![]() |
মানচিত্রের গুরুত্ব ও ব্যবহারগুলি লেখো। |
মানচিত্রে ব্যবহার
অবস্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ: মানচিত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থান সম্পর্কে বিশেষভাবে জানা সম্ভব হয়। যেমন – ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকটি বিশেষ স্থানের অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সমুদ্রপথ এবং বায়ুপথের দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও অবস্থান নির্ণয়ে মানচিত্র ব্যবহৃত হয়।
দূরত্ব নির্ণয় : প্রতিটি মানচিত্রই নির্দিষ্ট একটি স্কেল অনুযায়ী অঙ্কন করা হয়। কাজেই এই নির্দিষ্ট মানচিত্রে অবস্থানরত যে-কোনো স্থানের রৈখিক দূরত্ব থেকে ভূমিভাগের দূরত্ব নির্ণয় করা সম্ভবপর হয়।
প্রাকৃতিক উপাদানগুলি শনাকরণ ও বিশ্লেষণ: মানচিত্র পাঠের দ্বারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, নদ-নদী প্রভৃতির বণ্টন সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়। তাই ওই সকল উপাদানগুলি শনাক্ত করে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।
আর্থসামাজিক দিক পরিবেশন: মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর অঞ্চলভেদে কৃষি, শিল্প, জনসংখ্যা, অর্থনীতি, সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতি তুলে ধরা হয় বলে এটি বিভিন্ন অঞ্চল বা দেশের আর্থসামাজিক দিক পরিবেশন করে।
জরিপে সুবিধা: মানচিত্র গ্লোবের তুলনায় যথেষ্ট হালকা ও বহনযোগ্য হওয়ায় যে-কোনো ভৌগোলিক ক্ষেত্রে জরিপের সময় এটি সহজেই ব্যবহার করা হয়।
শিক্ষা সহায়ক উপাদান: মানচিত্র পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞানের পরিধি অনেক বৃদ্ধি পায়। শিক্ষাক্ষেত্রে মানচিত্রের ব্যবহার বহুবিধ।
এছাড়া, পর্যটন শিল্পে এবং পর্যটকদের কাছেও দেশের প্রতিরক্ষা, প্রশাসনিক এবং সামরিক প্রয়োজনে মানচিত্র অবশ্য ব্যবহার্য।