![]() |
জাদুঘরের উদ্দেশ্য বা কার্যাবলি এবং গুরুত্ব আলোচনা করো |
জাদুঘরের উদ্দেশ্য বা কার্যাবলি এবং গুরুত্ব আলোচনা করো। দুটি শিল্প জাদুঘরের নাম লেখো।
জাদুঘরের উদ্দেশ্য বা কার্যাবলি
মডেল নির্মাণ: জনগণকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জাদুঘর অনেক লুপ্ত এবং দুষ্প্রাপ্য বস্তুর প্রতিকৃতি বা মডেল নির্মাণ করে।
জ্ঞানের বিস্তার ঘটানো: জাদুঘরের মূল উদ্দেশ্যই হল সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞানের প্রসার ঘটানো এবং জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। চিত্রপ্রদর্শনী, বইমেলা, জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভা, বিভিন্ন বিষয়ে ওয়ার্কশপ ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে জাদুঘর নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে থাকে।
গবেষণায় সাহায্য: গবেষকরা মিউজিয়ামে সংরক্ষিত বস্তুকে গবেষণার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। মিউজিয়ামে সংরক্ষিত বিভিন্ন বস্তুর ক্যাটালগিং-এর মাধ্যমে এই কাজ সহজতর হয়।
আনন্দ প্রদান: মিউজিয়ামের একটি অন্যতম কাজ হল দর্শকদের আনন্দ প্রদান করা। জাদুঘরে এসে দর্শকরা জ্ঞানলাভের পাশাপাশি আনন্দও লাভ করে।
জাদুঘরের গুরুত্ব
ইতিহাসের বিবর্তন ও গতি প্রক্রিয়ার নিদর্শন: জাদুঘর ইতিহাসের বিবর্তন এবং গতিশীলতার সাক্ষ্য বহন করে। সভ্যতার অগ্রগতির কাহিনি, সমাজজীবনের বিবর্তন -এই সকল অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের গুরুত্ব অপরিসীম।
কল্পনাশক্তির বিকাশ : জাদুঘরে সংরক্ষিত চিত্র, লিপি, ভাস্কর্য, পরিধেয় বস্ত্র, প্রাচীন মুদ্রা, নানারকম মডেল মানুষের কল্পনা শক্তিকে প্রখর করে।
স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের নিদর্শন সংরক্ষণ : বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে বিভিন্ন জনপ্রিয় বা স্মরণীয় ব্যক্তিদের ব্যবহৃত সামগ্রী, তাঁদের অসাধারণ কীর্তি সম্বন্ধীয় তথ্যাদি সংরক্ষিত থাকে, সেগুলি দেখে পরবর্তী প্রজন্ম তাঁদের কীর্তিকাহিনির কথা জানতে পারে।
আঞ্চলিক ইতিহাসের ধারণাদান: ভৌগোলিক, সামাজিক, ধর্মীয় ইত্যাদি কারণে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জাদুঘরে সংরক্ষিত আঞ্চলিক ঐতিহ্যের সেই সকল নিদর্শনগুলি দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আঞ্চলিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আগ্রহী হয়ে উঠবে।
জ্ঞানের প্রসার: অদেখাকে দেখার এবং অজানাকে জানার নেশা মানুষের চিরন্তন। জাদুঘর মানুষের সেই জানার প্রচেষ্টাকে সার্থক করতে সাহায্য করে। সাহায্য করে জ্ঞান ও চেতনা বৃদ্ধিতে।
দুটি শিল্প জাদুঘরের নাম
i ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়াম এবং ⅱ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটান শিল্প মিউজিয়াম।