তরবিন্যাস অনুযায়ী বাল্য এবং বয়ঃসন্ধিকালের সময়সীমা নির্ধারণ করো।

মনোবিদ আর্নেস্ট জোন্স জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে শৈশব বলেছেন।

ড. আর্নেস্ট জোনসের স্তরবিন্যাস অনুযায়ী, 

  • বাল্যকাল- 5 বছর বয়স থেকে 12 বছর বয়স পর্যন্ত।
  • বয়ঃসন্ধিকাল- 12 বছর বয়স থেকে 18 বছর বয়স পর্যন্ত।

মনোবিদ জোন্স-এর মতে, কোন্ স্তরের পর ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ কাল আসে? তাঁর মতে, প্রাপ্তবয়স্ক স্তরের সময়সীমা লেখো।

মনোবিদ জোন্স-এর মতে, বয়ঃসন্ধিকাল বা যৌবনাগম স্তরের পরে আসে ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ স্তর।

মনোবিদ জোন্স-এর মতে, আঠারো বছর বয়সের পরবর্তী সময়কাল হল প্রাপ্তবয়স্ক স্তরের সময়সীমা। 

হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী মানবজীবন বিকাশকে ক-টি স্তরে ভাগ করা হয় ও কী কী? এরিকসনের মতে জীবনবিকাশের স্তরগুলি কী কী?

হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী মানবজীবন বিকাশের স্তরকে চারটি স্তরে ভাগ করা যায়। এগুলি হল- শৈশব বা কুমারাবস্থা, বাল্য বা পৌগণ্ডাবস্থা, কৈশোর বা কিশোরাবস্থা, যৌবনাগম।

এরিকসনের মতে, জীবনবিকাশের আটটি স্তর রয়েছে। যথা-

1 প্রথম স্তর: জন্ম থেকে 1 বছর বয়স পর্যন্ত

2 দ্বিতীয় স্তর: 1 থেকে 3 বছর বয়স পর্যন্ত

3 তৃতীয় স্তর: 3 থেকে 5 বছর বয়স পর্যন্ত

4 চতুর্থন্তর: 5 থেকে 11 বছর বয়স পর্যন্ত

5 পঞ্চম স্তর: 11 থেকে 18 বছর বয়স পর্যন্ত

6 ষষ্ঠ স্তর: যৌবনাগম স্তর

7 সপ্তম স্তর: প্রাপ্তবয়স্ক স্তর

৪ অষ্টম স্তর: পরিণত স্তর

Ryburn জীবনবিকাশের যে স্তরগুলি উল্লেখ করেছেন, সেগুলি উল্লেখ করো।

Ryburn মানবজীবন বিকাশকে ছয়টি স্তর বা পর্যায়ে ভাগ করেছেন। সেগুলি হল- শৈশবকাল (Infancy), প্রাক্-বাল্যকাল (Early Childhood), মধ্যবর্তী বাল্যকাল (Middle Childhood), পরবর্তী বাল্যকাল (Late Childhood), প্রাক্-কৈশোর বয়ঃসন্ধিকাল (Early Adolescence) ও পরবর্তী কৈশোর বয়ঃসন্ধিকাল (Later Adolescence)।

শারীরিক বিকাশ বা দৈহিক বিকাশ এবং জৈবিক বিকাশ বলতে কী বোঝো?

দেহের উচ্চতা, ওজন, আয়তন, পেশি, অস্থি, দেহের অভ্যন্তরীণ বিবিধ কোশ, হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেড়ে ওঠার পাশাপাশি তার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়াকেই শারীরিক বিকাশ বলে।

মনোবিদ পিয়াজের মতে, জন্মের পর থেকেই শিশুর জন্মগতভাবে প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতার অধিকারী হয়। যেমন- তাকানো, কোনো কিছু ধরার চেষ্টা, দেহসঞ্চালন এগুলিকেই জৈবিক প্রতিক্রিয়া বলে। এই ধরনের প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতার ক্রমোন্নতিকেই জৈবিক বিকাশ বলে।

পিয়াজের মতে, জ্ঞানমূলক বিকাশ কী?

পিয়াজের মতে, জ্ঞানমূলক, মানুষের অভ্যন্তরীণ ধারণা গঠনের ক্ষমতা। এটি আমাদের অনুভূতিকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। পিয়াজে এগুলিকে জ্ঞানের মূল উপাদান বলেছেন। তাঁর মতে, ব্যক্তির নিজস্ব সংগঠন ও পরিবেশের উদ্দীপনার মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে ব্যক্তিজীবনের জ্ঞানমূলক বিকাশ ঘটে থাকে।

প্রক্ষোভ কাকে বলে? প্রাক্ষোভিক বিকাশ বলতে কী বোঝো?

প্রক্ষোভ কথাটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Emotion’। এটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Emover’ থেকে, যার অর্থ হল প্রক্ষুব্ধ হওয়া বা উত্তেজিত হওয়া, অর্থাৎ প্রক্ষোভ হল এমন একটি অবস্থা যা ব্যক্তিকে প্রক্ষুব্ধ করে বা উত্তেজিত করে।

প্রাক্ষোভিক বিকাশ হল, শিশুর মধ্যে কতগুলি সহজাত প্রবৃত্তির সমন্বয়ে গঠিত এমন একপ্রকার জটিল মানসিক অবস্থা, যা দেহের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন ঘটায় এবং কাজে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

অঙ্গসঞ্চালনমূলক বিকাশ বলতে কী বোঝো?

যে বিকাশ প্রক্রিয়ায় শিশুর হাত, পা, পেশি প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমন্বয় ও সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সেগুলির দ্রুত ও নির্ভুল ব্যবহারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাকে অঙ্গসঞ্চালনমূলক বিকাশ বলে। অঙ্গসঞ্চালনগত বিকাশ দেহের উপরের অংশ থেকে নীচের অংশের দিকে সঞ্চালিত হয়।

সামাজিক বিকাশ ও বৌদ্ধিক বিকাশ বলতে কী বোঝো?

সামাজিক বৈশিষ্ট্যসমূহ যথা-সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, সহমর্মিতা, সেবামূলক মনোভাব প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যসমূহের সার্থক উত্তরাধিকারী করার জন্য ব্যক্তিজীবনে যে বিকাশের ধারা সতত ক্রিয়াশীল, তাকে সামাজিক বিকাশ বলে।

জন্মের পর থেকে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশু তার পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু, শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রমুখের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এর থেকে শিশুর মধ্যে ধীরে ধীরে কল্পনাশক্তি, চিন্তন ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি, আগ্রহ, মনোযোগ প্রভৃতি মানসিক গুণের বিকাশ হয়। এই ধরনের বিকাশকে বৌদ্ধিক বিকাশ বলে।

Cognition বলতে কী বোঝো? জ্ঞানমূলক বা প্রজ্ঞামূলক বিকাশ কাকে বলে?

মনোবিদ্যায় Cognition কথাটির অর্থ হল ‘The process by which knowledge and understanding is developed in the mind.’ অর্থাৎ যে বিশেষ প্রক্রিয়ার দ্বারা মানুষের মনে জ্ঞান ও বোধের বিকাশ ঘটে, তাকেই Cognition বা জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়া বলে।

জ্ঞানমূলক বা প্রজ্ঞামূলক বিকাশের অর্থ হল জ্ঞান বা প্রজ্ঞার ক্রমপর্যায়ের পরিবর্তন বা উৎকর্ষসাধন। চিন্তন ক্ষমতা, যুক্তি ক্ষমতা, স্মরণ ক্রিয়া, প্রত্যক্ষণ, সমস্যাসমাধান ইত্যাদি হল প্রজ্ঞা বা জ্ঞান (Cognition), যে পদ্ধতিতে এই প্রজ্ঞার বিকাশ হয়, তাকে জ্ঞানমূলক বিকাশ বলে।

পিয়াজের মতে, জ্ঞানমূলক বিকাশের স্তরগুলি সম্পর্কে লেখো।

পিয়াজের মতে, জ্ঞানমূলক (Cognitive) বা প্রজ্ঞামূলক বিকাশের চারটি স্তর। যথা- সংবেদন সঞ্চালনমূলক স্তর (জন্ম থেকে 2 বছর বয়স পর্যন্ত) প্রাক্-সক্রিয়তার স্তর (2 বছর- 9 বছর বয়স পর্যন্ত) মূর্ত-সক্রিয়তার স্তর (9 বছর 11 বছর বয়স পর্যন্ত) সক্রিয়তার স্তর (11 বছর সমগ্র কৈশোরকাল)। প্রাক্-জন্মস্তর বলতে কী বোঝো? সদ্যোজাত স্তর কী?

প্রাক্-জন্মস্তর: গর্ভসঞ্চার হওয়া থেকে শিশু জন্মগ্রহণ করার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সময়কালকে প্রাক্-জন্মস্তর বলে। এই সময়কালে শিশু মাতৃগর্ভেই থাকে। মাতৃগর্ভেই ধীরে ধীরে ভ্রূণ বড়ো হয় এবং প্রায় ২৮০ দিন পর শিশুরূপে নবজাতকের পৃথিবীতে আগমন ঘটে।

সদ্যোজাত স্তর: শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে পরবর্তী চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কালকে সদ্যোজাত স্তর বলে।

প্রাক্-জন্মাবস্থা ক-টি উপস্তরে বিভক্ত? সেগুলির নাম লেখো।

প্রাক-জন্মাবস্থা তিনটি উপস্তরে বিভক্ত, যথা-

  1. ডিম্বাবস্থা (Period of Ovum): নিষেক থেকে প্রথম দু-সপ্তাহকাল।
  2. ভ্রূণাবস্থা (Period of Zygote): দু-সপ্তাহ থেকে আট সপ্তাহকাল।
  3. গর্ভাবস্থা (Period of Fetus): আট সপ্তাহ থেকে বাকি গর্ভকাল।

শৈশব কাকে বলে? শৈশবকে ব্যক্তিজীবনের ভিত্তিকাল বলা হয় কেন? অথবা, শৈশব বলতে কী বোঝো?

শৈশব: শিশুর জন্মের সময় থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে বলা হয় শৈশব। শৈশবে শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক – সব ধরনের বিকাশের হার বৃদ্ধি পায়।

শৈশবে ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন দিক বিকশিত হয়। সেগুলির দরুন শিশুর ওই সময়কালীন আচরণগুলি নিয়ন্ত্রিত হয়, এমনকি তার পরবর্তী জীবনকালের অনেক আচরণও নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই শৈশবকে ‘ব্যক্তিজীবনের ভিত্তিকাল’ বলা হয়।

শৈশবে শিশুর দৈহিক বিকাশ বলতে কী বোঝো?

জন্মের পর থেকে শিশুর দেহের আকার ও আয়তনে পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথম দু-বছর দ্রুতহারে বৃদ্ধি হয়। কাঁধ চওড়া হয়, এর সঙ্গে ইন্দ্রিয়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেহসঞ্চালনের বিকাশ ঘটে ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি বিভিন্ন কাজের উপযুক্ত হয়, এই ধরনের বিকাশকে বলে দৈহিক বিকাশ।

শৈশবকালে শিশুর দুটি দৈহিক বিকাশ উল্লেখ করো।

শৈশবকালে শিশুর দুটি দৈহিক বিকাশ হল- 

  1. প্রারম্ভিক শৈশবে দৈহিক বিকাশ খুব দ্রুত ঘটে। 
  2. শিশুর জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে শৈশবকাল বলা হয়। এই বয়সের মধ্যেই মস্তিষ্কের প্রায় নব্বই শতাংশ গঠন সম্পন্ন হয়ে যায়।

শৈশবকালের দৈহিক ও মানসিক বিকাশগুলি কী কী?

দৈহিক বিকাশ: শৈশবকালের দৈহিক বিকাশগুলি হল- আয়তনের বিকাশ, ওজন বৃদ্ধি, উচ্চতা বৃদ্ধি, দেহের কাঠামোর বিকাশ, দেহসঞ্চালনগত বিকাশ ইত্যাদি।

মানসিক বিকাশ: শৈশবকালের মানসিক বিকাশগুলি হল- ভাষার বিকাশ, কল্পনার বিকাশ, কৌতূহলের বিকাশ, ধারণার বিকাশ, সচেতনতার বিকাশ ইত্যাদি।

শৈশবকালে শিশুর চারটি মানসিক বিকাশগত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

  • ভাষার বিকাশ: জন্মানোর সময় শিশুর ভাষার বিকাশ কান্নার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়।
  • বৌদ্ধিক বিকাশ : শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশ দু-বছর বয়স থেকে দ্রুত ঘটে, কারণ এই বয়স থেকে শিশু পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করে।
  • বস্তুর আকার, আয়তন সম্পর্কে ধারণা: শৈশবে দু-বছরের পর থেকেই শিশুর মানসিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। এইসময় বস্তুর আকার, আয়তন, রং সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়।
  • সময় ও দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা: সময় ও দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা হয়।

 

শৈশবে শিশুর চারটি প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্য লেখো।

শৈশবে শিশুর চারটি প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্য হল-

  • এইসময়ে শিশুর প্রক্ষোভ থাকে সহজসরল ও অসংযত।
  • সামাজিক পরিবেশের চাপে তার এই অসংযত প্রক্ষোভ সুসংযত হয়ে ওঠে।
  • শিশুর রাগ, ভালোবাসার প্রক্ষোভগুলি প্রথমদিকে মায়ের ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে বিকশিত হতে থাকে। 
  • এই স্তরের শেষের দিকে সেন্টিমেন্টের বিকাশ হয়, এ ছাড়াও এই বয়সে শিশুর মধ্যে কিছু নীতিবোধের বিকাশ দেখা যায়।

শৈশবে শিশুর ভাষাগত বিকাশ সম্পর্কে লেখো। মনোবিদ ব্রিজেস শৈশবের প্রাক্ষোভিক বিকাশের ধারা সম্পর্কে কী বলেছিলেন?

ভাষাগত বিকাশ মানসিক বিকাশের অঙ্গ হিসেবে ভাষার বিকাশ ঘটে, নয় মাস বয়স থেকে শিশু এক পদাংশযুক্ত শব্দ যেমন- মা, দাদা ইত্যাদি বলতে থাকে। তবে, 1 বছর বয়স থেকে শব্দের অর্থ বুঝতে শুরু করে এবং ক্রমশ শব্দ সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়। 21 মাস থেকে 24 মাস বয়সের মধ্যে দু-তিনটি শব্দের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ শুরু করে তবে প্রান্তীয় শৈশবকাল থেকে শিশুর মধ্যে কৌতূহল প্রবৃত্তির বিকাশ ঘটে।

মনোবিদ ব্রিজেস বলেছেন- শিশুর তিন মাস বয়স থেকেই প্রক্ষোভ বিকশিত হতে শুরু করে।

Cooing ও বাবলিং কী?

Cooing: শিশু জন্মের 6-8 সপ্তাহের মধ্যে একধরনের শব্দ করতে শুরু করে। একে বলা হয় Cooing |

বাবলিং: শিশুর বয়স যখন 9-10 মাস, তখন বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিশু কিছু তীক্ষ্ণ ও অপ্রীতিকর শব্দ বা চিৎকার করে এবং আধো-আধো কথা বলতে থাকে। ভাষা বিকাশের এই স্তরকেই বাবলিং বলে।

টেলিগ্রাফিক ভাষা কাকে বলে? ভাষাকে ‘মনের ছবি’ বলা হয় কেন?

টেলিগ্রাফিক ভাষা: 9 মাস বয়সে শিশু একস্বরবিশিষ্ট শব্দের পুনরাবৃত্তি করে যেমন বা-বা, মা-মা, দা-দা ইত্যাদি। 21 মাস বয়স থেকে দু-তিনটি বিশেষ শব্দের সংযোগে মনের ভাব প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। একে টেলিগ্রাফিক ভাষা বলে।

শিশুমনের চিত্রিত বিষয়গুলি ভাষার মাধ্যমে সমাজে উপস্থাপিত হয়ে অন্য মনে সেই চিত্রের অনুরূপ চিত্র অঙ্কন করা যায় বলে ভাষাকে মনের ছবি বলা হয়।

শৈশবের বৌদ্ধিক বিকাশের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশ দু-বছর বয়স থেকে দ্রুত ঘটে। বৌদ্ধিক বিকাশের চারটি বৈশিষ্ট্য হল-

  • এই স্তরের শেষের দিকে বস্তুর আকার, গঠন, রং ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা গড়ে ওঠে। 
  • এই স্তরে শিশুর স্মৃতি খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়।
  • শিশুর মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে, 
  • কল্পনা করার ক্ষমতা প্রকাশ এই বয়সে শিশু ভাষার সংকেত ব্যবহার করতে শেখে। 

শৈশবকালের সামাজিক বিকাশগুলি কী কী? শৈশবকালে শিশুর যে- কোনো দুইটি সামাজিক বিকাশের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

শৈশবের সামাজিক বিকাশগুলি হল- সহযোগিতা, সহমর্মিতা, প্রতিযোগিতা, সামাজিক অভিযোজনের ক্ষমতা ইত্যাদি।

শৈশবকালে শিশুর দুটি সামাজিক বিকাশগত বৈশিষ্ট্য হল- লিঙ্গগত পার্থক্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ না করে ছেলে ও মেয়েরা একত্রে খেলাধুলা করে। শিশুদের স্বাধীন চেতনার বিকাশ ঘটে, তারা নিজেরাই পরিবেশকে জানতে চায়।

শৈশবের বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ কেন? শৈশবের যে-কোনো একটি বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

আধুনিক শিক্ষাবিদদের মতে, শিশুর শৈশবের বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর শৈশবের বিকাশগত বৈশিষ্ট্য এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করেই তার ব্যক্তিত্ব গঠিত হয়। শৈশবের চারিত্রিক গুণাবলি তাকে ভবিষ্যতে আদর্শ নাগরিক হতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

সামাজিক বিকাশ: শিশুর প্রথম সামাজিক সম্বন্ধ স্থাপিত হয় তার মায়ের সঙ্গে, সে মায়ের উপর নির্ভর করে। ধীরে ধীরে বাবা, দাদা, দিদি ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শৈশবে শিশুর দৈহিক চাহিদাগুলির নাম লেখো। শৈশবে শিশুর খাদ্যের চাহিদা সম্পর্কে লেখো।

শৈশবে দৈহিক বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চাহিদাগুলিকে বলা হয় দৈহিক চাহিদা। এই চাহিদাগুলি হল- খাদ্যের চাহিদা, চলনের চাহিদা, সক্রিয়তার চাহিদা, ঘুমের চাহিদা, পুনরাবৃত্তির চাহিদা।

খাদ্যের চাহিদা: শৈশবে শিশুর দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দ্রুত বৃদ্ধির দরুন খাদ্যের চাহিদা প্রবলভাবে দেখা দেয়। এসময় শিশু তার নাগালে যা পায়, তাই-ই সে খাওয়ার চেষ্টা করে।

শৈশবকালের মানসিক চাহিদাগুলি কী কী? শৈশবের নিরাপত্তার চাহিদা সম্পর্কে লেখো।

শৈশবকালের মানসিক চাহিদাগুলি হল- অনুকরণের চাহিদা, অনুসন্ধধানের চাহিদা, আয়ত্তে আনার চাহিদা, আত্মপ্রকাশের চাহিদা, কল্পনার চাহিদা, কৌতূহলের চাহিদা।

নিরাপত্তার চাহিদা : শৈশবে শিশু সবসময় বড়োদের কাছ থেকে নিরাপত্তা আশা করে। শিশুর নিরাপত্তার চাহিদা দৈহিক, মানসিক এবং প্রাক্ষোভিক প্রভৃতি যে-কোনো দিক থেকে হতে পারে।

শৈশবকালের সামাজিক চাহিদাগুলি লেখো। শৈশবের সহযোগিতার চাহিদা সম্পর্কে লেখো।

শিশুর সামাজিক বিকাশকে কেন্দ্র করে যেসকল সামাজিক চাহিদা দেখা যায়, সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল- সহযোগিতার চাহিদা, সমবেদনার চাহিদা, সামাজিক সমর্থনের  চাহিদা, প্রতিদ্বন্দ্বিতার চাহিদা, সামাজিক স্বীকৃতির চাহিদা ইত্যাদি।

সহযোগিতার চাহিদা: শৈশবে শিশুরা সমবয়সি বন্ধু বা বয়স্কদের কাছ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেতে চায়। যেমন- খেলার সাথিদের থেকে খেলার চাহিদা ইত্যাদি।

শিশুর মধ্যে ধারণা বা চিন্তাশক্তির প্রকাশ দেখা দেয় কত বছর বয়সে? শৈশবের একটি প্রাফ্লোভিক চাহিদা সম্পর্কে লেখো। 

মনোবিজ্ঞানী হ্যাডফিল্ড-এর মতে, শিশুর 2-3 বছর বয়সের মধ্যে – ধারণা বা চিন্তাশক্তির প্রকাশ ঘটতে থাকে। ওই সময় শিশু কী, কেন – ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকে।

ভালোবাসার চাহিদা শৈশবে শিশুদের মধ্যে ভালোবাসার চাহিদাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং প্রবল। এইসময় শিশুরা একদিকে যেমন অন্যদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার আশা করে, তেমনই অন্যদেরও ভালোবাসতে চায়।

বাল্যকাল কাকে বলে? বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাল্যকালকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

6 বছর বয়স থেকে 12 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে বাল্যকাল বলে।

বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাল্যকালকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

প্রারম্ভিক বাল্যকাল (Early Childhood) ও প্রান্তীয় বাল্যকাল (Late Childhood) I

বাল্যকালের দৈহিক বিকাশগুলি কী কী? বাল্যকালের দুটি দৈহিক বিকাশগত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

বাল্যকালের দৈহিক বিকাশগুলি হল- উচ্চতার বিকাশ, ওজন বৃদ্ধি, দৈহিক কাঠামোর বৃদ্ধি, স্নায়ুতন্ত্রের সংগঠনের বৃদ্ধি, দেহসঞ্চালনমূলক বিকাশ ইত্যাদি।

বাল্যকালের দুটি দৈহিক বিকাশগত বৈশিষ্ট্য হল- 

  • এইসময় উচ্চতা 2-3 ইঞ্চি বৃদ্ধি পায় এবং 2-2 কেজি ওজন বাড়ে।
  • এই বয়সে দৈহিক বিকাশ অব্যাহত থাকে, তবে শৈশবের তুলনায় বিকাশের হার কিছুটা হ্রাস পায়।

বাল্যকালের মানসিক বিকাশগুলি কী কী? বাল্যকালের দুটি মানসিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

বাল্যকালের মানসিক বিকাশগুলি হল- কৌতূহলী প্রবণতার বিকাশ, শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি, প্রত্যক্ষণের পরিপক্কতা, কল্পনাবিলাস, ঈর্ষাবোধ জাগরণ ইত্যাদি।

বাল্যকালের দুটি মানসিক বৈশিষ্ট্য হল- 

  • বাল্যকালের মানসিক বিকাশ খুবই দ্রুত হয়। 
  • এই সময় শিশুর মধ্যে বিশ্লেষণ আত্মিক ও চিন্তন ক্ষমতার বৃদ্ধি পায়।

বাল্যকালের প্রাক্ষোভিক বিকাশগুলি কী কী? বাল্যকালের দুটি প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্য লেখো।

বাল্যকালের প্রাক্ষোভিক বিকাশগুলি হল- সহপাঠীদের প্রতি ভালোবাসা, বাবা-মার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, ভয়, রাগ ইত্যাদি মনোভাবের জাগরণ।

বাল্যকালের দুটি প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্য হল- 

  • বাল্যের প্রথম দিকে ছেলেমেয়েদের ভয়ের প্রক্ষোভ দেখা যায়। 
  • এই বয়সের ছেলেমেয়েরা রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বাল্যকালের দুটি সামাজিক বৈশিষ্ট্য লেখো। বাল্যকালের সামাজিক বিকাশগুলি কী কী?

বাল্যকালের দুটি সামাজিক বৈশিষ্ট্য হল- 

  • এই বয়সে শিশুদের মধ্যে দলগত আনুগত্য লক্ষ করা যায়। 
  • শিশুদের মধ্যে ছোটো ছোটো সংগঠন গড়ে তোলা, একত্রে খেলাধুলা ও কাজ করার প্রবণতা দেখা যায়।

বাল্যকালের সামাজিক বিকাশগুলি হল- দলগত আনুগত্য সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব গঠন, মূল্যবোধ জাগরণ ইত্যাদি।

মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড শিশুর কোন্ সময়কে সুপ্তকাল অবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন? প্রাক্-যৌবনকাল বলতে কোন্ সময়কে বোঝায়?

মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড বাল্যকালকে সুপ্তকাল অবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রাক্-যৌবনকাল: সাধারণত 12 থেকে 15 বছর বয়সকালকে প্রাক-যৌবনকাল বলা হয়ে থাকে।

কোন্ বয়সকালকে ‘Gang Age’ বলা হয়? বাল্যকালের দৈহিক বিকাশ কীরূপ হয়?

বাল্য স্তর অর্থাৎ 6 থেকে 12 বছর বয়সকালকে Gang Age বলা হয়।

বাল্যকালে দৈহিক বিকাশ শৈশবের তুলনায় কিছুটা কম হয়, তবে তা অব্যাহত থাকে। এই স্তরে সঞ্চালনমূলক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, দেহ সক্রিয় হয়। মস্তিষ্কের স্বাভাবিকত্ব দেখা যায়।

আরও পড়ুন – সরকারের বিভিন্ন রূপ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment