আর্যাবর্তের প্রজাদের সুখ ও সমৃদ্ধির কারণ ‘আর্যাবর্ত’ পাঠ্যাংশ অবলম্বনে বর্ণনা করো

আর্যাবর্তের প্রজাদের সুখ ও সমৃদ্ধির কারণ 'আর্যাবর্ত' পাঠ্যাংশ অবলম্বনে বর্ণনা করো

স্বদেশপ্রেমী কবি ত্রিবিক্রমভট্ট হিমালয় সমন্বিত আর্যাবর্তের প্রশংসাক্রমে বলেছেন সকল-সংসার-সুখ-ভাজঃ প্রজাঃ”।

(১) নীরোগ অবস্থা: আর্যাবর্তের প্রজাকুল যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন নীরোগ অবস্থায় সুখে-শান্তিতে বাস করে। দেশে কুষ্ঠরোগ, ফোড়া-ফুসকুড়ি, প্রভৃতি রোগ দেখা যায় না।

(২) সচ্ছল সংসার: আর্যাবর্তের গ্রামগুলি গোপশোভিত থাকায় দুধের অভাব ছিল না ঘরগুলি উদ্যানশোভিত, বড়ো বড়ো অট্টালিকা, গভীর সুস্বাদু কুয়োর পবিত্র জল, আখের ক্ষেত্রে দানশালা, পিয়াল ও কাঁঠালের বন প্রভৃতি সমৃদ্ধির কারণগুলি এখানে উল্লিখিত হয়েছে।

(৩) পতিব্রতা নারী: বাংলায় এক প্রবাদ আছে “সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।” কুল-ললনা সতীব্রত পালনে সংসারকে সুখের করেছে।

(৪) আন্তঃ ও বহিঃশত্রুমুক্ত জীবন: আর্যাবর্তের মানুষ রোগব্যাধির মতো আন্তঃ (ভিতরের) শত্রু থেকে যেমন মুক্ত, তেমনই ভূতপ্রেত, গ্রহবৈগুণ্য, হিংস্র প্রাণীরূপ বহিঃ (বাইরের) শত্রু থেকে মুক্ত।

(৫) দীর্ঘজীবী: আর্যাবর্তের মানুষ দীর্ঘজীবী হয়ে জীবনের কাঙ্ক্ষিত সমস্ত সুখ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য ভোগ করে।

(৬) ধর্মকর্মের প্রভাব: আর্যাবর্তের মানুষ ধর্মোপদেশ, সদাচার, দানধ্যান, আচার্য গুরুকুলের উপদেশে চালিত হয়ে সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর করতে পারে।

(৭) নিরাপত্তা : সংসার সুখের আর-একটি বড়ো কারণ হল নিরাপত্তা, সুশাসন। আর্যাবর্তে নিরাপত্তা ও সুশাসন – উভয়ই ছিল।

মূল্যায়ন

উপরোক্ত বর্ণনার মাধ্যমে কবি বোঝাতে চেয়েছেন আর্যাবর্তে মানুষ মহাসুখে ও শান্তিতে বসবাস করে।

Leave a Comment