(১) নীরোগ অবস্থা: আর্যাবর্তের প্রজাকুল যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন নীরোগ অবস্থায় সুখে-শান্তিতে বাস করে। দেশে কুষ্ঠরোগ, ফোড়া-ফুসকুড়ি, প্রভৃতি রোগ দেখা যায় না।
(২) সচ্ছল সংসার: আর্যাবর্তের গ্রামগুলি গোপশোভিত থাকায় দুধের অভাব ছিল না ঘরগুলি উদ্যানশোভিত, বড়ো বড়ো অট্টালিকা, গভীর সুস্বাদু কুয়োর পবিত্র জল, আখের ক্ষেত্রে দানশালা, পিয়াল ও কাঁঠালের বন প্রভৃতি সমৃদ্ধির কারণগুলি এখানে উল্লিখিত হয়েছে।
(৩) পতিব্রতা নারী: বাংলায় এক প্রবাদ আছে “সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।” কুল-ললনা সতীব্রত পালনে সংসারকে সুখের করেছে।
(৪) আন্তঃ ও বহিঃশত্রুমুক্ত জীবন: আর্যাবর্তের মানুষ রোগব্যাধির মতো আন্তঃ (ভিতরের) শত্রু থেকে যেমন মুক্ত, তেমনই ভূতপ্রেত, গ্রহবৈগুণ্য, হিংস্র প্রাণীরূপ বহিঃ (বাইরের) শত্রু থেকে মুক্ত।
(৫) দীর্ঘজীবী: আর্যাবর্তের মানুষ দীর্ঘজীবী হয়ে জীবনের কাঙ্ক্ষিত সমস্ত সুখ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য ভোগ করে।
(৬) ধর্মকর্মের প্রভাব: আর্যাবর্তের মানুষ ধর্মোপদেশ, সদাচার, দানধ্যান, আচার্য গুরুকুলের উপদেশে চালিত হয়ে সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর করতে পারে।
(৭) নিরাপত্তা : সংসার সুখের আর-একটি বড়ো কারণ হল নিরাপত্তা, সুশাসন। আর্যাবর্তে নিরাপত্তা ও সুশাসন – উভয়ই ছিল।