ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে যা জান লেখো

ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে যা জান লেখো
ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে যা জান লেখো।
কোনো ভাষার প্রাচীনতম রূপ থেকে আরম্ভ করে আধুনিক রূপ পর্যন্ত তার ধারাবাহিক ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস এই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। আধুনিককালে ব্যবহৃত কোনো বাংলা শব্দের আদিরূপ কী ছিল, কেমনভাবে তা ক্রমিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে এই বিশেষ শব্দটিতে পরিণতি লাভ করল, ঐতিহাসিক ব্যাকরণের সাহায্যেই তা দেখিয়ে দেওয়া সম্ভব।

একটি দৃষ্টান্তের সাহায্যে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেতে পারে। আমরা যদি আমাদের অতিপরিচিত বাংলা ভাষা থেকে ‘আমি’ শব্দটির ‘আদি’ রূপ জানবার চেষ্টা করি, তবে আমরা প্রাপ্ত প্রাচীনতর রূপটি অবলম্বন করে ক্রমশ অতীতমুখী হয়ে আরও প্রাচীনতর রূপটির সন্ধান করতে করতে সর্বপ্রাচীন লিখিত রূপ অথবা ক্বচিৎ যুক্তিসিদ্ধ অনুমিত পূর্বগঠিত একটা রূপ পর্যন্ত উপনীত হতে পারি। এইভাবে ঐতিহাসিক উপাদানের লিখিত রূপ পাওয়া যায়। বৈদিক যুগ থেকে ক্রমবিবর্তনের ভিতর দিয়ে ‘আমি’ শব্দটি কীভাবে এসেছে তা দেখানো হল। যেমন- বৈদিক: অস্মাভিঃ/অস্মে > প্রাকৃত: অম্হাহি / অমূহে > অপভ্রংশ : অম্‌হহি : > প্রাচীন বাংলা: অমূহে > মধ্যযুগীয় বাংলা: আত্মি > আধুনিক বাংলা: আমি।

Leave a Comment