ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার বিষয়বস্তু

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার বিষয়বস্তু | XI Bengali 1st Semester WBCHSE

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার বিষয়বস্তু
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার বিষয়বস্তু

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার বিষয়বস্তু

মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে দয়ার সাগর বিদ্যাসাগরের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। মহান ভারতবর্ষের উজ্জ্বল রত্ন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর অপরিসীম জ্ঞানের ভাণ্ডার নিয়ে তিনি খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। কবির কাছে তিনি হলেন করুণার সিন্ধু। কবি নানাভাবে তাঁর কাছে উপকৃত হয়েছেন। তিনি হলেন দীনের বন্ধু। দরিদ্র, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত মানুষের দিকে ঈশ্বরচন্দ্র হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বারে বারে। তাই তিনি বিদ্যাসাগর, করুণাসিন্ধু এবং দীনবন্ধুরূপে জগতের সকলের কাছে পরিচিত।

স্বর্ণকান্তি হিমালয় পর্বতের মতো তাঁর ঔজ্জ্বল্য। পর্বতের মতোই তিনি মহান। এই পর্বতসমান মানুষের চরণে যে আশ্রয় পেয়েছে, সেই হল ভাগ্যবান। কবিও সেই ভাগ্যবানদের একজন। গিরিরাজ হিমালয়ের কাছে যেই আশ্রয় পেয়েছেন সেই তাঁর গুণ, দয়া-মায়া, স্নেহ-মমতার পরিচয় পেয়েছে। তিনি পরম স্নেহে তাঁর ছায়ায় সকলকে আগলে রেখেছেন। সেই সুখের আশ্রয়ই হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

হিমালয়ের বুকে বয়ে চলা নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী উজাড় করে দিয়েছে জলের স্রোতধারা। তাতেই এই পৃথিবী হয়ে উঠেছে সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা। প্রকৃতি হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ। ফুলে-ফলে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে জীবজগৎ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হয়ে উঠেছেন নিরাশ্রয়ের আশ্রয়, ক্ষুধার্তের অন্নদাতা, তুয়ার্তের পিপাসার জল। দশদিক যেমন ফল-ফুল-ফুলের মধুতে পরিপূর্ণ তেমনি বৃহৎ বৃক্ষ অরণ্যের শীতল ছায়ায় ক্লান্ত মানুষ নিজেকে জুড়িয়ে নেয়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও বনস্পতির ন্যায় আগলে রাখেন আর্ত মানুষকে। তাঁর কোলেই মাথা রেখে তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, জুড়িয়ে নিতে পারে তাদের সমস্ত শ্রান্তি-ক্লান্তি। শ্বাস নিতে পারে সুশীতল বাতাসের আশ্বাসে।

আরও পড়ুন – বিড়াল প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ও নামকরণ

Leave a Comment