![]() |
টীকা লেখো: ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তি |
হিটলারের ক্ষমতা লাভের পর থেকেই জার্মানি বিস্তারধর্মী নীতি গ্রহণ করে এবং লীগের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে অস্ত্র সজ্জা শুরু করে। তার একটি জ্বলন্ত নিদর্শন হল ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তি স্বাক্ষর।
চুক্তি স্বাক্ষর
নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন ত্যাগ করার সময়ই হিটলার ঘোষণা করে, জার্মানি তার অস্ত্রসজ্জা শুরু করবে। সেই সঙ্গে ভার্সাই সন্ধির শর্তাদি লঙ্ঘন করে জার্মানি অস্ত্রসজ্জা শুরু করে। তারই ছাড়পত্র হিসেবে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে জার্মানি তার পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশ আক্রমণ করবে না বলে ব্রিটেনকে আশ্বাস দেয়।
জার্মানির প্রাপ্তি
এই চুক্তি অনুসারে ইংল্যান্ড ব্রিটিশ নৌবহরের ৩৫% এবং সাবমেরিন নির্মাণের ৪৫% অংশ অধিকার জার্মানিকে প্রদান করে। এর ফলে ইংল্যান্ড নীতিগত ভাবে জার্মানির অস্ত্রসজ্জা মেনে নেয়।
চুক্তির গুরুত্ব
(১) ইংল্যান্ড জার্মানির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় ফ্রান্সের আপত্তি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে (২) ফ্রান্স সাময়িক – কালের জন্য হলেও মিত্রহীন হয়ে পড়ে (৩) জার্মান বিরোধী ইঙ্গ-ফরাসি জোট ভেঙে যায়। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিবেট্রপ বলেন, ‘ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তির অর্থ-ভার্সাই সন্ধির বিলুপ্তি’।
ইঙ্গ-জার্মান নৌচুক্তি ছিল হিটলারের ভার্সাই চুক্তি ভঙ্গের আর একটি ধাপ। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর হিটলার ঘোষণা করেন, “তিনি ভার্সাই সন্ধির নিরস্ত্রীকরণ শর্ত আর মানবেন না।” অতঃপর তিনি স্থল, বায়ু ও নৌবাহিনী গড়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন।