![]() |
খালের মাধ্যমে জলসেচের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো। |
খালের দ্বারা জলসেচের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হল–
খালের মাধ্যমে জলসেচের সুবিধা
সারা বছর জল সরবরাহ: ভারতের অধিকাংশ খালই হল নিত্যবহ খাল, তাই এই সমস্ত খালের মাধ্যমে সারাবছর ধরে জল সরবরাহ করা যায় অর্থাৎ সারাবছর কৃষিকাজ সম্ভব।
জমির উর্বরতা বৃদ্ধি: খালের মাধ্যমে কৃষিজমিতে জলসেচ করলে জলের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পলিমৃত্তিকা কৃষিজমিতে এসে জমা হয় ফলে কৃষিজমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ: খালগুলির দ্বারা বন্যার সময় অতিরিক্ত জলকে কৃষিজমিতে ব্যবহার করা হয়। ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সুলভ জলসরবরাহ : বেশ কিছু খাল বহুমুখী নদী পরিকল্পনার অন্তর্গত হওয়ায় অতি সহজে ও সুলভে কৃষিজমিতে জল সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম : এইসব খাল তৈরিতে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও পরবর্তীকালে খালের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কম।
বিস্তীর্ণ অঞ্চলব্যাপী জলসেচ : খালের মাধ্যমে জলসেচ করলে একসঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জলসেচ করা যায়।
খালের মাধ্যমে জলসেচের অসুবিধা
বন্যা সৃষ্টি: অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বা জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে খালের দুই তীরবর্তী অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়।
জলের অপচয়: খালের মাধ্যমে জলসেচ করলে প্রচুর পরিমাণ জলের অপচয় হয়।
প্রারম্ভিক ব্যয় বেশি: সেচখাল তৈরি করতে প্রচুর অর্থ ও শ্রমিকের প্রয়োজন হয় তাই এই পদ্ধতিতে জলসেচ করতে গেলে এর প্রারম্ভিক ব্যয় অনেক বেশি।
উর্বরতা হ্রাস : এই প্রক্রিয়ায় জলসেচের দরুণ মাটিতে ধৌত প্রক্রিয়া ঘটে, ফলে মৃত্তিকা অম্ল হয়ে পড়ে এবং জমির উর্বরতা কমে যায়।
জলপ্রাপ্তির অসুবিধা : নিত্যবহ খাল দ্বারা সারাবছর জলসেচ করা সম্ভব হলেও প্লাবনখাল দ্বারা সারাবছর জলসেচ করা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র সমভূমি অঞ্চলে জলসেচ করা যায় অন্যত্র করা যায় না।