ক্যাথোলিক চার্চ প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় – আজকের পর্বে ক্যাথোলিক চার্চ প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তা আলোচনা করা হল।
ক্যাথোলিক চার্চ প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়
![]() |
ক্যাথোলিক চার্চ প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় |
ষোড়শ শতাব্দীতে মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের উত্থান ক্যাথোলিক চার্চের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। চার্চ তার কর্তৃত্ব ও ঐক্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রতিক্রিয়ার পদক্ষেপ
প্রোটেস্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্পেনের ‘ইনকুইজিশন’ এই ধরনের বিচারের একটি কুখ্যাত উদাহরণ।
পোপীয় ঘোষণা
পোপ দশম লিও ‘Exsurge Domine’ (1520) ও ‘Decet Romanum Pontificem’ (1521) নামক দুটি ঘোষণা প্রকাশ করে লুথারের ধারণাগুলিকে ভ্রান্ত বলে ঘোষণা করেন।
ট্রেন্ট কাউন্সিল
১৫৪৫ থেকে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত ট্রেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই কাউন্সিল প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে চার্চের নীতি নির্ধারণ করে।
সুধারাভিযান
ক্যাথোলিক চার্চ অভ্যন্তরীণভাবে কিছু সংস্কারের ব্যবস্থা করে। যেমন, ‘পোপীয় বিলাসিতা’ কমানো হয়।
জেসুইটদের উত্থান
জেসুইটরা ছিল ক্যাথোলিক ধর্মপ্রচারকদের একটি সৈন্যবাহিনী। তারা প্রোটেস্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিতর্কে অংশগ্রহণ করে এবং ক্যাথোলিক ধর্মের প্রসার ঘটায়।
প্রতিক্রিয়ার ফলাফল
(i) ধর্মীয় বিভাজন: ক্যাথোলিক চার্চের প্রতিক্রিয়া ইউরোপে স্থায়ী ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে।
(ii) ক্যাথোলিক সংস্কার: চার্চের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ক্যাথোলিক ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
(iii) ধর্মীয় যুদ্ধ: প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথোলিকদের মধ্যে ত্রিশ বছরের যুদ্ধের মতো ধর্মীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
উপসংহার
ক্যাথোলিক চার্চ প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ইউরোপে স্থায়ী ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং ধর্মীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তবে চার্চের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ক্যাথোলিক ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ঐতিহাসিক উইলিয়াম ডুরান্টের মতে, “প্রোটেস্ট্যান্ট বিদ্রোহ ক্যাথোলিক চার্চকে সংস্কার করতে বাধ্য করে।”