চিত্রশিল্পী হিসেবে সুনয়নী দেবীর অবদান আলোচনা করো

চিত্রশিল্পী হিসেবে সুনয়নী দেবীর অবদান আলোচনা করো
চিত্রশিল্পী হিসেবে সুনয়নী দেবীর অবদান আলোচনা করো।

সূচনা

সাহিত্য ও বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি বাংলার শিল্পকলা চর্চার ইতিহাসেও ঠাকুরবাড়ির নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ঠাকুরবাড়ির ‘বিচিত্রা স্টুডিয়ো’ এবং ‘দক্ষিণের বারান্দার চিত্রচর্চা’ একটা সময় গোটা দেশকে শিল্পচর্চার পথ দেখিয়েছিল। অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের চিত্রচর্চা ছিল স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। এঁদের পাশাপাশি যাঁর নাম না-করলে ঠাকুরবাড়ির শিল্পচর্চার বৃত্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তিনি হলেন গুণেন্দ্রনাথের কন্যা ও অবনীন্দ্রনাথ আর গগনেন্দ্রনাথের ছোটো বোন সুনয়নী দেবী।

নিজস্বতার সন্ধান

তিনি রবীন্দ্রনাথের মতোই স্বশিক্ষিত শিল্পী ছিলেন। বাড়ির পরিমণ্ডলে ছিল শিল্পচর্চার আবহ, তাই দাদাদের দেখতে দেখতে তিনিও কখন যেন অজান্তে নিজেকে চিত্রচর্চার বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছিলেন। দাদা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যখন নব্যবঙ্গীয় চিত্ররীতির জনক বলে ধরা হচ্ছে, তিনি যখন ভারতীয় ধ্রুপদি শিল্পের পুনর্জাগরণ ঘটাচ্ছেন; তখন সুনয়নী সেপথে না-গিয়ে বাংলায় লৌকিক শিল্পের কাছে নিজের অনুপ্রেরণা খুঁজতে ব্যস্ত।

অবদান

তাঁর ছবির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় স্বদেশিয়ানা ও স্বাজাত্যাভিমান। সুনয়নী দেবী মূলত জলরঙের ব্যবহার করে কৃষ্ণলীলা ও রামায়ণ-মহাভারতের চরিত্রগুলিকেই জীবন্ত করে তোলেন। তাঁর বিখ্যাত চরিত্র চিত্রগুলি হল- ‘মা যশোদা’, ‘বাউল’ ও ‘নেপথ্যে’। পরবর্তীতে লৌকিক চিত্রকলাকে অধিকৃত করে নিজস্ব চিত্রচর্চার অংশ করে তোলার এই প্রয়াস লক্ষ করা গিয়েছিল যামিনী রায়ের চিত্রচর্চায়।

Leave a Comment