![]() |
টীকা লেখো: মিউনিখ চুক্তি। |
ভূমিকা
(১) ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সুদেতান জেলা থেকে চেক সেনা ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে (২) এই সময়সীমার মধ্যে জার্মান বাহিনী ধাপে ধাপে সুদেতান অঞ্চল দখল নেবে। (৩) ব্রিটেন ফ্রান্স ও ইটালি সুদেতান অঞ্চল ও অবশিষ্ট চেকোশ্লোভাকিয়ার মধ্যে সীমান্ত শীঘ্রই নির্দেশ করে দেবে। (৪) ব্রিটেন ও ফ্রান্স অবশিষ্ট চেকোশ্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার গ্যারান্টি দেবে।
গুরুত্ব
হিটলারের কূটনৈতিক সাফল্য : আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিরোধ নয়, আপসের মাধ্যমেই হিটলারের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের দাবিকে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স মেনে নিয়েছিল। হিটলার মনে করতে শুরু করে তাকে বাধাদানের ক্ষমতা ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের নেই। তিনি গোটা চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করে নেন। এর চুক্তির দ্বারা রাশিয়া পশ্চিমি রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার নীতি ত্যাগ করে এবং রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির পথ প্রস্তুত হয়। একারণেই এই চুক্তি ছিল হিটলারের কূটনৈতিক সাফল্য।
চেকোশ্লোভাকিয়ার দুর্বলতা : জার্মানি সুদেতান অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ও উৎপাদন সংস্থাগুলি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
রুশ-জার্মান-অনাক্রমণ চুক্তির প্রেক্ষাপট: এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া জার্মানির সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়। চেকোশ্লোভাকিয়ায় হিটলারের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হওয়ায় সোভিয়েত রাশিয়ার ধারণা হল ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছে।