![]() |
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’ বলতে কী বোঝো? অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির শর্তগুলি কী ছিল? কোথায় কোথায় অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রয়োগ করা হয়? |
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির শর্তসমূহ
ব্রিটিশ প্রতিনিধি নিয়োগ: মিত্রতাবদ্ধ শক্তিশালী দেশীয় রাজ্যের রাজারা নিজ নিজ রাজ্যে একদল ইংরেজ সৈন্য বা রেসিডেন্ট নিয়োগ করবে এবং তাদের ব্যয়নির্বাহের জন্য রাজ্যের একাংশ ব্রিটিশ কোম্পানিকে ছেড়ে দেবে।
নিরাপত্তার দায়িত্ব: অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে স্বাক্ষরকারী দেশীয় রাজ্যগুলির সকল দায়ভার ছিল কোম্পানির উপর। বলা হয়, তৃতীয় কোনো শক্তির হাত থেকে কোম্পানিই দেশীয় রাজ্যগুলিকে রক্ষা করবে।
একচ্ছত্র আধিপত্য: ব্রিটিশ কোম্পানি ঘোষণা করে যে, মিত্রতায় আবদ্ধ সকল দেশীয় রাজ্যগুলি থেকে ইংরেজ ব্যতীত অপর সকল ইউরোপীয় কর্মচারী এবং নাগরিকদের বিতাড়িত করতে হবে।
কোম্পানির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে স্বাক্ষরকারী দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিরোধ বাধলে কোম্পানির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রয়োগ
হায়দরাবাদ: খরদার যুদ্ধে মারাঠাদের হাতে পরাজিত হয়ে হায়দরাবাদের নিজাম ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই নীতি গ্রহণ করেন।
অযোধ্যা: অযোধ্যার নবাব ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে আবদ্ধ হন।
মারাঠা: লর্ড ওয়েলেসলি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে মারাঠাদের দুর্বল করতে উদ্যত হন। এসময় পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও ইংরেজদের সঙ্গে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে বেসিনের সন্ধি এবং সিন্ধিয়া ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির সঙ্গে সুরজি-অঞ্জনগাঁও সন্ধি স্বাক্ষর করেন।
অন্যান্য রাজ্য: ধীরে ধীরে সুরাট, তাঞ্জোর, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যও অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিতে আবদ্ধ হয়।